জাঁ-নেসার ওসমান
“কী রে ভাই আঠারো শতাব্দীর ইংরেজ আমলের বাঙালিকে জাগ্রত করার পুরান অস্ত্র লয়া আইছেন? ব্যাপার কি, বাঙালি কি আপনের এই চার কলাম ছয় ইঞ্চি লেখা পইড়া জাই¹া উঠপেÑ এই চিন্তা আপনেরে দিছে কোন বুড়বকে!!”
“বুঝলাম সে সময় অবিভক্ত ভারতবর্ষের কোটি কোটি মানুষকে তখনকার সৎবুদ্ধিসম্পন্ন সমাজ সচেতন মনুষ্যরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য ঘুমিয়ে না থেকে জেগে ওঠার জন্য বলেছিলেন “হে, বাঙালি তোমরা ব্রিটিশ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাগো, নিজের অধিকার আদায়ের জন্য একত্রিত হও, কুষ্টিয়ার মহিয়সী নারী প্যারী সুন্দরীর মতো ব্রিটিশ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কর আর কতকাল ভারতবাসী বিদেশিদের গোলামি করবে!! বাঙালি তো গরু, ছাগল ভ্যাড়া না যে আমাদের দিয়ে ব্রিটিশরা যা ইচ্ছা তাই করাবে?? আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে!! জাগো বাঙালি জাগো!!
“বাঙালি আমরা নহিতো মেষ”।
“বুঝলাম ভাইডি, ব্রিটিশ আমলে ঝাঁসির রানি লক্ষীবাঈ, বাংলার রানি ভবানী, কুষ্টিয়ার প্যারী সুন্দরী হক্কলডিই নিজেগো অধিকারের জন্য ফাইট করছে, তো অহন আপনে আবার কোন নারী চান যারা পোরশাষণের বিরুদ্ধে লড়াই করবো? আর একডা কথা আছে আমাগো রানি লক্ষীবাঈরা পোরশাষণের বিরুদ্ধে লড়াই কোরবো ক্যান? ক্যান? ক্যান?”
“ও মা, কচি খোকা, তুমি কি দেখছো না, নারী সংস্কার কমিশন কেবল একটা প্রস্তাব পেশ করেছে, এটা সরকারিভাবে কোনো বৈধতা পায়নি। এই সংস্কার প্রস্তাবের ওপর এখনো কোনো জনমত চাওয়া হয়নি। কোনো আলোচনাও হয়নি। কেবল প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতেই তোমরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে রেন্টে-এ-কারের বাস, মাইক্রোবাস, পাজেরো ভাড়া করে, কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিরায়ানির প্যাকেট ও ডানকনের পানির সাথে, খুলনা-বরিশালের ডাব সরবরাহ করে ঢাকার রাস্তাঘাটে ট্রাফিক জ্যাম বাধিয়ে ওই প্রাণীর লংকা বিজয়ের মতো যে শো-ডাউন করলেন তাতে তো মনে হলো কেবল প্রস্তাবেই কোটি কোটি টাকা খরচ করে শো-ডাউন, আর প্রস্তাব পাস হলে তো, হাজার কোটি টাকা খরচ শত শত লাশ পদদলিত করে রক্তগঙ্গা
বইয়ে দিয়ে বাংলার জনগণ বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন করে উন্মাদের ন্যায় উল্লাসে মেতে উঠবে!! ধিক, বাঙালি ধিক।”
“এইডা আপনে কি বলচেন যে, নারী সংস্কার কমিটি, সংস্কারের নামে আমাগো নিরীহ বাঙালিদের ওপর পশ্চিমা নীতি চাপাই দিবেন এইডা কি আপনে মাইন্না নিতে কন?”
“ও রে বাবুরে তুমি তো কচি খোকা, তুমি নিজেরে নিরীহ বাঙালি বলবে, তোমার ওপর পশ্চিমা বেলেল্লাপনা চাপিয়ে দিচ্ছে বলে প্রতিবাদ করবে আবার রাজু ভাস্কর্যের প্রতিবাদী নারীর মূর্তির গলায় জুতো পরিয়ে তোমরা বাঙালিরা তোমার মায়ের প্রতি কি সুন্দর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলে। আর এক দল তো আরও এক কাঠি সরেষ তারা তো নারী মূর্তিকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করল। এগুলো কোন বাঙালি সংস্কৃতি স্যার। আপনি যখন নাসির উদ্দিন হোজ্জাকে উল্টো গাধার পিঠে চড়িয়ে ঢাকার রাস্তা প্রদিক্ষণ করান এটা আপনার কোন বাঙালি সংস্কৃতি জনাব বলবেন? আপনি যে বাঙালি বাঙালি বলে মুখে ফ্যানা তুলছেন, আবার লাইব্রেরি থেকে বাঙালি কবি রবিন্দ্রনাথের বই, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের বই বের করে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন, এটা আপনার কোন বাঙালি কালচার স্যার!!”
“আরে ভাই আপনে দ্যেখেন নাই, সারা বিশ্বে নারীর দারিদ্রের সুযোগে, তারে দিয়া আপনে পুরুষরা হ্যেই বেডির ইচ্ছার বিরুদ্ধে হ্যেরে দিয়া হেই কাম করাইবেন, আর কোইবেন হ্যেরে সামাজিক বিশৃঙ্খলতা রোধের জন্য শ্রমিকের মর্যাদা দ্যেন!! এইডা কি ঠিক হোইবো?? দশটা-পাঁচটা ডিউটি কোরবো??
হ্যেরে পূজা-পার্বণে বোনাস দিবো ক্যেডা?”
“ও মনু, তোমার এ্যতোই যদি নারীর প্রতি দরদ তাহলে সারা বিশ্বে নারী-পুরুষের মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে ক্যেনো? তোমার অতো উন্নত ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ, তারা পযর্šÍ ১৯৬০ সালের আগে নারীদের ভোটাধিকার দ্যেয়নি!! তাহলে তোমার নারী প্রেম তো কেবল উপরে উপরে ভেতরে তুমি সেই আইয়ামে জাহালিয়া যুগেই আটকে আছো। যখন আরবে নারী সন্তান জন্মগ্রহণ করিলে তাহাকে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতিয়া দিতো!!”
“হুনছি, ভারতে হিন্দুস্থানে, অনেক পরিবার আছে, যারা আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে সন্তানের লিঙ্গ দেইখ্যা মাইয়া হোইলে অ্যাবোরশন করায়, আবার অনেক গ্রামে হুনছি মাইয়া হোইলে বাচ্চারে ধান খাওয়ায়া মাইরা ফেলে। এগুলা গোঁড়া হিন্দু কালচার। আমাগো বাঙালি এ্যখনো “মা”কে মা’বোললাই শ্রদ্ধা করেন।”
“স্যার বুঝলাম, আপনি বাঙালি “মা”কে মা, বোলেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, “মা”কে, মাম্মি, মাদার, এইসব বলে ঠিক “মা” ভাব জাগে না। তাহোলে বাংলায় যে হিন্দুদের হিন্দি শব্দের “আম্মিজান” শব্দটা বিগত স্বৈরাচার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল তখনতো কোনো প্রতিবাদ হয়নি। তাহলে এখন ক্যেনো তোমরা ক্ষেপে উঠলে?”
“আরে ভাই তহন তো গুম-খুন রাহাজানিরও কুনো পরতিবাদ হয় নাই। হ্যেই আমল ভুইল্লা অহন নতুন জেন-জি’র, যুগে “মা”য়েরে প্রকৃত সন্মান দেওনের জন্যই নারী সংস্কারের প্রস্তাবের সুযোগ দিছে। বুজছেন বাঙালি আর আপনের ভাষায় “মেষ” নাই, বাঙালি অহন “মোষ” মাইনে ভঁহিস তাগড়া জুয়ান। বাঙালি অহন যে কুনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফাইট দিবো দ্যেহেন না, হেইদিন মহিলা পুলিশরে হিডায়া থোতা-মোতা ফুলায়া দিছে।”
“এটা আবার কী বললি, এখানে “স্ত্রী” জাতির প্রতি কি সন্মান দ্যেখালি?”
“ক্যা বোজেন না! নারী-পুরুষ সমান অধিকার। জেন-জি, পুরুষ পুলিশেরও পিডাই আবার মহিলা পুলিশরেও পিডায়। দুইজনেই সমান।”
“থাক ভাই তোরা বাঙালিরা “মেষ” বা “মোষ” যা ইচ্ছা তাই থাক কিন্তু স্ত্রী’জাতিকে পিটিয়ে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করিসনা ভাই!!”
“নারী পুরুষ সমান অধিকার চাইবেন আর পুরুষগো মতুন হিডানি খাইবেন না! তা হোইবো না, তা হোইবো না।”
“মাপ চাই ভাই, মাপ চাই, আমি আর জীবনে তোর সামনে নারী-পুরুষের সমাধিকারের কথা বোলবো না।”
“হ্যেইডাই ভালা, বোবার কুনো শত্রু নাই।”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
“কী রে ভাই আঠারো শতাব্দীর ইংরেজ আমলের বাঙালিকে জাগ্রত করার পুরান অস্ত্র লয়া আইছেন? ব্যাপার কি, বাঙালি কি আপনের এই চার কলাম ছয় ইঞ্চি লেখা পইড়া জাই¹া উঠপেÑ এই চিন্তা আপনেরে দিছে কোন বুড়বকে!!”
“বুঝলাম সে সময় অবিভক্ত ভারতবর্ষের কোটি কোটি মানুষকে তখনকার সৎবুদ্ধিসম্পন্ন সমাজ সচেতন মনুষ্যরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য ঘুমিয়ে না থেকে জেগে ওঠার জন্য বলেছিলেন “হে, বাঙালি তোমরা ব্রিটিশ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাগো, নিজের অধিকার আদায়ের জন্য একত্রিত হও, কুষ্টিয়ার মহিয়সী নারী প্যারী সুন্দরীর মতো ব্রিটিশ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কর আর কতকাল ভারতবাসী বিদেশিদের গোলামি করবে!! বাঙালি তো গরু, ছাগল ভ্যাড়া না যে আমাদের দিয়ে ব্রিটিশরা যা ইচ্ছা তাই করাবে?? আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে!! জাগো বাঙালি জাগো!!
“বাঙালি আমরা নহিতো মেষ”।
“বুঝলাম ভাইডি, ব্রিটিশ আমলে ঝাঁসির রানি লক্ষীবাঈ, বাংলার রানি ভবানী, কুষ্টিয়ার প্যারী সুন্দরী হক্কলডিই নিজেগো অধিকারের জন্য ফাইট করছে, তো অহন আপনে আবার কোন নারী চান যারা পোরশাষণের বিরুদ্ধে লড়াই করবো? আর একডা কথা আছে আমাগো রানি লক্ষীবাঈরা পোরশাষণের বিরুদ্ধে লড়াই কোরবো ক্যান? ক্যান? ক্যান?”
“ও মা, কচি খোকা, তুমি কি দেখছো না, নারী সংস্কার কমিশন কেবল একটা প্রস্তাব পেশ করেছে, এটা সরকারিভাবে কোনো বৈধতা পায়নি। এই সংস্কার প্রস্তাবের ওপর এখনো কোনো জনমত চাওয়া হয়নি। কোনো আলোচনাও হয়নি। কেবল প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতেই তোমরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে রেন্টে-এ-কারের বাস, মাইক্রোবাস, পাজেরো ভাড়া করে, কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিরায়ানির প্যাকেট ও ডানকনের পানির সাথে, খুলনা-বরিশালের ডাব সরবরাহ করে ঢাকার রাস্তাঘাটে ট্রাফিক জ্যাম বাধিয়ে ওই প্রাণীর লংকা বিজয়ের মতো যে শো-ডাউন করলেন তাতে তো মনে হলো কেবল প্রস্তাবেই কোটি কোটি টাকা খরচ করে শো-ডাউন, আর প্রস্তাব পাস হলে তো, হাজার কোটি টাকা খরচ শত শত লাশ পদদলিত করে রক্তগঙ্গা
বইয়ে দিয়ে বাংলার জনগণ বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন করে উন্মাদের ন্যায় উল্লাসে মেতে উঠবে!! ধিক, বাঙালি ধিক।”
“এইডা আপনে কি বলচেন যে, নারী সংস্কার কমিটি, সংস্কারের নামে আমাগো নিরীহ বাঙালিদের ওপর পশ্চিমা নীতি চাপাই দিবেন এইডা কি আপনে মাইন্না নিতে কন?”
“ও রে বাবুরে তুমি তো কচি খোকা, তুমি নিজেরে নিরীহ বাঙালি বলবে, তোমার ওপর পশ্চিমা বেলেল্লাপনা চাপিয়ে দিচ্ছে বলে প্রতিবাদ করবে আবার রাজু ভাস্কর্যের প্রতিবাদী নারীর মূর্তির গলায় জুতো পরিয়ে তোমরা বাঙালিরা তোমার মায়ের প্রতি কি সুন্দর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলে। আর এক দল তো আরও এক কাঠি সরেষ তারা তো নারী মূর্তিকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করল। এগুলো কোন বাঙালি সংস্কৃতি স্যার। আপনি যখন নাসির উদ্দিন হোজ্জাকে উল্টো গাধার পিঠে চড়িয়ে ঢাকার রাস্তা প্রদিক্ষণ করান এটা আপনার কোন বাঙালি সংস্কৃতি জনাব বলবেন? আপনি যে বাঙালি বাঙালি বলে মুখে ফ্যানা তুলছেন, আবার লাইব্রেরি থেকে বাঙালি কবি রবিন্দ্রনাথের বই, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের বই বের করে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন, এটা আপনার কোন বাঙালি কালচার স্যার!!”
“আরে ভাই আপনে দ্যেখেন নাই, সারা বিশ্বে নারীর দারিদ্রের সুযোগে, তারে দিয়া আপনে পুরুষরা হ্যেই বেডির ইচ্ছার বিরুদ্ধে হ্যেরে দিয়া হেই কাম করাইবেন, আর কোইবেন হ্যেরে সামাজিক বিশৃঙ্খলতা রোধের জন্য শ্রমিকের মর্যাদা দ্যেন!! এইডা কি ঠিক হোইবো?? দশটা-পাঁচটা ডিউটি কোরবো??
হ্যেরে পূজা-পার্বণে বোনাস দিবো ক্যেডা?”
“ও মনু, তোমার এ্যতোই যদি নারীর প্রতি দরদ তাহলে সারা বিশ্বে নারী-পুরুষের মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে ক্যেনো? তোমার অতো উন্নত ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ, তারা পযর্šÍ ১৯৬০ সালের আগে নারীদের ভোটাধিকার দ্যেয়নি!! তাহলে তোমার নারী প্রেম তো কেবল উপরে উপরে ভেতরে তুমি সেই আইয়ামে জাহালিয়া যুগেই আটকে আছো। যখন আরবে নারী সন্তান জন্মগ্রহণ করিলে তাহাকে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতিয়া দিতো!!”
“হুনছি, ভারতে হিন্দুস্থানে, অনেক পরিবার আছে, যারা আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে সন্তানের লিঙ্গ দেইখ্যা মাইয়া হোইলে অ্যাবোরশন করায়, আবার অনেক গ্রামে হুনছি মাইয়া হোইলে বাচ্চারে ধান খাওয়ায়া মাইরা ফেলে। এগুলা গোঁড়া হিন্দু কালচার। আমাগো বাঙালি এ্যখনো “মা”কে মা’বোললাই শ্রদ্ধা করেন।”
“স্যার বুঝলাম, আপনি বাঙালি “মা”কে মা, বোলেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, “মা”কে, মাম্মি, মাদার, এইসব বলে ঠিক “মা” ভাব জাগে না। তাহোলে বাংলায় যে হিন্দুদের হিন্দি শব্দের “আম্মিজান” শব্দটা বিগত স্বৈরাচার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল তখনতো কোনো প্রতিবাদ হয়নি। তাহলে এখন ক্যেনো তোমরা ক্ষেপে উঠলে?”
“আরে ভাই তহন তো গুম-খুন রাহাজানিরও কুনো পরতিবাদ হয় নাই। হ্যেই আমল ভুইল্লা অহন নতুন জেন-জি’র, যুগে “মা”য়েরে প্রকৃত সন্মান দেওনের জন্যই নারী সংস্কারের প্রস্তাবের সুযোগ দিছে। বুজছেন বাঙালি আর আপনের ভাষায় “মেষ” নাই, বাঙালি অহন “মোষ” মাইনে ভঁহিস তাগড়া জুয়ান। বাঙালি অহন যে কুনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফাইট দিবো দ্যেহেন না, হেইদিন মহিলা পুলিশরে হিডায়া থোতা-মোতা ফুলায়া দিছে।”
“এটা আবার কী বললি, এখানে “স্ত্রী” জাতির প্রতি কি সন্মান দ্যেখালি?”
“ক্যা বোজেন না! নারী-পুরুষ সমান অধিকার। জেন-জি, পুরুষ পুলিশেরও পিডাই আবার মহিলা পুলিশরেও পিডায়। দুইজনেই সমান।”
“থাক ভাই তোরা বাঙালিরা “মেষ” বা “মোষ” যা ইচ্ছা তাই থাক কিন্তু স্ত্রী’জাতিকে পিটিয়ে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করিসনা ভাই!!”
“নারী পুরুষ সমান অধিকার চাইবেন আর পুরুষগো মতুন হিডানি খাইবেন না! তা হোইবো না, তা হোইবো না।”
“মাপ চাই ভাই, মাপ চাই, আমি আর জীবনে তোর সামনে নারী-পুরুষের সমাধিকারের কথা বোলবো না।”
“হ্যেইডাই ভালা, বোবার কুনো শত্রু নাই।”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]