alt

অকল্পনীয় সংখ্যায় কুকুরের কারণে পযর্টকসহ সেন্টমার্টিনবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কে

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার : শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনে কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পর্যটক এবং দ্বীপের বাসিন্দারা। প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে ৫ হাজারের মতো কুকুর রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। যে দ্বীপে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস সেখানে এতো কুকুর পর্যটক এবং স্থানীয়দের রীতিমত ভাবিয়ে তুলছেন। এসব কুকুর বেশিরভাগই বেওয়ারিশ বলে জানা গেছে। এদিকে কুকুরের কারণে দ্বীপের অনেক অভিভাবক, ছেলে-মেয়েদের স্কুল মাদরাসায় পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। জানা যায়, দ্বীপের বাজার, সী-বীচ এবং জেটির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেশি রয়েছে। বিষয়টিকে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটনের জন্য ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখছেন। পর্যটকরা ভোর এবং বৈকালিন সময়ে সমুদ্রে অবাধে বিচরণ করতে পারে। সেই জন্য দ্রুত সময়ে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্বীপের জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত কয়েকবছর ধরে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এই কারণে কুকুরের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা এনজিও কর্মী শাহাদত হোছাইন জানান, সেন্টমার্টিনের মতো এত ছোট জায়গায় এতো কুকুর! যা একেবারেই অকল্পনীয়। কুকুরের জ্বালায় বীচে ঘুরাঘুরি করাটা আতঙ্কের ব্যাপার। দ্বীপে বেড়াতে আসা আরেক পর্যটক জানান, কুকুরে শঙ্কিত পর্যটকরা। জীবনেও দেখিনি এত কুকুর! জনধিক বিবেচনায় তিনি কুকুর নিধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ জানান, দ্বীপে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। এসব কুকুরের কারণে পযর্টকসহ স্থানীয়রা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বিষয়টি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সভায় একাধিকবার উত্থাপন করেছেন জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বাঁধার কারণে কুকুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আইনী জটিলতার কারণে দ্বীপের বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। তবে তিনি পর্যটক এবং স্থানীয়দের স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থাপনার কথা জানান।

এই বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুরুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কুকুর নিধনের বিষয়ে পরিবেশের কোন বাধা নেই বলে জানান।

এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে গুরুতর জখম

কারাজীবন শেষে কমলগঞ্জে প্রবীর সিংহের আবেগঘন প্রত্যাবর্তন

বাউলদের ওপর হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে উদ্বেগ মামুনুল হকের

নওগাঁয় দুই মাথা ও তিন হাতওয়ালা শিশুর জন্ম

প্রস্তাবিত ‘ই-পার্টিসিপেশন’ নীতিমালা: নাগরিক অংশগ্রহণ বাড়াতে গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমাতে হবে

ছবি

আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

প্রশাসনের যোগসাজশে হাকালুকি হাওরে মাছ লুটের মহোৎসব!

উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ৩ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

ছবি

ইটনায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত

ছবি

সাঘাটায় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন

ছবি

দুমকিতে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী তরুণ উদ্যোক্তা মশিউর রহমান

ছবি

চিতলমারীতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত

ছবি

গজারিয়ায় বিরোধের জের ধরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি

দামুড়হুদার পল্লীতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের হিড়িক

ছবি

সিরাজগঞ্জে অতিথি পাখিতে মুখরিত বিভিন্ন জলাশয়

ছবি

সোনারগাঁয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

ছবি

কেন্দুয়ায় ঋণের ফাঁদে পড়ে কারাগারে মা মানবেতর দিন কাটছে প্রতিবন্ধী সন্তানদের

ছবি

আদমদীঘিতে ৫ মাদক কারবারীর জেল জরিমানা, জব্দ করা মাদক ধংস

ছবি

জলাশয় দখল নিয়ে সহিংসতা, আতঙ্কে ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী

ছবি

রাণীনগরে মৎস্যজীবীর বাড়িতে আগুন

ছবি

সন্ধান নেই লালমোহনের ১৩ জেলের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পরিবার

ছবি

ডিমলায় সারের জন্য কৃষকদের বিক্ষোভ

ছবি

বাঁশের সাঁকো পাল্টে পাকা সেতু পেল ১৬ পরিবার

ছবি

বেগমগঞ্জে লাইসেন্সবিহিন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান, অর্থদন্ড

চান্দিনায় অস্ত্রসহ আটক ১০

ছবি

আক্কেলপুরে লাইনে দাঁড়িয়েও সার না পেয়ে হতাশ কৃষকরা

ছবি

কলারোয়ায় বিষ দিয়ে দু’শ বক্স মৌমাছি হত্যা!

ছবি

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

ডিমলায় বন্যপাখি খাঁচায় বন্দি করে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালন

ছবি

মহেশপুরে দুই ডাকাত আটক

ছবি

কলারোয়া সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা

ছবি

চিলিং সেন্টারের আড়ালে নকল দুধের বাণিজ্য

ছবি

কলারোয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের উদ্বোধন

ছবি

রাজশাহীতে রস ছাড়াই তৈরি হচ্ছে খেজুরের ভেজাল গুড়

ছবি

যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহানকে শরীয়তপুরে বদলি

ছবি

দুধকুমার নদ থেকে বালু উত্তোলন ভাঙন বাড়ার আশংকা

tab

অকল্পনীয় সংখ্যায় কুকুরের কারণে পযর্টকসহ সেন্টমার্টিনবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কে

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনে কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পর্যটক এবং দ্বীপের বাসিন্দারা। প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে ৫ হাজারের মতো কুকুর রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। যে দ্বীপে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস সেখানে এতো কুকুর পর্যটক এবং স্থানীয়দের রীতিমত ভাবিয়ে তুলছেন। এসব কুকুর বেশিরভাগই বেওয়ারিশ বলে জানা গেছে। এদিকে কুকুরের কারণে দ্বীপের অনেক অভিভাবক, ছেলে-মেয়েদের স্কুল মাদরাসায় পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। জানা যায়, দ্বীপের বাজার, সী-বীচ এবং জেটির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেশি রয়েছে। বিষয়টিকে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটনের জন্য ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখছেন। পর্যটকরা ভোর এবং বৈকালিন সময়ে সমুদ্রে অবাধে বিচরণ করতে পারে। সেই জন্য দ্রুত সময়ে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্বীপের জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত কয়েকবছর ধরে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এই কারণে কুকুরের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা এনজিও কর্মী শাহাদত হোছাইন জানান, সেন্টমার্টিনের মতো এত ছোট জায়গায় এতো কুকুর! যা একেবারেই অকল্পনীয়। কুকুরের জ্বালায় বীচে ঘুরাঘুরি করাটা আতঙ্কের ব্যাপার। দ্বীপে বেড়াতে আসা আরেক পর্যটক জানান, কুকুরে শঙ্কিত পর্যটকরা। জীবনেও দেখিনি এত কুকুর! জনধিক বিবেচনায় তিনি কুকুর নিধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ জানান, দ্বীপে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। এসব কুকুরের কারণে পযর্টকসহ স্থানীয়রা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বিষয়টি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সভায় একাধিকবার উত্থাপন করেছেন জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বাঁধার কারণে কুকুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আইনী জটিলতার কারণে দ্বীপের বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। তবে তিনি পর্যটক এবং স্থানীয়দের স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থাপনার কথা জানান।

এই বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুরুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কুকুর নিধনের বিষয়ে পরিবেশের কোন বাধা নেই বলে জানান।

back to top