alt

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

: বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি জটিল এবং হতাশাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই কর্মবিরতিতে লক্ষাধিক যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের প্রধান রেলস্টেশনগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে বিকল্প পরিবহন খুঁজে নিতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের গুনতে হয়েছে বাড়তি পয়সা। ভোগান্তি তো হয়েছেই।

যাত্রীরা অনেকেই পূর্বে কর্মসূচির ঘোষণা সম্পর্কে জানতেন না, ফলে তারা স্টেশনে গিয়ে বিপাকে পড়েন। বিশেষত বয়স্ক, নারী এবং শিশু যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন বাতিলের টিকিট মূল্য ফেরতের আশ্বাস দিলেও, তা পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক সমাধান নয়।

ট্রেন চলাচল বন্ধের মতো পরিস্থিতি এড়াতে আগাম সতর্কতা এবং বিকল্প ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া উচিত। যেমন, বাস বা অন্যান্য পরিবহনের ব্যবস্থা আরও দ্রুত কার্যকর করা যেতে পারে।

রেল যোগাযোগ বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রানিং স্টাফদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং ন্যায্য হলেও এর জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা সমর্থনযোগ্য নয়।

রেলওয়ের রানিং স্টাফরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোÑমাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল, যা ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তে সীমিত করা হয়। মাইলেজ সুবিধা রানিং স্টাফদের জন্য অতিরিক্ত কাজের প্রাপ্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হতো, যা তাদের পেনশন এবং আনুতোষিক হিসাবেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সুবিধা বাতিল হওয়ার ফলে রানিং স্টাফদের আর্থিক সুরক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত স্টাফদের জন্যও কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যা তাদের আর্থিক এবং পেশাগত অবস্থানকে দুর্বল করেছে। এই বিষয়গুলো রানিং স্টাফদের ক্ষোভ বাড়িয়েছে এবং তাদেরকে কর্মবিরতির মতো চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন যে, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে এবং সমস্যার সমাধানে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ দ্রুত আলোচনা শুরু করবে। আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। ভবিষ্যতে এমন সংকট এড়াতে রানিং স্টাফদের জন্য একটি টেকসই আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে দেখতে পারে।

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

ঢাকায় তাল-নারকেল-সুপারির সবুজ সম্ভাবনা

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

ছবি

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রাজধানীর নগর জীবন : ঝুঁকি, দূষণ ও মানুষের নিরাপত্তা

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের নৈরাশ্যের কারণ

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

ছবি

এইচএসসি ফল : শিক্ষার বাস্তব চিত্র

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

tab

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি জটিল এবং হতাশাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই কর্মবিরতিতে লক্ষাধিক যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের প্রধান রেলস্টেশনগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে বিকল্প পরিবহন খুঁজে নিতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের গুনতে হয়েছে বাড়তি পয়সা। ভোগান্তি তো হয়েছেই।

যাত্রীরা অনেকেই পূর্বে কর্মসূচির ঘোষণা সম্পর্কে জানতেন না, ফলে তারা স্টেশনে গিয়ে বিপাকে পড়েন। বিশেষত বয়স্ক, নারী এবং শিশু যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন বাতিলের টিকিট মূল্য ফেরতের আশ্বাস দিলেও, তা পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক সমাধান নয়।

ট্রেন চলাচল বন্ধের মতো পরিস্থিতি এড়াতে আগাম সতর্কতা এবং বিকল্প ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া উচিত। যেমন, বাস বা অন্যান্য পরিবহনের ব্যবস্থা আরও দ্রুত কার্যকর করা যেতে পারে।

রেল যোগাযোগ বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রানিং স্টাফদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং ন্যায্য হলেও এর জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা সমর্থনযোগ্য নয়।

রেলওয়ের রানিং স্টাফরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোÑমাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল, যা ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তে সীমিত করা হয়। মাইলেজ সুবিধা রানিং স্টাফদের জন্য অতিরিক্ত কাজের প্রাপ্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হতো, যা তাদের পেনশন এবং আনুতোষিক হিসাবেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সুবিধা বাতিল হওয়ার ফলে রানিং স্টাফদের আর্থিক সুরক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত স্টাফদের জন্যও কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যা তাদের আর্থিক এবং পেশাগত অবস্থানকে দুর্বল করেছে। এই বিষয়গুলো রানিং স্টাফদের ক্ষোভ বাড়িয়েছে এবং তাদেরকে কর্মবিরতির মতো চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন যে, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে এবং সমস্যার সমাধানে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ দ্রুত আলোচনা শুরু করবে। আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। ভবিষ্যতে এমন সংকট এড়াতে রানিং স্টাফদের জন্য একটি টেকসই আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে দেখতে পারে।

back to top