কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীর জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে গভীর রাত থেকে সকাল ১০টা-১১টা পর্যন্ত থাকে এ ঘন কুয়াশা। সোমবার, (০৮ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল থেকে কনকনে শীত আর হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত। দুপুরে ২ ঘণ্টার জন্য সূর্যের আলো দেখা মিললেও তাপমাত্রা ছিল কম। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে সড়কপথে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের সঙ্গে কনকনে বাতাস যুক্ত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খেটেখাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর ও খেতমজুরসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, গত দুইদিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সোমবার রাতের তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উপকূলে এ অবস্থা আগামী কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সকালে দেখা গেছে ঘনকুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ছড়াতে পারছে না। উপকূলে দুপুরে কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে রয়েছে সূর্য। দুপুরে ২-৩ ঘণ্টার জন্য সূর্যের আলো দেখা মিললেও বিকেল ৩টার পরে আবার কুয়াশার আড়ালে ঢেকে যায় সূর্য।
গত চারদিন ধরে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঘন কুয়াশা এবং এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া যুক্ত রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘনকুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে আগুনে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর ও খেতমজুর, সাধারণ মানুষ ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো পুরাতন গরম কাপড় কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন। কোথাও খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামের নিম্নবিত্তরা।
শীতের সঙ্গে কনকনে বাতাসের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ।
শীতের এ বৈরী আচরণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় থাকছে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি অনেক কম। বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রামের রিকশাচালক বিমল পরামানিক বলেন, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যেও রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে, কারণ সাপ্তাহিক কিস্তি ও পরিবারের ভরণপোষণের টাকা জোগাড় করতে হবে। বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমারুল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগির সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া তীব্র শীতের কারণে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট, বুকের ঠান্ডাজনিত, নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের ঠান্ডা ও সর্দি-জ্বরের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।