alt

উপ-সম্পাদকীয়

ডায়ানার সাক্ষাৎকার বিতর্ক : ঘটনা ও তদন্ত

জন ওয়্যার

: বুধবার, ০২ জুন ২০২১
image

বিবিসির জনপ্রিয় অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান প্যানোরমায় প্রিন্সেস ডায়ানার সাক্ষাৎকার দেয়ার একটি মুহূর্ত

বিবিসির জনপ্রিয় অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান প্যানোরমায় প্রিন্সেস ডায়ানার একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। সেখানে তিনি ব্যক্তি ও দাম্পত্য জীবন এবং রাজপরিবার নিয়ে অকপটে অনেক কথাই বলেছিলেন। বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন বিবিসির সাংবাদিক মার্টিন বশির। প্রিন্সেস ডায়ানার ভাই আর্ল স্পেনসার তখন বলেছিলেন, সাংবাদিক বশির কিছু জাল দলিলপত্র দেখিয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বশিরের ‘প্রতারণামূলক’ কৌশলের ঘটনা বিবিসি ধামাচাপা দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সাবেক বিচারপতি লর্ড ডাইসনকে দিয়ে বিবিসি সম্প্রতি একটি তদন্ত করায়। সেই তদন্তের পর বশিরকে ‘অনির্ভরযোগ্য’, ‘প্রতারণাপূর্ণ’ ও ‘অসৎ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এরপর ২৫ বছর আগের সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে আবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিবিসি কি সে সময় তাদের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী চলতে পেরেছিল? এ নিয়ে লিখেছেন বিবিসির প্রতিবেদক জন ওয়্যার। সংবাদ-এর পাঠকদের জন্য লেখাটি প্রকাশ করা হলো।

২৫ বছর আগে বিবিসি প্যানারোমা প্রিন্সেস ডায়ানার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সেসময় বিশ্বের যে কোন গণমাধ্যমের জন্যই সেটি ছিল এক ঈর্ষণীয় ব্যাপার। অনুষ্ঠানটি ২ কোটি ৩০ লাখের মানুষ টিভিতে দেখেছে। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী মার্টিন বশিরের জীবনেও সাংবাদিক হিসেবে তা ছিল এক অনন্য অর্জন।

কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে সেই অনুষ্ঠান নিয়ে অভূতপূর্ব অভিযোগ জানান তার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য ডায়ানাকে ভুল বুঝিয়েছিলেন এমন অভিযোগ আসার পর সাবেক বিচারপতি লর্ড ডাইসনকে দিয়ে একটি তদন্ত করায় বিবিসি। ডাইসন সেই তদন্তের পর বশিরকে ‘অনির্ভরযোগ্য’, ‘প্রতারণাপূর্ণ’ ও ‘অসৎ’ হিসেবে অভিহিত করেন।

সাক্ষাৎকারটি প্রচারের অব্যবহিত পরেও একটি তদন্ত করেছিল বিবিসি। টনি হল, যিনি পরে বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল হয়েছিলেন, তদন্তটা করেছিলেন। কিন্তু তার মনে হয়েছিল, বশির ‘সৎ’। আর হলের সেই তদন্তকে এখন ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ও ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে অকার্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন ডাইসন।

এসব সত্ত্বেও ২৫ বছর আগে কী ঘটেছিল তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিংশ শতকের অন্যতম স্মরণীয় টিভি অনুষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত সেই সাক্ষাৎকারে ডায়ানা তার স্বামীর বিবাহবহির্ভূত প্রেম, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, তার [ডায়ানার নিজের] মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি সম্পর্কে কথা বলেন। একই সঙ্গে চার্লস যে রাজার দায়িত্ব পালনে অযোগ্য সে কথাও বলেন। এ সময় যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ রাজা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদপূর্ব পৃথক বাসে ছিলেন তিনি।

ওই সাক্ষাৎকারের ডায়ানাকে বশির প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি সত্যি মনে করেন আপনার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে? ডায়ানা তার সদর্থক উত্তর দিয়েছিলেন।

কিন্তু এখন যে অভিযোগটি উঠেছে সেটা হচ্ছে, আসলে বশিরই সাক্ষাৎকার দেয়ার আগের কয়েক সপ্তাহ ধরে ডায়ানার মাথায় ষড়যন্ত্রের ধারণাটা ঢুকিয়েছিলেন। বশিরই তাকে বলেছিলেন কীভাবে সাংবাদিক ও রাজপ্রাসাদের মানুষজন, গোয়েন্দা এমনকি তার বন্ধুরাও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর সাক্ষাৎকারটি প্রচারের সময়ই এসব কথা শোনা গিয়েছিল। বশির নাকি এই সাক্ষাৎকারের জন্য কিছু চালাকির আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন, তদন্ত করেও এর চেয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি।

কিন্তু সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে অভিযোগগুলো সামনে আসতে থাকে গত বছরের শেষ দিকে। তার সেই সাক্ষাৎকারের ২৫ বছর পূর্তির সময়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ডাইসনকে দিয়ে তদন্ত করায় বিবিসি। এই তদন্তে ডায়ানার ভাই আর্ল স্পেন্সারসহ যাদের সঙ্গেই ডাইসন কথা বলেছেন তাদের সবার কাছেই ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চায় বিবিসি। তাদের কাছ থেকে পাওয়া এমন কিছু তথ্য প্রতিষ্ঠানটি আইটিভি ও চ্যানেল ফোরকে দেয় যা সাংবাদিকেরা এত বছর ধরে খুঁজছিল।

এবার লর্ড ডাইসনের মতো বিবিসিও তাদের অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ঘেঁটে বলছে বশির যে শুধু ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা বলে গেছে তা-ই নয়, সাংবাদিকের নৈতিকতা ও বিবিসির নিয়মেরও মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে।

ডাইসন বলছেন এগুলো যে বশির ঝোঁকের বশে করেছেন তা নয়, বরং আগে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুসারেই করেছেন। খুবই সতর্কভাবে সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। (অসমাপ্ত)

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

প্রবাসীর ঈদ-ভাবনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

ধানের ফলন বাড়াতে ক্লাইমেট স্মার্ট গুটি ইউরিয়া প্রযুক্তি

কমিশন কিংবা ভিজিটে জমি রেজিস্ট্রির আইনি বিধান ও প্রাসঙ্গিকতা

ছবি

ঈদের অর্থনীতি

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের রাজনীতিতে ‘পোস্ট পার্টিশন সিনড্রম’

শিক্ষকের বঞ্চনা, শিক্ষকের বেদনা

নিরাপদ সড়ক কেন চাই

রম্যগদ্য : ‘প্রহরীর সাতশ কোটি টাকা...’

ছবি

অবন্তিকাদের আত্মহনন

শিক্ষাবিষয়ক ভাবনা

অপ্রয়োজনে সিজারিয়ান নয়

পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে

আত্মহত্যা রোধে নৈতিক শিক্ষা

আউশ ধান : পরিবেশ ও কৃষকবান্ধব ফসল

ছবি

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আতুড়ঘর

চেক ডিজঅনার মামলার অধিক্ষেত্র ও প্রাসঙ্গিকতা

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের কৃষি

ছবি

‘হৃৎ কলমের’ পাখি এবং আমাদের জেগে ওঠা

ছবি

ভূগর্ভস্থ পানি সুরক্ষায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ

tab

উপ-সম্পাদকীয়

ডায়ানার সাক্ষাৎকার বিতর্ক : ঘটনা ও তদন্ত

জন ওয়্যার

image

বিবিসির জনপ্রিয় অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান প্যানোরমায় প্রিন্সেস ডায়ানার সাক্ষাৎকার দেয়ার একটি মুহূর্ত

বুধবার, ০২ জুন ২০২১

বিবিসির জনপ্রিয় অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান প্যানোরমায় প্রিন্সেস ডায়ানার একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। সেখানে তিনি ব্যক্তি ও দাম্পত্য জীবন এবং রাজপরিবার নিয়ে অকপটে অনেক কথাই বলেছিলেন। বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন বিবিসির সাংবাদিক মার্টিন বশির। প্রিন্সেস ডায়ানার ভাই আর্ল স্পেনসার তখন বলেছিলেন, সাংবাদিক বশির কিছু জাল দলিলপত্র দেখিয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বশিরের ‘প্রতারণামূলক’ কৌশলের ঘটনা বিবিসি ধামাচাপা দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সাবেক বিচারপতি লর্ড ডাইসনকে দিয়ে বিবিসি সম্প্রতি একটি তদন্ত করায়। সেই তদন্তের পর বশিরকে ‘অনির্ভরযোগ্য’, ‘প্রতারণাপূর্ণ’ ও ‘অসৎ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এরপর ২৫ বছর আগের সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে আবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিবিসি কি সে সময় তাদের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী চলতে পেরেছিল? এ নিয়ে লিখেছেন বিবিসির প্রতিবেদক জন ওয়্যার। সংবাদ-এর পাঠকদের জন্য লেখাটি প্রকাশ করা হলো।

২৫ বছর আগে বিবিসি প্যানারোমা প্রিন্সেস ডায়ানার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সেসময় বিশ্বের যে কোন গণমাধ্যমের জন্যই সেটি ছিল এক ঈর্ষণীয় ব্যাপার। অনুষ্ঠানটি ২ কোটি ৩০ লাখের মানুষ টিভিতে দেখেছে। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী মার্টিন বশিরের জীবনেও সাংবাদিক হিসেবে তা ছিল এক অনন্য অর্জন।

কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে সেই অনুষ্ঠান নিয়ে অভূতপূর্ব অভিযোগ জানান তার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য ডায়ানাকে ভুল বুঝিয়েছিলেন এমন অভিযোগ আসার পর সাবেক বিচারপতি লর্ড ডাইসনকে দিয়ে একটি তদন্ত করায় বিবিসি। ডাইসন সেই তদন্তের পর বশিরকে ‘অনির্ভরযোগ্য’, ‘প্রতারণাপূর্ণ’ ও ‘অসৎ’ হিসেবে অভিহিত করেন।

সাক্ষাৎকারটি প্রচারের অব্যবহিত পরেও একটি তদন্ত করেছিল বিবিসি। টনি হল, যিনি পরে বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল হয়েছিলেন, তদন্তটা করেছিলেন। কিন্তু তার মনে হয়েছিল, বশির ‘সৎ’। আর হলের সেই তদন্তকে এখন ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ও ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে অকার্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন ডাইসন।

এসব সত্ত্বেও ২৫ বছর আগে কী ঘটেছিল তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিংশ শতকের অন্যতম স্মরণীয় টিভি অনুষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত সেই সাক্ষাৎকারে ডায়ানা তার স্বামীর বিবাহবহির্ভূত প্রেম, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, তার [ডায়ানার নিজের] মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি সম্পর্কে কথা বলেন। একই সঙ্গে চার্লস যে রাজার দায়িত্ব পালনে অযোগ্য সে কথাও বলেন। এ সময় যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ রাজা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদপূর্ব পৃথক বাসে ছিলেন তিনি।

ওই সাক্ষাৎকারের ডায়ানাকে বশির প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি সত্যি মনে করেন আপনার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে? ডায়ানা তার সদর্থক উত্তর দিয়েছিলেন।

কিন্তু এখন যে অভিযোগটি উঠেছে সেটা হচ্ছে, আসলে বশিরই সাক্ষাৎকার দেয়ার আগের কয়েক সপ্তাহ ধরে ডায়ানার মাথায় ষড়যন্ত্রের ধারণাটা ঢুকিয়েছিলেন। বশিরই তাকে বলেছিলেন কীভাবে সাংবাদিক ও রাজপ্রাসাদের মানুষজন, গোয়েন্দা এমনকি তার বন্ধুরাও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর সাক্ষাৎকারটি প্রচারের সময়ই এসব কথা শোনা গিয়েছিল। বশির নাকি এই সাক্ষাৎকারের জন্য কিছু চালাকির আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন, তদন্ত করেও এর চেয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি।

কিন্তু সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে অভিযোগগুলো সামনে আসতে থাকে গত বছরের শেষ দিকে। তার সেই সাক্ষাৎকারের ২৫ বছর পূর্তির সময়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ডাইসনকে দিয়ে তদন্ত করায় বিবিসি। এই তদন্তে ডায়ানার ভাই আর্ল স্পেন্সারসহ যাদের সঙ্গেই ডাইসন কথা বলেছেন তাদের সবার কাছেই ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চায় বিবিসি। তাদের কাছ থেকে পাওয়া এমন কিছু তথ্য প্রতিষ্ঠানটি আইটিভি ও চ্যানেল ফোরকে দেয় যা সাংবাদিকেরা এত বছর ধরে খুঁজছিল।

এবার লর্ড ডাইসনের মতো বিবিসিও তাদের অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ঘেঁটে বলছে বশির যে শুধু ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা বলে গেছে তা-ই নয়, সাংবাদিকের নৈতিকতা ও বিবিসির নিয়মেরও মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে।

ডাইসন বলছেন এগুলো যে বশির ঝোঁকের বশে করেছেন তা নয়, বরং আগে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুসারেই করেছেন। খুবই সতর্কভাবে সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। (অসমাপ্ত)

back to top