বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথে সবচেয়ে দুর্বল-চরম ঝুঁকির নাম ‘সিগন্যাল ব্যবস্থা’। ৯০ শতাংশ সিগন্যাল পয়েন্টের আয়ূষ্কাল প্রায় ৫০ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। আর নামমাত্র স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পয়েন্ট থাকলেও ম্যানুয়ালি ‘সিগন্যাল’ ব্যবস্থা একমাত্র ভরসা। রেলে ছোট-বড় দুর্ঘটনার ৯৫ শতাংশই ঘটছে সিগন্যাল ব্যবস্থা ও রেললাইনের ত্রুটির কারণে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল রেলের অধিকাংশ সেকশনে ব্রিটিশ আমলের সিগন্যাল ব্যবস্থা এখনো বিদ্যমান। আর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ সিগন্যাল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। এতে উনিশ থেকে বিশ হলেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রতি বছর রেলে ৭০ থেকে ১৩০টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দেশে ১৯৩৭ সালের সিগন্যাল ব্যবস্থায় ট্রেন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে। ট্রেনের সংখ্যা ও লাইনে দৈর্ঘ্য বাড়ছে; কিন্তু সিগন্যাল ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে না। সিগন্যাল বিভাগে সবচেয়ে কম লোকবল। এ পদে অস্থায়ীভিত্তিতে লোক নিয়োগ দেওয়া হলে ও ৭০ শতাংশের বেশী স্বল্পতা থেকে যাচ্ছে। ৩০ শতাংশ অদক্ষ লোকবল নিয়ে ট্রেন চলছে। এখনো অনেক স্টেশনে তারের কু-লী দিয়ে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অথচ রেলওয়ের মাস্টারপ্লানে বলা আছেÑ আধুনিকায়ন সিগন্যাল ব্যবস্থা প্রর্বতনের মাধ্যমে রেলপথে ট্রেনের গতি বাড়ানো সহ সার্বিক ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। দেশের ৪৮৪টি স্টেশনের মধ্যে মাত্র ১২৪টি স্টেশনে সিবিআই, সিটিসি সিগন্যাল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সংস্কার,রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যথাযথভাবে কাজ করছে না। ফলে সংশ্লিষ্ট ম্যানুয়ালি কাজ করতে হচ্ছে। ৭৬টি স্টেশন ও সেকশনে কোনো ধরনের সিগন্যাল ব্যবস্থা নেই।
এ ব্যবস্থাপনায় লাইনের পাশে এক ধরনের তার ব্যবহার করে স্টেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ট্রেনের অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া বাঁশের মই ব্যবহার করে নির্ধারিত পিলারে লাল-সবুজ বাতি লাগিয়ে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। পূর্বাঞ্চল রেলে যে কয়টি সিগন্যাল ব্যাবস্থা রয়েছে এর অধিকাংশ আয়ুষ্কাল প্রায় চার যুগ আগে শেষ হয়ে গেছে। এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ সিগন্যাল ব্যবস্থায় ট্রেন চালাতে হচ্ছে। সিগন্যাল ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। আখাউড়া-সিলেট রুটে খুব ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। ঢাকা-জয়দেবপুর, ময়মনসিংহ-ভৈরব, ঢাকা-টঙ্গী পর্যন্ত রুটের সিগন্যাল ব্যবস্থা ও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়
সিলেট
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথে সবচেয়ে দুর্বল-চরম ঝুঁকির নাম ‘সিগন্যাল ব্যবস্থা’। ৯০ শতাংশ সিগন্যাল পয়েন্টের আয়ূষ্কাল প্রায় ৫০ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। আর নামমাত্র স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পয়েন্ট থাকলেও ম্যানুয়ালি ‘সিগন্যাল’ ব্যবস্থা একমাত্র ভরসা। রেলে ছোট-বড় দুর্ঘটনার ৯৫ শতাংশই ঘটছে সিগন্যাল ব্যবস্থা ও রেললাইনের ত্রুটির কারণে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল রেলের অধিকাংশ সেকশনে ব্রিটিশ আমলের সিগন্যাল ব্যবস্থা এখনো বিদ্যমান। আর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ সিগন্যাল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। এতে উনিশ থেকে বিশ হলেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রতি বছর রেলে ৭০ থেকে ১৩০টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দেশে ১৯৩৭ সালের সিগন্যাল ব্যবস্থায় ট্রেন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে। ট্রেনের সংখ্যা ও লাইনে দৈর্ঘ্য বাড়ছে; কিন্তু সিগন্যাল ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে না। সিগন্যাল বিভাগে সবচেয়ে কম লোকবল। এ পদে অস্থায়ীভিত্তিতে লোক নিয়োগ দেওয়া হলে ও ৭০ শতাংশের বেশী স্বল্পতা থেকে যাচ্ছে। ৩০ শতাংশ অদক্ষ লোকবল নিয়ে ট্রেন চলছে। এখনো অনেক স্টেশনে তারের কু-লী দিয়ে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অথচ রেলওয়ের মাস্টারপ্লানে বলা আছেÑ আধুনিকায়ন সিগন্যাল ব্যবস্থা প্রর্বতনের মাধ্যমে রেলপথে ট্রেনের গতি বাড়ানো সহ সার্বিক ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। দেশের ৪৮৪টি স্টেশনের মধ্যে মাত্র ১২৪টি স্টেশনে সিবিআই, সিটিসি সিগন্যাল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সংস্কার,রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যথাযথভাবে কাজ করছে না। ফলে সংশ্লিষ্ট ম্যানুয়ালি কাজ করতে হচ্ছে। ৭৬টি স্টেশন ও সেকশনে কোনো ধরনের সিগন্যাল ব্যবস্থা নেই।
এ ব্যবস্থাপনায় লাইনের পাশে এক ধরনের তার ব্যবহার করে স্টেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ট্রেনের অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া বাঁশের মই ব্যবহার করে নির্ধারিত পিলারে লাল-সবুজ বাতি লাগিয়ে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। পূর্বাঞ্চল রেলে যে কয়টি সিগন্যাল ব্যাবস্থা রয়েছে এর অধিকাংশ আয়ুষ্কাল প্রায় চার যুগ আগে শেষ হয়ে গেছে। এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ সিগন্যাল ব্যবস্থায় ট্রেন চালাতে হচ্ছে। সিগন্যাল ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। আখাউড়া-সিলেট রুটে খুব ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। ঢাকা-জয়দেবপুর, ময়মনসিংহ-ভৈরব, ঢাকা-টঙ্গী পর্যন্ত রুটের সিগন্যাল ব্যবস্থা ও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়
সিলেট
