কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সালিসে চুরির বিচার করায় প্রতিশোধ হিসেবে এক কিশোরকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত কিশোর হোসাইন (১২) শিকারপুর গ্রামের আবু তাহের ও শাহিনা আক্তারের ছেলে। সে শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
হোসাইনের পরিবার জানায়, সম্প্রতি গ্রামের একটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গ্রামে সালিস বসে, সেখানে হোসাইনের বাবা আবু তাহেরও ছিলেন। সালিসে এক কিশোরকে দায়ী করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হোসাইনের বাবার অভিযোগ, “এর প্রতিশোধ নিতে ৩১ মে অভিযুক্ত কিশোর ও তার ভাই হোসাইনকে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর হাত-পা বেঁধে মারধর করে, জোর করে বিষ খাওয়ায় এবং অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে দেয়।”
গুরুতর আহত অবস্থায় হোসাইনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার রাতে সে মারা যায়।
চিকিৎসক অরূপ কুমার রায় বলেন, “বিষক্রিয়ায় হোসাইনের গলা ফুলে গিয়েছিল, শ্বাস নিতে পারছিল না। তার অণ্ডকোষও ঝলসে গিয়েছিল। তবে ময়নাতদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।”
হোসাইনের মা বলেন, “চুরির বিচার করতে গিয়ে আমার ছেলেকে হারালাম। আমি বিচার চাই।”
এই ঘটনায় হোসাইনের মা থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই ভাইকে, যাদের একজনের বয়স ১৬ বছর।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, হোসাইনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সালিসে চুরির বিচার করায় প্রতিশোধ হিসেবে এক কিশোরকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত কিশোর হোসাইন (১২) শিকারপুর গ্রামের আবু তাহের ও শাহিনা আক্তারের ছেলে। সে শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
হোসাইনের পরিবার জানায়, সম্প্রতি গ্রামের একটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গ্রামে সালিস বসে, সেখানে হোসাইনের বাবা আবু তাহেরও ছিলেন। সালিসে এক কিশোরকে দায়ী করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হোসাইনের বাবার অভিযোগ, “এর প্রতিশোধ নিতে ৩১ মে অভিযুক্ত কিশোর ও তার ভাই হোসাইনকে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর হাত-পা বেঁধে মারধর করে, জোর করে বিষ খাওয়ায় এবং অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে দেয়।”
গুরুতর আহত অবস্থায় হোসাইনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার রাতে সে মারা যায়।
চিকিৎসক অরূপ কুমার রায় বলেন, “বিষক্রিয়ায় হোসাইনের গলা ফুলে গিয়েছিল, শ্বাস নিতে পারছিল না। তার অণ্ডকোষও ঝলসে গিয়েছিল। তবে ময়নাতদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।”
হোসাইনের মা বলেন, “চুরির বিচার করতে গিয়ে আমার ছেলেকে হারালাম। আমি বিচার চাই।”
এই ঘটনায় হোসাইনের মা থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই ভাইকে, যাদের একজনের বয়স ১৬ বছর।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, হোসাইনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।