alt

শামীম আজাদ-এর কবিতা

চানখাঁরপুল থেকে লিভারপুল

: বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

আচ্ছা, বারবার এই সর্ষেরঙা রোদটুকু

যায় কোথায় বলুন দেখি?

পায়রা-পাহাড়ের পেছনে

নাকি আকাশ-আলনায় ঝোলানো

মেঘের ভাঁজে ভাঁজে

চাপা পড়ে যায়?

নাকি থিতু হয়ে বসবার

কোনো স্থানই সে দেখছে না?

তবে কি আমিই তাঁকে

ঘর আর আঙিনার

খ-িত সুবাসের উপর কিছুতেই

বসতে দিচ্ছি না!

তা’হলে ঐ রাজকীয় রোদের

আর কী দোষ?

সে তো লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া

সাইকেলে প্যাডেল মারবেই-

চানখারপুল থেকে লিভারপুল।

ওরে ও ফইটক্যা,

ওরে ফকফকা অইলদা রইদ

জানোস না,

বুঝোস না কি কুনু কুন্তাই?

এই যে এ এবেলাটাই তো শুধু

কুসুমের ক্রান্তিকাল।

দয়া করো

ধৈর্য ধরো

তিষ্টাও ক্ষণকাল।

কত কাল আর আমি কাটাবো

এ ভূতের বিছানায়!

আমারও তো

এ বিলেতের আমাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠির

ব্যবহৃত তক্তপোষ আর

চোখের জলে ভেজা সিথানটা

একটু শুকোতে ইচ্ছে করে।

শোনো হে রোদবালক,

তুমি তো আর লর্ডস এ ক্রিকেট খেলছো না

যে প্রকাশ্যে ছক্কা মারতে হবে তোমায়?

একটু লুকিয়ে চুরিয়ে আসো না-

শীতের রাতে

গোপন গোলাপ চা’য়ের মতো,

ব্যাপক বর্ষায়

মাটির চুলোর ধারের উষ্ণতার মতো

মিশেল সন্ধ্যায়

মার্বলআর্চের গথিক গীর্জাচূড়োর

হাল্কা চাঁদের মতো।

তুমি আরেকবার আসিয়া

বাবু যাও মোরে ভাসাইয়া।

ঐ বিন্দু সময়েই অতি দ্রুত

আমি আমার কার্গোর বাক্সগুলোর ডালা

পেরেক ঠুকে ঠিক বন্ধ করে ফেলতে পারবো।

তারপর, যা হবার তাই হবে-

ইত্যকার এ ঘন সমুদ্রেরই পিঠে

সীগ্যালের ঠোঁটে ঠোঁটে

অন্ধকার ঠাহর করে করে

যার দরকার সে ঠিকই

খুঁজে লবে ঠিকানা তোমার।

ছবি

এলোমেলো স্মৃতির সমরেশ মজুমদার

সাময়িকী কবিতা

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

বিমল গুহের কবিতার অন্তর্জগৎ ও শিল্পৈশ্বর্য

ছবি

কবিতার সুনীল সুনীলের কবিতা

ছবি

রূপান্তরের অকথিত গল্পটা

ছবি

মানব সভ্যতার আত্মবিশ্লেষণের আয়না

ছবি

বাইরে একটা কিছু জ্বলছে

ছবি

‘কাফকার মতো হবো বলে আইন পড়েছিলাম’

ছবি

সত্যেন সেনের উপন্যাস: মিথ ও ইতিহাসলগ্ন মানুষ

ছবি

বিস্ময়ের সীমা নাই

ছবি

নগর বাউল ও ত্রিকালদর্শী সন্ত কবি শামসুর রাহমান

সাময়িকী কবিতা

ছবি

ও বন্ধু আমার

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

শামসুর রাহমানের কবিতায় ‘মিথ’

ছবি

বহুমাত্রিক শামসুর রাহমান

ছবি

দূর-সময়ের সার্বভৌম কবি

ছবি

মাহফুজ আল-হোসেন-এর দশটি কবিতা

ছবি

মনোজগতের অন্বেষায়

সাময়িকী কবিতা

ছবি

এক ঘর রোদ

ছবি

দ্রোহের রম্য পঙ্ক্তিমালা

ছবি

সংবেদী রঙে ও রেখায় প্রাণের উন্মোচন

ছবি

অলস দিনের হাওয়া

ছবি

লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের মর্মস্পর্শী ও দূরদর্শী সাহিত্যকর্ম

ছবি

‘ভাষার আরোপিত কারুকাজে খেই হারিয়ে ফেলি’

ছবি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জিন্দা লাশ কি প্রকৃত লাশ

ছবি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শিক্ষা দর্শন ও অলস দিনের হাওয়া

ছবি

ধ্রুপদী বোধ ও ব্যাধির কবিতা

ছবি

সুকান্তর কবিতায় বিপ্লবী চেতনা

সাময়িকী কবিতা

ছবি

মগ্নচৈতন্যে সৌন্দর্যধ্যান

ছবি

অধুনাবাদী নিরীক্ষার অগ্রসাধক

ছবি

‘বায়ান্নর আধুনিকতা ও প্রগতিশীল ধারাকে বহন করতে চেয়েছি’

ছবি

জাতীয় চেতনার অমলিন ধারক

tab

শামীম আজাদ-এর কবিতা

চানখাঁরপুল থেকে লিভারপুল

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

আচ্ছা, বারবার এই সর্ষেরঙা রোদটুকু

যায় কোথায় বলুন দেখি?

পায়রা-পাহাড়ের পেছনে

নাকি আকাশ-আলনায় ঝোলানো

মেঘের ভাঁজে ভাঁজে

চাপা পড়ে যায়?

নাকি থিতু হয়ে বসবার

কোনো স্থানই সে দেখছে না?

তবে কি আমিই তাঁকে

ঘর আর আঙিনার

খ-িত সুবাসের উপর কিছুতেই

বসতে দিচ্ছি না!

তা’হলে ঐ রাজকীয় রোদের

আর কী দোষ?

সে তো লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া

সাইকেলে প্যাডেল মারবেই-

চানখারপুল থেকে লিভারপুল।

ওরে ও ফইটক্যা,

ওরে ফকফকা অইলদা রইদ

জানোস না,

বুঝোস না কি কুনু কুন্তাই?

এই যে এ এবেলাটাই তো শুধু

কুসুমের ক্রান্তিকাল।

দয়া করো

ধৈর্য ধরো

তিষ্টাও ক্ষণকাল।

কত কাল আর আমি কাটাবো

এ ভূতের বিছানায়!

আমারও তো

এ বিলেতের আমাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠির

ব্যবহৃত তক্তপোষ আর

চোখের জলে ভেজা সিথানটা

একটু শুকোতে ইচ্ছে করে।

শোনো হে রোদবালক,

তুমি তো আর লর্ডস এ ক্রিকেট খেলছো না

যে প্রকাশ্যে ছক্কা মারতে হবে তোমায়?

একটু লুকিয়ে চুরিয়ে আসো না-

শীতের রাতে

গোপন গোলাপ চা’য়ের মতো,

ব্যাপক বর্ষায়

মাটির চুলোর ধারের উষ্ণতার মতো

মিশেল সন্ধ্যায়

মার্বলআর্চের গথিক গীর্জাচূড়োর

হাল্কা চাঁদের মতো।

তুমি আরেকবার আসিয়া

বাবু যাও মোরে ভাসাইয়া।

ঐ বিন্দু সময়েই অতি দ্রুত

আমি আমার কার্গোর বাক্সগুলোর ডালা

পেরেক ঠুকে ঠিক বন্ধ করে ফেলতে পারবো।

তারপর, যা হবার তাই হবে-

ইত্যকার এ ঘন সমুদ্রেরই পিঠে

সীগ্যালের ঠোঁটে ঠোঁটে

অন্ধকার ঠাহর করে করে

যার দরকার সে ঠিকই

খুঁজে লবে ঠিকানা তোমার।

back to top