সাম্প্রতিক সময় একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে কতটা নিরাপদে আছি আমরা? কিছুদিন পর পর মাঝারি থেকে ছোট ছোট ভূমিকম্প হচ্ছে, ভয়ের বিষয় হলো ঢাকার মানুষ কতটা নিরাপদে থাকবে যদি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং বিবিসি সায়েন্স ফোকাস সাময়িকীর তথ্যমতে জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের মধ্যে ঢাকা ৭ম ঘনবসতিপূর্ণ শহর।
শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এখন পর্যন্ত চারটি ভূমিকম্পের সাক্ষী হলো রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন স্থান। গেল ৩ ও ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়েছে। ৩ জানুয়ারি হওয়া ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে। এটি ছিল মাঝারি ধরনের। আর ৭ জানুয়ারির ভূমিকম্পটি ছিল তীব্র ধরনের। ভূমিকম্পটি মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ যার উৎপত্তি স্থল চীনের জিজাং এলাকায়। ২১ জানুয়ারি ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলের যার পরিমাণ ৪.১। একসপ্তাহের কম ব্যবধানে আজ (২৪ শে জানুয়ারি) ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল মিয়ানমার।
বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ঢাকার কাঠামোতে যে পরিবর্তনে ছোঁয়া লেগেছে, দিন দিন পরিবর্তনের রূপ দানবীয় আকারে প্রকাশ পাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে আবাসিক ভবন গড়ে উঠছে রাজউক নির্দেশনা বলি তোয়াক্কা না করেই। সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাপক ভূমিকম্পের ঝুঁকির মুখোমুখি। এখানকার ঘনবসতি, পুরোনো অবকাঠামো এবং বিল্ডিং কোডের দুর্বল প্রয়োগ এই বিপদগুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে ঢাকার কাছে টাঙ্গাইল এলাকায় মাটির নিচে যে ফল্টলাইন আছে সেখানে ৭ মাত্রার কাছাকাছি ভূমিকম্প হলে সাড়ে আট লাখেরও বেশি ভবন ধসে পড়বে।
দেশের জন্য নগর পরিকল্পনার অন্যতম একটি ধাপ এটি হওয়া উচিত যে আমরা এককেন্দ্রিক বাংলাদেশের বদলে বহুকেন্দ্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যদি বহুকেন্দ্রিক দেশ গড়ে তুলতে পারি তাহলে অনেকগুলো নগর হবে, সেই নগরের পরিকল্পনা এবং সেই নগরের মানুষের স্বাস্থ্যের পরিকল্পনা সহজেই এবং প্রয়োগযোগ্যভাবে করতে পারব। বিকেন্দ্রীকরণের মূল উদ্দেশ্যই হলো, অবকাঠামোর উন্নয়ন করে তা যথোপযোগী করে গড়ে তোলা। ভূমিকম্প মোকাবিলায় ঢাকা শহরকে এককেন্দ্রিক না রেখে শিক্ষা, কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প-কলকারখানা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ একাধিক অঞ্চলে স্থানান্তর করা এবং প্রতিষ্ঠা করা। নবগঠিত অঞ্চলকে সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে নাগরিক জীবন রাজধানীকেন্দ্রিক প্রবণতা থেকে বিমুখ হবে।
আহাম্মদ উল্লাহ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
সাম্প্রতিক সময় একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে কতটা নিরাপদে আছি আমরা? কিছুদিন পর পর মাঝারি থেকে ছোট ছোট ভূমিকম্প হচ্ছে, ভয়ের বিষয় হলো ঢাকার মানুষ কতটা নিরাপদে থাকবে যদি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং বিবিসি সায়েন্স ফোকাস সাময়িকীর তথ্যমতে জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের মধ্যে ঢাকা ৭ম ঘনবসতিপূর্ণ শহর।
শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এখন পর্যন্ত চারটি ভূমিকম্পের সাক্ষী হলো রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন স্থান। গেল ৩ ও ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়েছে। ৩ জানুয়ারি হওয়া ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে। এটি ছিল মাঝারি ধরনের। আর ৭ জানুয়ারির ভূমিকম্পটি ছিল তীব্র ধরনের। ভূমিকম্পটি মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ যার উৎপত্তি স্থল চীনের জিজাং এলাকায়। ২১ জানুয়ারি ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলের যার পরিমাণ ৪.১। একসপ্তাহের কম ব্যবধানে আজ (২৪ শে জানুয়ারি) ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল মিয়ানমার।
বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ঢাকার কাঠামোতে যে পরিবর্তনে ছোঁয়া লেগেছে, দিন দিন পরিবর্তনের রূপ দানবীয় আকারে প্রকাশ পাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে আবাসিক ভবন গড়ে উঠছে রাজউক নির্দেশনা বলি তোয়াক্কা না করেই। সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাপক ভূমিকম্পের ঝুঁকির মুখোমুখি। এখানকার ঘনবসতি, পুরোনো অবকাঠামো এবং বিল্ডিং কোডের দুর্বল প্রয়োগ এই বিপদগুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে ঢাকার কাছে টাঙ্গাইল এলাকায় মাটির নিচে যে ফল্টলাইন আছে সেখানে ৭ মাত্রার কাছাকাছি ভূমিকম্প হলে সাড়ে আট লাখেরও বেশি ভবন ধসে পড়বে।
দেশের জন্য নগর পরিকল্পনার অন্যতম একটি ধাপ এটি হওয়া উচিত যে আমরা এককেন্দ্রিক বাংলাদেশের বদলে বহুকেন্দ্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যদি বহুকেন্দ্রিক দেশ গড়ে তুলতে পারি তাহলে অনেকগুলো নগর হবে, সেই নগরের পরিকল্পনা এবং সেই নগরের মানুষের স্বাস্থ্যের পরিকল্পনা সহজেই এবং প্রয়োগযোগ্যভাবে করতে পারব। বিকেন্দ্রীকরণের মূল উদ্দেশ্যই হলো, অবকাঠামোর উন্নয়ন করে তা যথোপযোগী করে গড়ে তোলা। ভূমিকম্প মোকাবিলায় ঢাকা শহরকে এককেন্দ্রিক না রেখে শিক্ষা, কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প-কলকারখানা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ একাধিক অঞ্চলে স্থানান্তর করা এবং প্রতিষ্ঠা করা। নবগঠিত অঞ্চলকে সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে নাগরিক জীবন রাজধানীকেন্দ্রিক প্রবণতা থেকে বিমুখ হবে।
আহাম্মদ উল্লাহ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ