alt

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর

ইরফান ও দুই সহযোগী রিমান্ডে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম ও দীপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ইরফান ও জাহিদের রিমান্ডের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) আসামিদের মুখোমুখি বসিয়ে সেদিনের ঘটনা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের আলাদাভাবেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাদের দেয়া সব তথ্য ক্রসচেক করে দেখা শুরু করেছে ডিবি। যদিও প্রাথমিকভাবে সব দায় অস্বীকার করেছেন বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান।

তার সহযোগীরাও নিজেদের ঘাড়ে দায় নিয়ে সেলিমকে দায়মুক্ত করার চেষ্টা করছেন। সহযোগীদের দাবি, ইরফানের নির্দেশনা ছাড়াই তারা গাড়ি থেকে নামে এবং মারধর করে। এর আগে, থানা পুলিশ হেফাজতেও তারা একইভাবে ইরফানের দায় আড়াল করার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এরআগে, বুধবার (২৮ অক্টোবর) ধানমন্ডি থানার ওই মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে মামলাটি ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিক দীপুর তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ধানমন্ডি থানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় একটি মাইক্রোবাসে করে ইরফান সেলিম এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম ও দীপুকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ সহযোগীসহ ইরফানকে আমরা হেফাজতে এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা শুধু মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলার অংশটুকু তদন্ত করে দেখব। রিমান্ড শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। এখনও বলার মতো কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

এদিকে, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন।

চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার ও রিমান্ড বিষয়ে আবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু তারা এখন অন্য মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন, ওই রিমান্ড শেষে হিয়ারিংয়ে আদালত পরবর্তী নির্দেশ দিবেন। আপাতত আমরা রিমান্ডের আবেদন জমা দিয়ে রেখেছি।

প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে কলাবাগান ট্রাফিক সিগন্যালে হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে দুই-তিন ব্যক্তি নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম আহমেদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন আসামি করে ধানমন্ডি মডেল থানায় মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরের র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও জাহিদকে র‌্যাব তাদের হেফাজতে নেয়া হয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ, অস্ত্র ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে দেড় বছর করে কারাদন্ড দেন। র‌্যাব তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি করে চারটি মামলা দায়ের করেছে।

ছবি

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এনসিডি কর্নারে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ নিশ্চিত করা হবে

ছবি

মহিচাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এখন ‘ব্যবসায়ীর গোডাউন’

ছবি

মুখ থুবড়ে পড়েছে নাটোরের লালপুরের ঐতিহ্য কাঁসা শিল্প

ছবি

কোটালীপাড়ায় থানা ও উপজেলা পরিষদে ককটেল বিষ্ফোরণ, ৩ পুলিশ সদস্য আহত

ছবি

সিংড়ায় ভরা মৌসুমেও সবজির দাম আকাশছোঁয়া

ছবি

শিবপুরে প্রাথমিকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রথম দিনেই অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

সিরাজদিখানে পুলিশের সামনেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিল

ছবি

কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভা

ছবি

সরকারি কলেজের প্রভাষকদের নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক কর্মসূচি

ছবি

রায়গঞ্জে সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির বিশেষ সভা

অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

শার্শায় বোমা বিস্ফোরণে যুবক আহত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি

নন্দীগ্রামে নবান্নে মাছের মেলা

ছবি

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদে অগ্নিকান্ড গুরুত্বপূর্ণ নথি ছাই

ছবি

তাহিরপুরে মনোনয়ন পুনর্ম্যূলায়নের দাবিতে গণমিছিল

ছবি

জীবননগরে সড়কে গাছ ফেলে নৈশকোচে ডাকাতি

ছবি

কালিয়াকৈ বন্ধ করে দেওয়া হলো দেওয়ান ডিজিটাল হাসপাতাল

ছবি

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, সেনা মোতায়েন

ছবি

বেশী দামে সার বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

গৌরীপুরে সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

ছবি

ভালুকায় সোনালী ধানে ভরে উঠছে কৃষকের আঙ্গিনা

ছবি

ধনবাড়ীতে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা প্রতিপক্ষরা

ছবি

চিলমারীতে ঠান্ডা জনিত রোগে বিপাকে শিশু ও বয়স্করা

ছবি

সিরাজদিখানে জাটকায় সয়লাব মাছ বাজার

ছবি

সভাপতি হাবিব, সম্পাদক মোস্তফা

ছবি

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে কাছারি ঘর

ছবি

অটো ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ছবি

নড়াইলে গ্রাম আদালত শক্তিশালীকরণে গুরুত্বারোপ

ছবি

রাজিবপুরে বিএনপির প্রার্থীর মতবিনিময় সভা

ছবি

পূর্বধলায় আ.লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

খোকসায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

একমাত্র সম্ভল পাওয়ার টিলার হারিয়ে পথে বসেছে আনিসুর

ছবি

সদরপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৬ ফার্মেসিকে জরিমানা

ছবি

শীতের আগমনে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর চাপ

ছবি

ঝালকাঠিতে প্রায় শতভাগ শিশু পেয়েছে টাইফয়েড টিকা

tab

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর

ইরফান ও দুই সহযোগী রিমান্ডে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম ও দীপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ইরফান ও জাহিদের রিমান্ডের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) আসামিদের মুখোমুখি বসিয়ে সেদিনের ঘটনা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের আলাদাভাবেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাদের দেয়া সব তথ্য ক্রসচেক করে দেখা শুরু করেছে ডিবি। যদিও প্রাথমিকভাবে সব দায় অস্বীকার করেছেন বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান।

তার সহযোগীরাও নিজেদের ঘাড়ে দায় নিয়ে সেলিমকে দায়মুক্ত করার চেষ্টা করছেন। সহযোগীদের দাবি, ইরফানের নির্দেশনা ছাড়াই তারা গাড়ি থেকে নামে এবং মারধর করে। এর আগে, থানা পুলিশ হেফাজতেও তারা একইভাবে ইরফানের দায় আড়াল করার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এরআগে, বুধবার (২৮ অক্টোবর) ধানমন্ডি থানার ওই মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে মামলাটি ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিক দীপুর তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ধানমন্ডি থানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় একটি মাইক্রোবাসে করে ইরফান সেলিম এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম ও দীপুকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ সহযোগীসহ ইরফানকে আমরা হেফাজতে এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা শুধু মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলার অংশটুকু তদন্ত করে দেখব। রিমান্ড শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। এখনও বলার মতো কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

এদিকে, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন।

চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার ও রিমান্ড বিষয়ে আবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু তারা এখন অন্য মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন, ওই রিমান্ড শেষে হিয়ারিংয়ে আদালত পরবর্তী নির্দেশ দিবেন। আপাতত আমরা রিমান্ডের আবেদন জমা দিয়ে রেখেছি।

প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে কলাবাগান ট্রাফিক সিগন্যালে হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে দুই-তিন ব্যক্তি নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম আহমেদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন আসামি করে ধানমন্ডি মডেল থানায় মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরের র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও জাহিদকে র‌্যাব তাদের হেফাজতে নেয়া হয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ, অস্ত্র ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে দেড় বছর করে কারাদন্ড দেন। র‌্যাব তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি করে চারটি মামলা দায়ের করেছে।

back to top