বাবুল কান্তি দাশ
জীবন কখনই একইরকম থাকে না। প্রতিটি নতুন সকাল, প্রতিটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন, আগের দিনের চেয়ে খানিকটা ভিন্ন হয়। কারণ আমরা প্রতিদিনই ধীরে ধীরে ক্ষয় করে চলেছি আমাদের মহামূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। আজকের দিনটিকে বাঁচাতে গিয়ে আমরা ভুলে যাচ্ছি আগামীকালের বিপন্নতা।
আশ্চর্যের বিষয়, এ বিষয়টি সম্পর্কে এখনও অধিকাংশ মানুষ অনবগত। তারা বুঝতে পারছে না- সচেতন প্রচেষ্টা ও কার্যকর কৌশল ছাড়া শুধু মানুষই নয়, পৃথিবীর সমস্ত জীব-প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে চলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পাখি ও প্রাণীর একাধিক প্রজাতি। ‘বউ কথা কও’, ‘ইস্টিকুটুম’, ‘নীলকণ্ঠ’-এর মতো পাখিদের দেখা পাওয়া আজ দুর্লভ। হাড়গিলে, শকুন, চড়–ই, ময়না, কাকাতুয়াও এখন প্রায় বিপন্ন। একই অবস্থা উদ্ভিদ জগতেরÑফলসা, আঁশফল, ডেলোর গাছ প্রায় বিলুপ্ত। যার ফলে পাখিদের খাদ্যচক্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
অন্যদিকে ঝোপজঙ্গল হারিয়ে যাওয়ায় গন্ধগোকুল, বাঘরোল প্রভৃতি বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে। ভোঁদর, গাধা, এমনকি অনেক মাছের প্রজাতিও আজ বিপন্ন, যেমন- মৌরলা, পুঁটি, বেলে। এর প্রভাব পড়েছে দরিদ্র শ্রেণির খাদ্যাভ্যাসেও।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের তীব্রতা থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে, আবহাওয়া কতটা অস্থির। জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘হর্ন অব আফ্রিকা’, সাহিল অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় তাপপ্রবাহ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ইতোমধ্যে সোমালিয়া, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও তাপপ্রবাহের তীব্রতা আগের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু পরিবেশ নয়, এর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে, বৃদ্ধ, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে। একুশ শতকের শেষে তাপপ্রবাহে মৃত্যুহার পৌঁছে যেতে পারে ক্যানসার বা সংক্রামক রোগে মৃত্যুর হারের সমান পর্যায়ে।
জাতিসংঘ ও রেড ক্রস পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপের কথা বলেছে, যার মধ্যে একটি হলোÑ তাপনিরোধক আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ। মহাসাগরের ওপরিস্তরের তাপমাত্রা নিয়ে ১৯৫৫ সাল থেকে চলা গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ। একে একে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়েছে ১৮৯ থেকে ২২৭ জেটাজুলস (এক জেটাজুলস = ১ এর পেছনে ২১টি শূন্য)। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন, অতিবৃষ্টি ও বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। সেইসঙ্গে গলে যাচ্ছে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফÑ প্রতি বছর এক লক্ষ কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে। মহাসাগরের লবণাক্ততা বাড়ছে, ধ্বংস হচ্ছে প্রবাল প্রাচীরÑবাস্তুতন্ত্র ধসে পড়ছে।
আইপিসিসির অনুমোদিত গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে সৃষ্ট বাড়তি তাপশক্তির ৯০ শতাংশই শুষে নিচ্ছে মহাসাগর। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা নির্ধারণ (১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) করা হয়েছিল, সেটি এখন জীবন রক্ষার জন্য ‘লাইফ সাপোর্টে’। বাস্তবে তা পৌঁছতে পারে ৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে। ২০১০-২০১৯ এর মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল এবং তা ক্রমেই বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প উৎস ব্যবহার, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ এবং নগর উন্নয়নে সবুজ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। পরিবহণ ও শিল্প খাতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দূষণ কমানো সম্ভব হয়েছে অনেক দেশেই। যেমনÑ ব্যাটারির দাম কমে যাওয়ায় ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বেড়েছে; কিন্তু বাস্তবতা হলোÑ অধিকাংশ দেশ এখনও ভোগবাদী মনোভাব থেকে বের হতে পারেনি।
আইপিসিসির প্রণেতারা আশাবাদী যে, সব রাষ্ট্র সম্মিলিত পদক্ষেপ নিলে এই বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব; কিন্তু প্রশ্ন হলো, মানুষ কি নিজের ভোগের আকাক্সক্ষা কমাবে? তারা কি প্রকৃতির সঙ্গে সংহতি বজায় রাখবে? এখনই যদি সতর্ক না হওয়া যায়, তাহলে মানবসভ্যতার টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
প্রাচীনকালে মানুষ পরিবেশ রক্ষাকে জীবনের অংশ বলে মানত। তখন আলাদা করে পরিবেশ আন্দোলনের প্রয়োজন পড়ত না। আজ সেই পরিবেশ রক্ষার ডাক দিতে হচ্ছে জীবনের তাগিদে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়াবহতা এতটাই বিস্তৃত যে তা শুধু একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা পৃথিবীজুড়ে। গত কয়েক দশকে তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা, ঝড়ের যে চরম প্রকৃতি দেখা যাচ্ছে, তা প্রমাণ করে আমাদের সভ্যতা এক অনিবার্য বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়ার আচমকা পরিবর্তনে অতীতে বহু সভ্যতা বিলুপ্ত হয়েছে। মায়া সভ্যতা তার অন্যতম উদাহরণ। তিন হাজার বছর টিকে থাকা সেই সভ্যতা দীর্ঘ খরার ফলে এক সময় পরিত্যক্ত হয়েছিল। আজকের মানবসভ্যতাও যদি সচেতন না হয়, তবে তার ভাগ্যও আলাদা হবে না।
তাই এখনই দরকার বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা, বিজ্ঞানসম্মত প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতা। আমাদের উচিত প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা, সবুজের প্রসার ঘটানো, প্লাস্টিক বর্জন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং শহরায়ণের নামে পরিবেশ ধ্বংসের লাগাম টেনে ধরা। নাগরিক, রাজনীতিক ও রাষ্ট্রÑতিন পক্ষের সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সমাজ। এখনই সময়Ñ জীবন ও সভ্যতা রক্ষার জন্য সক্রিয় হওয়া।
[লেখক : শিক্ষক, কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
বাবুল কান্তি দাশ
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
জীবন কখনই একইরকম থাকে না। প্রতিটি নতুন সকাল, প্রতিটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন, আগের দিনের চেয়ে খানিকটা ভিন্ন হয়। কারণ আমরা প্রতিদিনই ধীরে ধীরে ক্ষয় করে চলেছি আমাদের মহামূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। আজকের দিনটিকে বাঁচাতে গিয়ে আমরা ভুলে যাচ্ছি আগামীকালের বিপন্নতা।
আশ্চর্যের বিষয়, এ বিষয়টি সম্পর্কে এখনও অধিকাংশ মানুষ অনবগত। তারা বুঝতে পারছে না- সচেতন প্রচেষ্টা ও কার্যকর কৌশল ছাড়া শুধু মানুষই নয়, পৃথিবীর সমস্ত জীব-প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে চলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পাখি ও প্রাণীর একাধিক প্রজাতি। ‘বউ কথা কও’, ‘ইস্টিকুটুম’, ‘নীলকণ্ঠ’-এর মতো পাখিদের দেখা পাওয়া আজ দুর্লভ। হাড়গিলে, শকুন, চড়–ই, ময়না, কাকাতুয়াও এখন প্রায় বিপন্ন। একই অবস্থা উদ্ভিদ জগতেরÑফলসা, আঁশফল, ডেলোর গাছ প্রায় বিলুপ্ত। যার ফলে পাখিদের খাদ্যচক্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
অন্যদিকে ঝোপজঙ্গল হারিয়ে যাওয়ায় গন্ধগোকুল, বাঘরোল প্রভৃতি বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে। ভোঁদর, গাধা, এমনকি অনেক মাছের প্রজাতিও আজ বিপন্ন, যেমন- মৌরলা, পুঁটি, বেলে। এর প্রভাব পড়েছে দরিদ্র শ্রেণির খাদ্যাভ্যাসেও।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের তীব্রতা থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে, আবহাওয়া কতটা অস্থির। জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘হর্ন অব আফ্রিকা’, সাহিল অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় তাপপ্রবাহ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ইতোমধ্যে সোমালিয়া, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও তাপপ্রবাহের তীব্রতা আগের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু পরিবেশ নয়, এর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে, বৃদ্ধ, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে। একুশ শতকের শেষে তাপপ্রবাহে মৃত্যুহার পৌঁছে যেতে পারে ক্যানসার বা সংক্রামক রোগে মৃত্যুর হারের সমান পর্যায়ে।
জাতিসংঘ ও রেড ক্রস পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপের কথা বলেছে, যার মধ্যে একটি হলোÑ তাপনিরোধক আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ। মহাসাগরের ওপরিস্তরের তাপমাত্রা নিয়ে ১৯৫৫ সাল থেকে চলা গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ। একে একে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়েছে ১৮৯ থেকে ২২৭ জেটাজুলস (এক জেটাজুলস = ১ এর পেছনে ২১টি শূন্য)। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন, অতিবৃষ্টি ও বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। সেইসঙ্গে গলে যাচ্ছে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফÑ প্রতি বছর এক লক্ষ কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে। মহাসাগরের লবণাক্ততা বাড়ছে, ধ্বংস হচ্ছে প্রবাল প্রাচীরÑবাস্তুতন্ত্র ধসে পড়ছে।
আইপিসিসির অনুমোদিত গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে সৃষ্ট বাড়তি তাপশক্তির ৯০ শতাংশই শুষে নিচ্ছে মহাসাগর। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা নির্ধারণ (১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) করা হয়েছিল, সেটি এখন জীবন রক্ষার জন্য ‘লাইফ সাপোর্টে’। বাস্তবে তা পৌঁছতে পারে ৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে। ২০১০-২০১৯ এর মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল এবং তা ক্রমেই বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প উৎস ব্যবহার, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ এবং নগর উন্নয়নে সবুজ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। পরিবহণ ও শিল্প খাতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দূষণ কমানো সম্ভব হয়েছে অনেক দেশেই। যেমনÑ ব্যাটারির দাম কমে যাওয়ায় ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বেড়েছে; কিন্তু বাস্তবতা হলোÑ অধিকাংশ দেশ এখনও ভোগবাদী মনোভাব থেকে বের হতে পারেনি।
আইপিসিসির প্রণেতারা আশাবাদী যে, সব রাষ্ট্র সম্মিলিত পদক্ষেপ নিলে এই বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব; কিন্তু প্রশ্ন হলো, মানুষ কি নিজের ভোগের আকাক্সক্ষা কমাবে? তারা কি প্রকৃতির সঙ্গে সংহতি বজায় রাখবে? এখনই যদি সতর্ক না হওয়া যায়, তাহলে মানবসভ্যতার টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
প্রাচীনকালে মানুষ পরিবেশ রক্ষাকে জীবনের অংশ বলে মানত। তখন আলাদা করে পরিবেশ আন্দোলনের প্রয়োজন পড়ত না। আজ সেই পরিবেশ রক্ষার ডাক দিতে হচ্ছে জীবনের তাগিদে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়াবহতা এতটাই বিস্তৃত যে তা শুধু একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা পৃথিবীজুড়ে। গত কয়েক দশকে তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা, ঝড়ের যে চরম প্রকৃতি দেখা যাচ্ছে, তা প্রমাণ করে আমাদের সভ্যতা এক অনিবার্য বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়ার আচমকা পরিবর্তনে অতীতে বহু সভ্যতা বিলুপ্ত হয়েছে। মায়া সভ্যতা তার অন্যতম উদাহরণ। তিন হাজার বছর টিকে থাকা সেই সভ্যতা দীর্ঘ খরার ফলে এক সময় পরিত্যক্ত হয়েছিল। আজকের মানবসভ্যতাও যদি সচেতন না হয়, তবে তার ভাগ্যও আলাদা হবে না।
তাই এখনই দরকার বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা, বিজ্ঞানসম্মত প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতা। আমাদের উচিত প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা, সবুজের প্রসার ঘটানো, প্লাস্টিক বর্জন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং শহরায়ণের নামে পরিবেশ ধ্বংসের লাগাম টেনে ধরা। নাগরিক, রাজনীতিক ও রাষ্ট্রÑতিন পক্ষের সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সমাজ। এখনই সময়Ñ জীবন ও সভ্যতা রক্ষার জন্য সক্রিয় হওয়া।
[লেখক : শিক্ষক, কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]