alt

পাঠকের চিঠি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বনাঞ্চল ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থল হ্রাসের কারণে দোয়েলের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। জাতীয় পাখি হিসেবে দোয়েল আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণে উৎসাহিত করে এবং প্রকৃতি রক্ষার গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েল বর্তমানে পরিবেশগত সংকটের মুখোমুখি। এটি একসময় গ্রামবাংলার প্রতিটি কোণে দেখা যেত এবং মিষ্টি সুরে প্রকৃতিকে সজীব করত। তবে বনাঞ্চল ধ্বংস, নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ এবং আবাসস্থল সংকুচিত হওয়ার ফলে দোয়েলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। পোকামাকড়ই দোয়েলের প্রধান খাদ্য, কিন্তু কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার এর খাদ্য শৃঙ্খলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বর্তমানে দোয়েল প্রধানত গ্রামীণ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ, তবে শহরাঞ্চলেও মাঝে মাঝে দেখা যায়। পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বনাঞ্চল রক্ষা ছাড়া দোয়েলের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় সরকার এবং স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যেমন বনের সংরক্ষণ, কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং দোয়েলের প্রাকৃতিক আবাসস্থল পুনরুদ্ধার।

দোয়েল আমাদের জাতীয় প্রতীক এবং প্রকৃতির জীবন্ত অংশ। এর অস্তিত্ব রক্ষা করা শুধুমাত্র পাখিটির জন্যই নয়, আমাদের জীববৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দোয়েলের সংরক্ষণে প্রথমেই বনাঞ্চল রক্ষা এবং বনায়নের উদ্যোগ বাড়াতে হবে। পোকামাকড়ই দোয়েলের প্রধান খাদ্য, তাই কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দোয়েলের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করতে বাড়ির আশপাশে গাছপালা লাগানো এবং ঝোপঝাড় সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা ও পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণের মাধ্যমে দোয়েলের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। আমাদের জাতীয় পাখি হিসেবে দোয়েল সংরক্ষণ শুধু একটি পাখির টিকে থাকার জন্য নয়, বরং আমাদের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব পালন করার প্রতীক।

হালিমা আক্তার হানি

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বনাঞ্চল ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থল হ্রাসের কারণে দোয়েলের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। জাতীয় পাখি হিসেবে দোয়েল আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণে উৎসাহিত করে এবং প্রকৃতি রক্ষার গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েল বর্তমানে পরিবেশগত সংকটের মুখোমুখি। এটি একসময় গ্রামবাংলার প্রতিটি কোণে দেখা যেত এবং মিষ্টি সুরে প্রকৃতিকে সজীব করত। তবে বনাঞ্চল ধ্বংস, নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ এবং আবাসস্থল সংকুচিত হওয়ার ফলে দোয়েলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। পোকামাকড়ই দোয়েলের প্রধান খাদ্য, কিন্তু কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার এর খাদ্য শৃঙ্খলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বর্তমানে দোয়েল প্রধানত গ্রামীণ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ, তবে শহরাঞ্চলেও মাঝে মাঝে দেখা যায়। পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বনাঞ্চল রক্ষা ছাড়া দোয়েলের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় সরকার এবং স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যেমন বনের সংরক্ষণ, কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং দোয়েলের প্রাকৃতিক আবাসস্থল পুনরুদ্ধার।

দোয়েল আমাদের জাতীয় প্রতীক এবং প্রকৃতির জীবন্ত অংশ। এর অস্তিত্ব রক্ষা করা শুধুমাত্র পাখিটির জন্যই নয়, আমাদের জীববৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দোয়েলের সংরক্ষণে প্রথমেই বনাঞ্চল রক্ষা এবং বনায়নের উদ্যোগ বাড়াতে হবে। পোকামাকড়ই দোয়েলের প্রধান খাদ্য, তাই কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দোয়েলের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করতে বাড়ির আশপাশে গাছপালা লাগানো এবং ঝোপঝাড় সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা ও পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণের মাধ্যমে দোয়েলের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। আমাদের জাতীয় পাখি হিসেবে দোয়েল সংরক্ষণ শুধু একটি পাখির টিকে থাকার জন্য নয়, বরং আমাদের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব পালন করার প্রতীক।

হালিমা আক্তার হানি

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ

back to top