image
রায়পুরা (নরসিংদী) : হানামুক্ত দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা -সংবাদ

রায়পুরায় হানাদার মুক্ত দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত

বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
সাধন দাস, রায়পুরা (নরসিংদী)

১০ই ডিসেম্বর। রায়পুরা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে এ দিনে জীবন বাজী রেখে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াইয়ে হানাদারমুক্ত করেছিল নরসিংদীর রায়পুরায়। ঐদিন আনন্দে মেতে উঠেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা।

বিজয়ের আনন্দে তারা থানা প্রাঙ্গণে উত্তোলন করেছিল স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা। এ দিবস স্মরণে প্রতি বছর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। আনুষাঙ্গিক ভাবে সকাল ০৮ টায় উপজেলা মাঠে কোরআন তেলওয়ান ও গীতা পাঠ এবং জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা, মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ড এর আহবায়ক ফজলুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সদস্য সচিব মহব্বত আলী, পৌর কমান্ড এর আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আসাদ সরকার, সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

পরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের একটি র‌্যালী উপজেলা মাঠ থেকে রায়পুরা সরকারী কলেজ মাঠ পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় রায়পুরা উপজেলা মাঠে চলে আসে। মুক্তিযোদ্ধাদের র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-৫ রায়পুরা থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপত্বিত করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর আহ্বায়ক ফজলুল রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-৫ রায়পুরা থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল।

বিজয়ের দুই মাস পূর্বে রায়পুরার মির্জানগর ইউনিয়নের ১৮নং রেলসেতুর কাছে দুই ঘন্টা ব্যাপী একটি যুদ্ধ হয়, এই যুদ্ধে পাক সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সম্পূর্ণ পরাজিত হয়। তাছাড়া তৎকালীন রায়পুরা বর্তমানে বেলাব উপজেলা ও আংশিক কিশোরগঞ্জে বরিবাড়ি নামক স্থানে ছয় ঘন্টা ব্যাপী যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধা রণকৌশলের কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর রেলসেতুতে দুই ঘন্টা ব্যাপী মুখোমুখি যুদ্ধ হয়।

সম্প্রতি