alt

উপ-সম্পাদকীয়

উদ্যোক্তা উন্নয়নে চাই সামগ্রিক পরিকল্পনা

কেএম মাসুম বিল্লাহ

: বুধবার, ০৯ জুন ২০২১

দেশে চার জন তরুণের মধ্যে একজন বেকার। প্রতি বছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করছে সেই তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। এছাড়াও সরকারি ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে একটি চাকরি নিশ্চিত করতে স্নাতক পাসের পরও একটি নির্দিষ্ট সময় চলে যায় প্রস্তুতি নিতে। প্রস্তুতি নিয়ে সবাই যে সফল হচ্ছে তাও নয় বরং প্রতি বছর চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত তরুণদের সংখ্যা বেড়ে চলছে। যারা পরিবার ও সমাজের বোঝা হিসেবে চিহ্নিত। হতাশাগ্রস্ত অনেকে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথও।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের চাকরিকেন্দ্রিক মনোভাব তৈরি করছে। অধিকাংশ অভিভাবকও চায় সন্তান যেন পড়াশোনা শেষ করে একটি ভালো মানের চাকরি পায়। অন্যদিকে উদ্যোক্তা উন্নয়নের দিকে সরকার জোর দিলেও আর্থ-সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে খুব কম সংখ্যক শিক্ষিত যুবক সেদিকে ঝুঁকছে। ফলে উদ্যোক্তা তৈরির চিত্র খুব বেশি আশাব্যঞ্জক হচ্ছে না। একজন চাকরিজীবী সমাজে যেমন সম্মান ও মর্যাদা পেয়ে থাকেন, একজন উদ্যোক্তা কখনই তা পান না। এছাড়াও চাকরিজীবীদের মাস শেষে বেতনের নিশ্চয়তা থাকে কিন্তু একজন উদ্যোক্তাকে প্রথম দিকে অনেক প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেকেই সেই ঝুঁকি নিতে সাহস করেন না। আবার উদ্যোক্তা তৈরিতে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের সঙ্গে তরুণদের সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে।

একজন তরুণের চাকরি হলে সে শুধু নিজের পরিবারের সহায়ক হয়, অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা তার সঙ্গে ১০-১৫ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পারিবারিক চিন্তা বদলাতে হবে। কারণ সফল উদ্যোক্তা হতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পরিবার ও নিকটজনের সহযোগিতা। আর সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চাকরিকেন্দ্রিক মনোভাব তৈরি পরিহার করে ঢেলে সজাতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের বিশেষ বীমার ব্যবস্থা করা দরকার যাতে করে তরুণরা ঝুঁকি নিতে সাহস পায়।

[লেখক : ব্যাংক কর্মকর্তা]

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

tab

উপ-সম্পাদকীয়

উদ্যোক্তা উন্নয়নে চাই সামগ্রিক পরিকল্পনা

কেএম মাসুম বিল্লাহ

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১

দেশে চার জন তরুণের মধ্যে একজন বেকার। প্রতি বছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করছে সেই তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। এছাড়াও সরকারি ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে একটি চাকরি নিশ্চিত করতে স্নাতক পাসের পরও একটি নির্দিষ্ট সময় চলে যায় প্রস্তুতি নিতে। প্রস্তুতি নিয়ে সবাই যে সফল হচ্ছে তাও নয় বরং প্রতি বছর চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত তরুণদের সংখ্যা বেড়ে চলছে। যারা পরিবার ও সমাজের বোঝা হিসেবে চিহ্নিত। হতাশাগ্রস্ত অনেকে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথও।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের চাকরিকেন্দ্রিক মনোভাব তৈরি করছে। অধিকাংশ অভিভাবকও চায় সন্তান যেন পড়াশোনা শেষ করে একটি ভালো মানের চাকরি পায়। অন্যদিকে উদ্যোক্তা উন্নয়নের দিকে সরকার জোর দিলেও আর্থ-সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে খুব কম সংখ্যক শিক্ষিত যুবক সেদিকে ঝুঁকছে। ফলে উদ্যোক্তা তৈরির চিত্র খুব বেশি আশাব্যঞ্জক হচ্ছে না। একজন চাকরিজীবী সমাজে যেমন সম্মান ও মর্যাদা পেয়ে থাকেন, একজন উদ্যোক্তা কখনই তা পান না। এছাড়াও চাকরিজীবীদের মাস শেষে বেতনের নিশ্চয়তা থাকে কিন্তু একজন উদ্যোক্তাকে প্রথম দিকে অনেক প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেকেই সেই ঝুঁকি নিতে সাহস করেন না। আবার উদ্যোক্তা তৈরিতে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের সঙ্গে তরুণদের সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে।

একজন তরুণের চাকরি হলে সে শুধু নিজের পরিবারের সহায়ক হয়, অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা তার সঙ্গে ১০-১৫ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পারিবারিক চিন্তা বদলাতে হবে। কারণ সফল উদ্যোক্তা হতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পরিবার ও নিকটজনের সহযোগিতা। আর সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চাকরিকেন্দ্রিক মনোভাব তৈরি পরিহার করে ঢেলে সজাতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের বিশেষ বীমার ব্যবস্থা করা দরকার যাতে করে তরুণরা ঝুঁকি নিতে সাহস পায়।

[লেখক : ব্যাংক কর্মকর্তা]

back to top