বগুড়ায় কিশোরী মেয়েকে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রিকশাচালক বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মেয়েটির মায়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আলমাস আলী।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন—বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসম্পাদক জিতু ইসলাম (৪৩), তার সহযোগী শফিকুল হাসান বিপ্লব (২৮) এবং মতিউর রহমান মতি (৩০)।
নিহত শাকিল আহম্মেদ (৪০) শহরের শিববাটি এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রিকশাচালক। তার স্ত্রী মালেকা বেগম বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিতু ইসলামকে দল থেকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
মামলার বরাতে ওসি আলমাস আলী বলেন, “জিতু ইসলাম শাকিল আহম্মেদের কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বয়সের পার্থক্যের কারণে শাকিল প্রস্তাবে রাজি হননি। এর জেরে জিতু ও তার লোকজন শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান এবং ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে মারধর করে রেখে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।”
রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কালাম আজাদ জানান, কেন্দ্রকে অবহিত করার পরই জিতুকে বহিষ্কার করা হয় এবং প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
রোববার, ১৫ জুন ২০২৫
বগুড়ায় কিশোরী মেয়েকে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রিকশাচালক বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মেয়েটির মায়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আলমাস আলী।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন—বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসম্পাদক জিতু ইসলাম (৪৩), তার সহযোগী শফিকুল হাসান বিপ্লব (২৮) এবং মতিউর রহমান মতি (৩০)।
নিহত শাকিল আহম্মেদ (৪০) শহরের শিববাটি এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রিকশাচালক। তার স্ত্রী মালেকা বেগম বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিতু ইসলামকে দল থেকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
মামলার বরাতে ওসি আলমাস আলী বলেন, “জিতু ইসলাম শাকিল আহম্মেদের কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বয়সের পার্থক্যের কারণে শাকিল প্রস্তাবে রাজি হননি। এর জেরে জিতু ও তার লোকজন শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান এবং ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে মারধর করে রেখে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।”
রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কালাম আজাদ জানান, কেন্দ্রকে অবহিত করার পরই জিতুকে বহিষ্কার করা হয় এবং প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।