alt

উপ-সম্পাদকীয়

আম রপ্তানির অন্তরায়

জাহাঙ্গীর সেলিম

: শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

দেশের আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য আশারবাণী হলো আম রপ্তানির জন্য প্রধানমন্ত্রী দুটো কার্গো বিমান কেনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। দেশের উদ্বৃত্ত রপ্তানির জন্য এর থেকে উত্তম ব্যবস্থা আর কি হতে পারে! ১৯ জুন (২০২২) চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দিনব্যাপী আম উৎসবে এমন আশারবাণী শোনালেন প্রধান অতিথি হিসেবে আগত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। কানসাটে অবস্থিত ১০০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম’ উৎসবের উদ্যোক্তা ছিল বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন। উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় আমচাষি, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য মহলে সাজ সাজ রব দেখা যায়।

আলোচনা সভা ছিল এক তরফা অর্থাৎ মন্ত্রী, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। স্থানীয় আমচাষি-ব্যবসায়ী ও এতদসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে দেশের প্রধান আম উৎপাদনকারী জেলাসহ অন্যান্য জেলার চাষি ব্যবসায়ীদের রপ্তানি প্রক্রিয়ায় যে সব প্রতিবন্ধকতা বছরের পর বছর ধরে বিরাজমান তা ব্যক্ত করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলো। এবং এভাবেই তাদের ফরিয়াদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট পৌঁছল না। হালে সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ কারণে মৌসুমের সুমিষ্ট আম উৎপাদনে উদ্বৃত্ত হওয়া সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না-সে সবের চুলচেরা বিশ্লেষণে কর্তৃপক্ষের আগ্রহ দেখা যায় না।

বিগত এক দর্শকের কম সময়ের মধ্যে আমের উৎপাদন ১০ লাখ টন থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ২৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে আরও অনেক বেশি উৎপাদন বেড়ে যাবে। কেননা বিগত দশকটি আম রপ্তানির পরিসংখ্যানে চরম হতাশার দৃশ্য প্রতীয়মান। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নাচোলের (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এক বাগান থেকে সেখানকার এক ব্যবসায়ী সুইডেনের মতো উন্নত বিশ্বে সর্বপ্রথম দেশ থেকে সে দেশের নিয়মকানুন ও প্রক্রিয়াসম্পন্ন করে স্বল্প পরিমাণে রপ্তানি করে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন। সেই থেকে শুরু, কিন্তু প্রতি বছর সন্তোষজনক বাড়ার পরিবর্তে বিগত বছরে রপ্তানি মাত্র ১৬৬২ মে. টন। অথচ আমের উৎপাদন ছিল প্রায় ২৫ লাখ টন।

রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপারে মন্ত্রীদের আহ্বানের শেষ নেই। অথচ আম রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করে রপ্তানি বান্ধব পরিবেশ এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ ফাইলবন্দি অবস্থায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে রয়েছে। মন্ত্রীর আন্তরিকতা প্রদর্শনের সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট যেমন- সম্প্রসারণ বিভাগ, কোয়ারেন্টাইন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অন্যান্য দপ্তরের আন্তরিকতার প্রশ্ন জড়িত। কেননা বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে ফরমালিনের নামে ট্রাকের পর ট্রাক বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে, আম পাড়ার সময় নির্ধারণ, বিশেষ জেলার আম কোয়ারেন্টাইনে অনুত্তীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের অন্যান্য জেলায় উৎপাদিত আমের কোয়ারেন্টাইন বা ছাড়পত্র সে বছর দেয়া হয়নি, এক বিশেষ জেলার কাঁচা আম অবৈধ প্রক্রিয়ায় পাকিয়ে বিদেশে রপ্তানি এবং সমস্ত আম ফেরৎ আসার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার পেছনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোন কোন বিভাগ অবশ্যই জড়িত ছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আম রপ্তানি অত্যন্ত সীমিত হওয়া সত্ত্বেও কৃষি দপ্তরের কোন কোন বিভাগ কৃষকদের ফ্রুট ব্যাগিং করতে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে। ফলে রমরমা ফ্রুট ব্যাগিং ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, এটা প্রতারণার শামিল। এ কারণে কোটি কোটি আম ব্যাগিং করে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে এসব আমের প্রত্যাশিত মূল্য দূরে থাক উৎপাদন খরচ উঠাতে না পেরে হতাশায় ভুগছে। কেননা স্থানীয় বাজারে এ আমের চাহিদা কম।

স্বাভাবিক প্রশ্ন-রপ্তানির পরিমাণ কেন বাড়ছে না? আমি রপ্তানি বাড়াতে কার্গো বিমান নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তার আগে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য রপ্তানিবান্ধব সহায়তার অংশ হিসেবে কিছু ছোট ছোট অবকাঠামো নির্মাণে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। এ লক্ষ্যে প্রস্তাবিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সাতক্ষীরায় একটি করে ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্টসহ কোয়ারেন্টেশন, প্যাকেজিং সুবিধার অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ অজ্ঞাত কারণে ঝুলে রয়েছে। এ ধরনের একটি মাত্র অবকাঠামো নারায়ণগঞ্জের শ্যামপুরের মতো যানজটের নাকালে জর্জরিত স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে কাক্সিক্ষত সুবিধা পাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন জড়িত। এ স্থানকে কোনভাবে কৃষকবান্ধব বলা যায় না। ফলে প্রস্তাবিত উক্ত তিনটি স্থানে কালবিলম্ব না করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হোক।

একই সঙ্গে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রস্তাবটি হলো রাজশাহী বিমান বন্দরে কার্গো বিমান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হোক। যানজটমুক্ত রাস্তাঘাটের কারণে রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে পশ্চিমাঞ্চল থেকে আম রপ্তানি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

[লেখক : প্রাবন্ধিক]

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

tab

উপ-সম্পাদকীয়

আম রপ্তানির অন্তরায়

জাহাঙ্গীর সেলিম

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

দেশের আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য আশারবাণী হলো আম রপ্তানির জন্য প্রধানমন্ত্রী দুটো কার্গো বিমান কেনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। দেশের উদ্বৃত্ত রপ্তানির জন্য এর থেকে উত্তম ব্যবস্থা আর কি হতে পারে! ১৯ জুন (২০২২) চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দিনব্যাপী আম উৎসবে এমন আশারবাণী শোনালেন প্রধান অতিথি হিসেবে আগত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। কানসাটে অবস্থিত ১০০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম’ উৎসবের উদ্যোক্তা ছিল বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন। উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় আমচাষি, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য মহলে সাজ সাজ রব দেখা যায়।

আলোচনা সভা ছিল এক তরফা অর্থাৎ মন্ত্রী, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। স্থানীয় আমচাষি-ব্যবসায়ী ও এতদসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে দেশের প্রধান আম উৎপাদনকারী জেলাসহ অন্যান্য জেলার চাষি ব্যবসায়ীদের রপ্তানি প্রক্রিয়ায় যে সব প্রতিবন্ধকতা বছরের পর বছর ধরে বিরাজমান তা ব্যক্ত করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলো। এবং এভাবেই তাদের ফরিয়াদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট পৌঁছল না। হালে সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ কারণে মৌসুমের সুমিষ্ট আম উৎপাদনে উদ্বৃত্ত হওয়া সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না-সে সবের চুলচেরা বিশ্লেষণে কর্তৃপক্ষের আগ্রহ দেখা যায় না।

বিগত এক দর্শকের কম সময়ের মধ্যে আমের উৎপাদন ১০ লাখ টন থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ২৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে আরও অনেক বেশি উৎপাদন বেড়ে যাবে। কেননা বিগত দশকটি আম রপ্তানির পরিসংখ্যানে চরম হতাশার দৃশ্য প্রতীয়মান। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নাচোলের (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এক বাগান থেকে সেখানকার এক ব্যবসায়ী সুইডেনের মতো উন্নত বিশ্বে সর্বপ্রথম দেশ থেকে সে দেশের নিয়মকানুন ও প্রক্রিয়াসম্পন্ন করে স্বল্প পরিমাণে রপ্তানি করে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন। সেই থেকে শুরু, কিন্তু প্রতি বছর সন্তোষজনক বাড়ার পরিবর্তে বিগত বছরে রপ্তানি মাত্র ১৬৬২ মে. টন। অথচ আমের উৎপাদন ছিল প্রায় ২৫ লাখ টন।

রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপারে মন্ত্রীদের আহ্বানের শেষ নেই। অথচ আম রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করে রপ্তানি বান্ধব পরিবেশ এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ ফাইলবন্দি অবস্থায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে রয়েছে। মন্ত্রীর আন্তরিকতা প্রদর্শনের সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট যেমন- সম্প্রসারণ বিভাগ, কোয়ারেন্টাইন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অন্যান্য দপ্তরের আন্তরিকতার প্রশ্ন জড়িত। কেননা বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে ফরমালিনের নামে ট্রাকের পর ট্রাক বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে, আম পাড়ার সময় নির্ধারণ, বিশেষ জেলার আম কোয়ারেন্টাইনে অনুত্তীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের অন্যান্য জেলায় উৎপাদিত আমের কোয়ারেন্টাইন বা ছাড়পত্র সে বছর দেয়া হয়নি, এক বিশেষ জেলার কাঁচা আম অবৈধ প্রক্রিয়ায় পাকিয়ে বিদেশে রপ্তানি এবং সমস্ত আম ফেরৎ আসার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার পেছনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোন কোন বিভাগ অবশ্যই জড়িত ছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আম রপ্তানি অত্যন্ত সীমিত হওয়া সত্ত্বেও কৃষি দপ্তরের কোন কোন বিভাগ কৃষকদের ফ্রুট ব্যাগিং করতে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে। ফলে রমরমা ফ্রুট ব্যাগিং ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, এটা প্রতারণার শামিল। এ কারণে কোটি কোটি আম ব্যাগিং করে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে এসব আমের প্রত্যাশিত মূল্য দূরে থাক উৎপাদন খরচ উঠাতে না পেরে হতাশায় ভুগছে। কেননা স্থানীয় বাজারে এ আমের চাহিদা কম।

স্বাভাবিক প্রশ্ন-রপ্তানির পরিমাণ কেন বাড়ছে না? আমি রপ্তানি বাড়াতে কার্গো বিমান নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তার আগে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের জন্য রপ্তানিবান্ধব সহায়তার অংশ হিসেবে কিছু ছোট ছোট অবকাঠামো নির্মাণে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। এ লক্ষ্যে প্রস্তাবিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সাতক্ষীরায় একটি করে ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্টসহ কোয়ারেন্টেশন, প্যাকেজিং সুবিধার অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ অজ্ঞাত কারণে ঝুলে রয়েছে। এ ধরনের একটি মাত্র অবকাঠামো নারায়ণগঞ্জের শ্যামপুরের মতো যানজটের নাকালে জর্জরিত স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে কাক্সিক্ষত সুবিধা পাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন জড়িত। এ স্থানকে কোনভাবে কৃষকবান্ধব বলা যায় না। ফলে প্রস্তাবিত উক্ত তিনটি স্থানে কালবিলম্ব না করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হোক।

একই সঙ্গে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রস্তাবটি হলো রাজশাহী বিমান বন্দরে কার্গো বিমান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হোক। যানজটমুক্ত রাস্তাঘাটের কারণে রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে পশ্চিমাঞ্চল থেকে আম রপ্তানি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

[লেখক : প্রাবন্ধিক]

back to top