alt

পাঠকের চিঠি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

: বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

যাত্রী কল্যাণ সমিতির ‘২০২৪ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে থেকে জানা যায় ২০২৪ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ জন আর আহতের সংখ্যা ১২ হাজার ৬০৮ জন যার সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে। শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ২ হাজার ৫৭০ জন আহত হন ৫ হাজার ৬৪০ জন। আর এই অতিমাত্রার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় কারণ বেপরোয়াভাবে বাইক চালানো।

যানজট এড়াতে মানুষজন বেছে নিচ্ছেন মোটরসাইকেল আর সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইক চালাচ্ছেন বেপরোয়া হয়ে। যার কারণে বাইক দুর্ঘটনার ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলেছে। এই দ্রুতগতিতে অর্থাৎ বেপরোয়া বাইক চালাতে যাদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তাদের অধিকাংশের বয়স ২৫ এর কম অনেকে তো ১৮ বছরও পুরে নাই। যেখানে ১৮ বছরের আগে লাইসেন্স নিষিদ্ধ করেছে সরকার, সেখানে ১৮ বছর বয়সের আগেই বেপরোয়া ছুটছেন বাইক নিয়ে। ক্ষণিকের আত্মতৃপ্তির জন্য হারিয়ে যায় অনেক স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীর প্রাণ।

বেপরোয়া বাইক চালানোর জন্য অনেকাংশে দায়ী পিতা-মাতা ও পরিবার। অপরিণত বয়সেই সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছেন বাইক আর আত্মহারা হয়ে মজার ছলে ঝুঁকে পড়ছেন বেপরোয়াভাবে বাইক চালাতে। যার ফলে বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা; অল্প বয়সেই প্রাণ হারাচ্ছে অনেক মেধাবী তরুণ। আবার নষ্ট হচ্ছে অনেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

বেপরোয়া এই বাইক চালানো বন্ধের জন্য সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সরকার কর্তৃক বিশেষ শাস্তিমূলক আইন প্রয়োগ করে কমানো যেতে পারে এই বাইক দুর্ঘটনা। সরকারের পাশাপাশি সবার অর্থাৎ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কমে যেতে পারে এই বেপরোয়া বাইক চালানোর মাত্রা। সামাজিকভাবে সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, বাইকারদের মধ্যে সতর্কতা মূলক ব্যানার লিফলেট বিতরণের মাধ্যমেও কমানো যেতে পারে এই বেপরোয়া বাইক চালকের সংখ্যা। সেই সাথে পিতামাতা ও পরিবারকে হতে হবে অধিক সচেতন।

আসুন ‘আইন মেনে বাইক চালাই, সুস্থ থেকে জীবন বাচাই’।

মো. ইলিয়াস

খুলনা।

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

বেকারত্বের ফাঁদ

ভূমিকম্প মোকাবিলায় কি আমরা প্রস্তুত

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

ছবি

গ্যাসের সংকট কী কাটবে না?

tab

পাঠকের চিঠি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

যাত্রী কল্যাণ সমিতির ‘২০২৪ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে থেকে জানা যায় ২০২৪ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ জন আর আহতের সংখ্যা ১২ হাজার ৬০৮ জন যার সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে। শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ২ হাজার ৫৭০ জন আহত হন ৫ হাজার ৬৪০ জন। আর এই অতিমাত্রার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় কারণ বেপরোয়াভাবে বাইক চালানো।

যানজট এড়াতে মানুষজন বেছে নিচ্ছেন মোটরসাইকেল আর সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইক চালাচ্ছেন বেপরোয়া হয়ে। যার কারণে বাইক দুর্ঘটনার ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলেছে। এই দ্রুতগতিতে অর্থাৎ বেপরোয়া বাইক চালাতে যাদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তাদের অধিকাংশের বয়স ২৫ এর কম অনেকে তো ১৮ বছরও পুরে নাই। যেখানে ১৮ বছরের আগে লাইসেন্স নিষিদ্ধ করেছে সরকার, সেখানে ১৮ বছর বয়সের আগেই বেপরোয়া ছুটছেন বাইক নিয়ে। ক্ষণিকের আত্মতৃপ্তির জন্য হারিয়ে যায় অনেক স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীর প্রাণ।

বেপরোয়া বাইক চালানোর জন্য অনেকাংশে দায়ী পিতা-মাতা ও পরিবার। অপরিণত বয়সেই সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছেন বাইক আর আত্মহারা হয়ে মজার ছলে ঝুঁকে পড়ছেন বেপরোয়াভাবে বাইক চালাতে। যার ফলে বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা; অল্প বয়সেই প্রাণ হারাচ্ছে অনেক মেধাবী তরুণ। আবার নষ্ট হচ্ছে অনেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

বেপরোয়া এই বাইক চালানো বন্ধের জন্য সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সরকার কর্তৃক বিশেষ শাস্তিমূলক আইন প্রয়োগ করে কমানো যেতে পারে এই বাইক দুর্ঘটনা। সরকারের পাশাপাশি সবার অর্থাৎ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কমে যেতে পারে এই বেপরোয়া বাইক চালানোর মাত্রা। সামাজিকভাবে সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, বাইকারদের মধ্যে সতর্কতা মূলক ব্যানার লিফলেট বিতরণের মাধ্যমেও কমানো যেতে পারে এই বেপরোয়া বাইক চালকের সংখ্যা। সেই সাথে পিতামাতা ও পরিবারকে হতে হবে অধিক সচেতন।

আসুন ‘আইন মেনে বাইক চালাই, সুস্থ থেকে জীবন বাচাই’।

মো. ইলিয়াস

খুলনা।

back to top