alt

পাঠকের চিঠি

ভূমিকম্প মোকাবিলায় কি আমরা প্রস্তুত

: বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

সাম্প্রতিক সময় একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে কতটা নিরাপদে আছি আমরা? কিছুদিন পর পর মাঝারি থেকে ছোট ছোট ভূমিকম্প হচ্ছে, ভয়ের বিষয় হলো ঢাকার মানুষ কতটা নিরাপদে থাকবে যদি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং বিবিসি সায়েন্স ফোকাস সাময়িকীর তথ্যমতে জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের মধ্যে ঢাকা ৭ম ঘনবসতিপূর্ণ শহর।

শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এখন পর্যন্ত চারটি ভূমিকম্পের সাক্ষী হলো রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন স্থান। গেল ৩ ও ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়েছে। ৩ জানুয়ারি হওয়া ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে। এটি ছিল মাঝারি ধরনের। আর ৭ জানুয়ারির ভূমিকম্পটি ছিল তীব্র ধরনের। ভূমিকম্পটি মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ যার উৎপত্তি স্থল চীনের জিজাং এলাকায়। ২১ জানুয়ারি ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলের যার পরিমাণ ৪.১। একসপ্তাহের কম ব্যবধানে আজ (২৪ শে জানুয়ারি) ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল মিয়ানমার।

বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ঢাকার কাঠামোতে যে পরিবর্তনে ছোঁয়া লেগেছে, দিন দিন পরিবর্তনের রূপ দানবীয় আকারে প্রকাশ পাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে আবাসিক ভবন গড়ে উঠছে রাজউক নির্দেশনা বলি তোয়াক্কা না করেই। সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাপক ভূমিকম্পের ঝুঁকির মুখোমুখি। এখানকার ঘনবসতি, পুরোনো অবকাঠামো এবং বিল্ডিং কোডের দুর্বল প্রয়োগ এই বিপদগুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে ঢাকার কাছে টাঙ্গাইল এলাকায় মাটির নিচে যে ফল্টলাইন আছে সেখানে ৭ মাত্রার কাছাকাছি ভূমিকম্প হলে সাড়ে আট লাখেরও বেশি ভবন ধসে পড়বে।

দেশের জন্য নগর পরিকল্পনার অন্যতম একটি ধাপ এটি হওয়া উচিত যে আমরা এককেন্দ্রিক বাংলাদেশের বদলে বহুকেন্দ্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যদি বহুকেন্দ্রিক দেশ গড়ে তুলতে পারি তাহলে অনেকগুলো নগর হবে, সেই নগরের পরিকল্পনা এবং সেই নগরের মানুষের স্বাস্থ্যের পরিকল্পনা সহজেই এবং প্রয়োগযোগ্যভাবে করতে পারব। বিকেন্দ্রীকরণের মূল উদ্দেশ্যই হলো, অবকাঠামোর উন্নয়ন করে তা যথোপযোগী করে গড়ে তোলা। ভূমিকম্প মোকাবিলায় ঢাকা শহরকে এককেন্দ্রিক না রেখে শিক্ষা, কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প-কলকারখানা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ একাধিক অঞ্চলে স্থানান্তর করা এবং প্রতিষ্ঠা করা। নবগঠিত অঞ্চলকে সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে নাগরিক জীবন রাজধানীকেন্দ্রিক প্রবণতা থেকে বিমুখ হবে।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

ছবি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

বেকারত্বের ফাঁদ

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

ছবি

গ্যাসের সংকট কী কাটবে না?

tab

পাঠকের চিঠি

ভূমিকম্প মোকাবিলায় কি আমরা প্রস্তুত

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

সাম্প্রতিক সময় একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে কতটা নিরাপদে আছি আমরা? কিছুদিন পর পর মাঝারি থেকে ছোট ছোট ভূমিকম্প হচ্ছে, ভয়ের বিষয় হলো ঢাকার মানুষ কতটা নিরাপদে থাকবে যদি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং বিবিসি সায়েন্স ফোকাস সাময়িকীর তথ্যমতে জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের মধ্যে ঢাকা ৭ম ঘনবসতিপূর্ণ শহর।

শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এখন পর্যন্ত চারটি ভূমিকম্পের সাক্ষী হলো রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন স্থান। গেল ৩ ও ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়েছে। ৩ জানুয়ারি হওয়া ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে। এটি ছিল মাঝারি ধরনের। আর ৭ জানুয়ারির ভূমিকম্পটি ছিল তীব্র ধরনের। ভূমিকম্পটি মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ যার উৎপত্তি স্থল চীনের জিজাং এলাকায়। ২১ জানুয়ারি ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলের যার পরিমাণ ৪.১। একসপ্তাহের কম ব্যবধানে আজ (২৪ শে জানুয়ারি) ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল মিয়ানমার।

বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ঢাকার কাঠামোতে যে পরিবর্তনে ছোঁয়া লেগেছে, দিন দিন পরিবর্তনের রূপ দানবীয় আকারে প্রকাশ পাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে আবাসিক ভবন গড়ে উঠছে রাজউক নির্দেশনা বলি তোয়াক্কা না করেই। সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাপক ভূমিকম্পের ঝুঁকির মুখোমুখি। এখানকার ঘনবসতি, পুরোনো অবকাঠামো এবং বিল্ডিং কোডের দুর্বল প্রয়োগ এই বিপদগুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে ঢাকার কাছে টাঙ্গাইল এলাকায় মাটির নিচে যে ফল্টলাইন আছে সেখানে ৭ মাত্রার কাছাকাছি ভূমিকম্প হলে সাড়ে আট লাখেরও বেশি ভবন ধসে পড়বে।

দেশের জন্য নগর পরিকল্পনার অন্যতম একটি ধাপ এটি হওয়া উচিত যে আমরা এককেন্দ্রিক বাংলাদেশের বদলে বহুকেন্দ্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যদি বহুকেন্দ্রিক দেশ গড়ে তুলতে পারি তাহলে অনেকগুলো নগর হবে, সেই নগরের পরিকল্পনা এবং সেই নগরের মানুষের স্বাস্থ্যের পরিকল্পনা সহজেই এবং প্রয়োগযোগ্যভাবে করতে পারব। বিকেন্দ্রীকরণের মূল উদ্দেশ্যই হলো, অবকাঠামোর উন্নয়ন করে তা যথোপযোগী করে গড়ে তোলা। ভূমিকম্প মোকাবিলায় ঢাকা শহরকে এককেন্দ্রিক না রেখে শিক্ষা, কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প-কলকারখানা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ একাধিক অঞ্চলে স্থানান্তর করা এবং প্রতিষ্ঠা করা। নবগঠিত অঞ্চলকে সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে নাগরিক জীবন রাজধানীকেন্দ্রিক প্রবণতা থেকে বিমুখ হবে।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

back to top