alt

উপ-সম্পাদকীয়

বাবার জন্য ভালোবাসা সীমাহীন

রেজাউল করিম খোকন

: শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

আজকের দিনে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে সময় দিচ্ছে না বলে সময়ের ধারাবাহিকতায় পারিবারিক অপশাসনে সন্তান হচ্ছে বিপথগামী, সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত, উচ্ছৃঙ্খল, ভয়ঙ্কর অপরাধী। অসৎ সঙ্গে তাদের জীবন হচ্ছে পংকিলতায় পরিপূর্ণ, সন্তান ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। বাবা-মাকে এ জন্য শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরতে হবে। সন্তানের প্রতি বাবা হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

যার ঔরসে সন্তানের পৃথিবীতে আগমন সেই বাবা সন্তানের জন্য যেন এক নিবিড় ছায়া। যার কাজ দুঃখ কষ্ট থেকে দূরে সরিয়ে রেখে সন্তানকে ভালোবাসার আর্দ্রতা উপহার দেয়া। রক্তের বাঁধনে বাধা চমৎকার সম্পর্ক বাবা ও সন্তানের। সন্তান ও বাবার সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হচ্ছে শ্রদ্ধা। বাবার কাছেই তার যত আবদার, যেন বাবাই তার আশ্রয়। তাই বেশিরভাগ সন্তানের চোখে বাবাই শ্রেষ্ঠ মানুষ। পুত্র জীবনযুদ্ধে বাবাকে মূলত সেনাপতি হিসেবে দেখে, যার শাসনাধীনেই চালিত হয় তা যাপিত জীবন। শৈশব কৈশোরে পিতাই হন সন্তানের ফ্রেন্ড, ফিলোসফার অ্যান্ড গাইড। অন্যদিকে সন্তানের মাঝে সাধারণত পিতা নিজের ছায়া দেখতে পান কিংবা দেখতে চান নিজের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে না পারা বাবা তার সন্তানের মাধ্যমে সেই আশা স্বপ্ন পূরণের নতুন স্বপ্ন বুনতে থাকেন। ব্যর্থ স্বপ্ন ও সাধ পূরণ করতে চান বাবা সন্তানের মাধ্যমেই। আর সন্তানও বেশিরভাগ সময় প্রভাবিত হয়ে বাবার ব্যক্তিত্বের ছায়ায়।

বাবার কাঁধটা কি অন্য সবার চেয়ে বেশি চওড়া? তা না হলে কি করে সমাজ- সংসারের এত দায়ভার অবলীলায় বয়ে বেড়ান বাবা। বাবার পা কি অন্য সবার চেয়ে অনে বেশি দ্রুত চলে? নইলে এতটা পথ এত অল্প সময়ে কি করে এত শক্ত করে সব কিছু আগলে রাখেন বাবা। আর বাবার ছায়া? সেটাও শেষ বিকেলের বটগাছের ছায়ার চাইতেও বড়। বড় যদি না হবে তবে জীবনের এত উত্তাপ থেকে কি করে সন্তানকে সামলে রাখেন বাবা আর বাবার চোখ? সেটাও কি দেখতে পায় কল্পনার অতীত কোন দূরত্ব। তা না হলে কি করে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনায় শঙ্কিত হন বাবা।

বাবার জন্য সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ কোন দিনের প্রয়োজন নেই। সীমাবদ্ধ বলয়ে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাকে আবদ্ধ করা সম্ভব নয়। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার অবিরাম ধারা বয়ে চলে বছরের প্রতিটি দিন। জীবনের ঘানি টানতে টানতে বাবা এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন, বয়সের ভারে ন্যুব্জ হন, বার্ধক্য তাকে গ্রাস করে। তখন তিনি হয়ে পড়েন অনেকটা অসহায়, দুর্বল। রোগব্যাধি তাকে আরও বিপর্যস্ত করে তোলে। এ সময় বাবা চান সন্তান যেন তার পাশে থাকে। সব সময় যেমন তিনি ছিলেন সন্তানের পাশে তার সব প্রয়োজনে পাশে, যখন সন্তান ছিল শিশু অবস্থা। সন্তানের কাছ থেকে অবহেলা কিংবা দুর্ব্যবহার পেলে বাবার হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালিত হয়। আমাদের দেশেও আজকাল বেশ ঘটা করেই বাবা দিবস পালিত হয়ে থাকে। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। যদিও বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের প্রয়োজন হয় না। তার পরেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে এখন বাবা দিবস পালন করা হয়। তাই বলে এ ধরনের দিবসগুলো যে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় তা কিন্তু বলা যাবে না।

বাবা দিবসের প্রাক্কালে সন্তানের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে অন্তরের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা জানানোর। আমাদের সবার উচিত বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। তারা বৃদ্ধ বয়সে যাতে কোনভাবে অবহেলার শিকার না হন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। অনেক সন্তান রয়েছে, যারা মা-বাবার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে বাবা-মায়ের প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

[লেখক : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা]

প্রাচীন যৌধেয় জাতি ও তাদের সাম্যবাদী শাসন

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

বাবার জন্য ভালোবাসা সীমাহীন

রেজাউল করিম খোকন

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

আজকের দিনে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে সময় দিচ্ছে না বলে সময়ের ধারাবাহিকতায় পারিবারিক অপশাসনে সন্তান হচ্ছে বিপথগামী, সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত, উচ্ছৃঙ্খল, ভয়ঙ্কর অপরাধী। অসৎ সঙ্গে তাদের জীবন হচ্ছে পংকিলতায় পরিপূর্ণ, সন্তান ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। বাবা-মাকে এ জন্য শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরতে হবে। সন্তানের প্রতি বাবা হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

যার ঔরসে সন্তানের পৃথিবীতে আগমন সেই বাবা সন্তানের জন্য যেন এক নিবিড় ছায়া। যার কাজ দুঃখ কষ্ট থেকে দূরে সরিয়ে রেখে সন্তানকে ভালোবাসার আর্দ্রতা উপহার দেয়া। রক্তের বাঁধনে বাধা চমৎকার সম্পর্ক বাবা ও সন্তানের। সন্তান ও বাবার সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হচ্ছে শ্রদ্ধা। বাবার কাছেই তার যত আবদার, যেন বাবাই তার আশ্রয়। তাই বেশিরভাগ সন্তানের চোখে বাবাই শ্রেষ্ঠ মানুষ। পুত্র জীবনযুদ্ধে বাবাকে মূলত সেনাপতি হিসেবে দেখে, যার শাসনাধীনেই চালিত হয় তা যাপিত জীবন। শৈশব কৈশোরে পিতাই হন সন্তানের ফ্রেন্ড, ফিলোসফার অ্যান্ড গাইড। অন্যদিকে সন্তানের মাঝে সাধারণত পিতা নিজের ছায়া দেখতে পান কিংবা দেখতে চান নিজের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে না পারা বাবা তার সন্তানের মাধ্যমে সেই আশা স্বপ্ন পূরণের নতুন স্বপ্ন বুনতে থাকেন। ব্যর্থ স্বপ্ন ও সাধ পূরণ করতে চান বাবা সন্তানের মাধ্যমেই। আর সন্তানও বেশিরভাগ সময় প্রভাবিত হয়ে বাবার ব্যক্তিত্বের ছায়ায়।

বাবার কাঁধটা কি অন্য সবার চেয়ে বেশি চওড়া? তা না হলে কি করে সমাজ- সংসারের এত দায়ভার অবলীলায় বয়ে বেড়ান বাবা। বাবার পা কি অন্য সবার চেয়ে অনে বেশি দ্রুত চলে? নইলে এতটা পথ এত অল্প সময়ে কি করে এত শক্ত করে সব কিছু আগলে রাখেন বাবা। আর বাবার ছায়া? সেটাও শেষ বিকেলের বটগাছের ছায়ার চাইতেও বড়। বড় যদি না হবে তবে জীবনের এত উত্তাপ থেকে কি করে সন্তানকে সামলে রাখেন বাবা আর বাবার চোখ? সেটাও কি দেখতে পায় কল্পনার অতীত কোন দূরত্ব। তা না হলে কি করে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনায় শঙ্কিত হন বাবা।

বাবার জন্য সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ কোন দিনের প্রয়োজন নেই। সীমাবদ্ধ বলয়ে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাকে আবদ্ধ করা সম্ভব নয়। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার অবিরাম ধারা বয়ে চলে বছরের প্রতিটি দিন। জীবনের ঘানি টানতে টানতে বাবা এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন, বয়সের ভারে ন্যুব্জ হন, বার্ধক্য তাকে গ্রাস করে। তখন তিনি হয়ে পড়েন অনেকটা অসহায়, দুর্বল। রোগব্যাধি তাকে আরও বিপর্যস্ত করে তোলে। এ সময় বাবা চান সন্তান যেন তার পাশে থাকে। সব সময় যেমন তিনি ছিলেন সন্তানের পাশে তার সব প্রয়োজনে পাশে, যখন সন্তান ছিল শিশু অবস্থা। সন্তানের কাছ থেকে অবহেলা কিংবা দুর্ব্যবহার পেলে বাবার হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালিত হয়। আমাদের দেশেও আজকাল বেশ ঘটা করেই বাবা দিবস পালিত হয়ে থাকে। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। যদিও বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের প্রয়োজন হয় না। তার পরেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে এখন বাবা দিবস পালন করা হয়। তাই বলে এ ধরনের দিবসগুলো যে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় তা কিন্তু বলা যাবে না।

বাবা দিবসের প্রাক্কালে সন্তানের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে অন্তরের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা জানানোর। আমাদের সবার উচিত বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। তারা বৃদ্ধ বয়সে যাতে কোনভাবে অবহেলার শিকার না হন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। অনেক সন্তান রয়েছে, যারা মা-বাবার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে বাবা-মায়ের প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

[লেখক : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা]

back to top