alt

উপ-সম্পাদকীয়

সাকরাইন উৎসব

আবদুল্লাহ আল মামুন

: শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
image

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ পুরান ঢাকা। এখানের মানুষ খুবই সংস্কৃতি প্রিয়। প্রতি বছর যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুব ধুমধাম করে পালন করেন তাঁরা। আর সাকরাইন উৎসব তার মধ্যে অন্যতম। এটি প্রায় ২শ’ বছরের প্রাচীন উৎসব। আর এ সাকরাইন উৎসব শুধু পুরান ঢাকাতে পালন করা হয়। উৎসবটি পৌষ সংক্রান্তি এবং ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত।

সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। পৌষ ও মাঘ মাসের সন্ধিক্ষণে বা পৌষ মাসের শেষদিন সারা ভারতবর্ষে সংক্রান্তি উৎসব উদযাপিত হয়। তবে পুরান ঢাকায় পৌষ সংক্রান্তি বা সাকরাইন সার্বজনীন ঢাকাইয়া উৎসবের রূপ নিয়েছে। বর্তমানে দিনভর ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও রঙবেরঙ ফানুশে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী শহরের আকাশ।

এক কথায় বলা যায়, সাকরাইন হচ্ছে এক ধরনের ঘুড়ি উৎসব। বাংলা বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস পৌষ মাসের শেষ দিনে আয়োজিত হয়, যা গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিকার হিসেবে জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে পড়ে। বাংলায় দিনটি পৌষ সংক্রান্তি এবং ভারতীয় উপমহাদেশে মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত।

কিন্তু জনবহুল ঢাকা শহরে এই প্রাচীন সাকরাইন উৎসব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আতশবাজির শব্দ মাত্রারিক্ত বেড়ে যায়। এ সময় মানুষের ঘুমের তীব্র ব্যাঘাত ঘটায়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আতশবাজির শব্দে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া শিশুরা ভয় পেয়ে যায়। নতুন বছর উদযাপন করার সময় রাতে অনেক পাখি মারা যায়। তারা আতশবাজির আওয়াজে এখানে-ওখানে উড়তে থাকে। গত বছর, হাসপাতালে ভর্তি ৯ মাসের একটা শিশু মারা যায়; যা কখনো কাম্য ছিল না। ফানুস আকাশে উড়ার সময় অনেক দালানকোঠায় আগুন লেগে যায়।

যেখানে উৎসব পালন করা হয় আনন্দ-উল্লাসের জন্য, সেখানে উৎসব পরিবেশ দূষণে রূপ নিয়েছে। সুতরাং আমাদের সবার উচিত সাকরাইন উৎসব যেন অন্যের সমস্যার সৃষ্টি না করে সেদিকে নজর দেয়া।

[লেখক : শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

tab

উপ-সম্পাদকীয়

সাকরাইন উৎসব

আবদুল্লাহ আল মামুন

image

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ পুরান ঢাকা। এখানের মানুষ খুবই সংস্কৃতি প্রিয়। প্রতি বছর যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুব ধুমধাম করে পালন করেন তাঁরা। আর সাকরাইন উৎসব তার মধ্যে অন্যতম। এটি প্রায় ২শ’ বছরের প্রাচীন উৎসব। আর এ সাকরাইন উৎসব শুধু পুরান ঢাকাতে পালন করা হয়। উৎসবটি পৌষ সংক্রান্তি এবং ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত।

সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। পৌষ ও মাঘ মাসের সন্ধিক্ষণে বা পৌষ মাসের শেষদিন সারা ভারতবর্ষে সংক্রান্তি উৎসব উদযাপিত হয়। তবে পুরান ঢাকায় পৌষ সংক্রান্তি বা সাকরাইন সার্বজনীন ঢাকাইয়া উৎসবের রূপ নিয়েছে। বর্তমানে দিনভর ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও রঙবেরঙ ফানুশে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী শহরের আকাশ।

এক কথায় বলা যায়, সাকরাইন হচ্ছে এক ধরনের ঘুড়ি উৎসব। বাংলা বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস পৌষ মাসের শেষ দিনে আয়োজিত হয়, যা গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিকার হিসেবে জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে পড়ে। বাংলায় দিনটি পৌষ সংক্রান্তি এবং ভারতীয় উপমহাদেশে মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত।

কিন্তু জনবহুল ঢাকা শহরে এই প্রাচীন সাকরাইন উৎসব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আতশবাজির শব্দ মাত্রারিক্ত বেড়ে যায়। এ সময় মানুষের ঘুমের তীব্র ব্যাঘাত ঘটায়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আতশবাজির শব্দে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া শিশুরা ভয় পেয়ে যায়। নতুন বছর উদযাপন করার সময় রাতে অনেক পাখি মারা যায়। তারা আতশবাজির আওয়াজে এখানে-ওখানে উড়তে থাকে। গত বছর, হাসপাতালে ভর্তি ৯ মাসের একটা শিশু মারা যায়; যা কখনো কাম্য ছিল না। ফানুস আকাশে উড়ার সময় অনেক দালানকোঠায় আগুন লেগে যায়।

যেখানে উৎসব পালন করা হয় আনন্দ-উল্লাসের জন্য, সেখানে উৎসব পরিবেশ দূষণে রূপ নিয়েছে। সুতরাং আমাদের সবার উচিত সাকরাইন উৎসব যেন অন্যের সমস্যার সৃষ্টি না করে সেদিকে নজর দেয়া।

[লেখক : শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top