alt

বগুড়ার ধুনটে বরই চাষে চাষীর মুখে হাসি

প্রতিনিধি, বগুড়া : মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বরই চাষে ফলন বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষীর মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার জুড়ে গত বছরের তুলনায় ৩ হেক্টর বেশি জমিতে বল সুন্দরী, কাশ্মীর, আপেল কুল সহ নানা জাতের বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছর চাষ হয়েছে ৭ হেক্টর জমিতে।

কাঁচা-পাকা ফলে ভরা মাটিতে নুইয়ে পড়া বরই বাগান চোখ জুড়ানো এক অপরূপ দৃশ্য। বাগানের কাঁচা-পাকা বরই দেখে মুগ্ধ হবেনা এমন মানুষ খুব কমই মেলে। বরই চাষ করে উপজেলার অনেক প্রান্তিক কৃষকেরা স্বাবলম্বি হয়েছেন। অনেকের সংসারের অর্থনৈতিক চাকা সচল হতে বড় ভুমিকা রাখছে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বরই বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ধুনট উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে কালেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত হেউটনগর কদলা পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের মৃত. মজিবর রহমান সাকিদারের ছেলে আব্দুল করিম সাকিদার ২০০২ সালে বগুড়া জেলার শেরপুর শহীদিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে। চাকুরি না পাওয়ায় তিনি সংসারের প্রয়োজনে কৃষি কাজে যুক্ত হন। দির্ঘ বেকার জীবনে প্রায় ৫ বছর আগে পরীক্ষামুলক তার নিজ জমিতে বানিজ্যিক ভাবে পেয়ারা চাষ করে। পরবর্তিতে তিনি পেয়ারা চাষের পাশাপাশি শুরু করেন বরই চাষ। আব্দুল করিম বর্তমানে ৩৩ শতাংশ জমিতে বরই চাষের পাশাপাশি কিছু পেয়ারা, আম ও লেবুর চাষও শুরু করেন। তার জমি হতে উৎপাদিত এসব বরই জেলা ছাড়িয়ে চলে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এলাকার দরিদ্র পরিবারের লোকজন বাগানে বরই সংগ্রহের খন্ডকালীন কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পরিবারের মৌসুমি ফলের চাহিদাও মিটিয়ে থাকেন।

বথুয়াবাড়ী গ্রামের বরই চাষী রায়হান, ইমরানসহ অনেক বরই চাষী জানান, আমাদের এখানে প্রায় ৪৪-৪৫ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করা হয়েছে। এতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বরই চাষে খরচ হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি মন বরই বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০০-১৩৫০ টাকা। দাম ভালো থাকলে অনেক টা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক জানান, গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। অনেক চাষীরা কৃষি অফিসে এসে নানা ধরনের পরামর্শ নিয়ে বরই চাষে নিয়োজিত হয়েছেন। তারা ফলনও ভালো পেয়েছে। ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা এখন বরই চাষে ঝুঁকছে।

ছবি

কোটালীপাড়ায় থানা ও উপজেলা পরিষদে ককটেল বিষ্ফোরণ, ৩ পুলিশ সদস্য আহত

ছবি

সিংড়ায় ভরা মৌসুমেও সবজির দাম আকাশছোঁয়া

ছবি

শিবপুরে প্রাথমিকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রথম দিনেই অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

সিরাজদিখানে পুলিশের সামনেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিল

ছবি

কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভা

ছবি

সরকারি কলেজের প্রভাষকদের নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক কর্মসূচি

ছবি

রায়গঞ্জে সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির বিশেষ সভা

অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

শার্শায় বোমা বিস্ফোরণে যুবক আহত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি

নন্দীগ্রামে নবান্নে মাছের মেলা

ছবি

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদে অগ্নিকান্ড গুরুত্বপূর্ণ নথি ছাই

ছবি

তাহিরপুরে মনোনয়ন পুনর্ম্যূলায়নের দাবিতে গণমিছিল

ছবি

জীবননগরে সড়কে গাছ ফেলে নৈশকোচে ডাকাতি

ছবি

কালিয়াকৈ বন্ধ করে দেওয়া হলো দেওয়ান ডিজিটাল হাসপাতাল

ছবি

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, সেনা মোতায়েন

ছবি

বেশী দামে সার বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

গৌরীপুরে সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

ছবি

ভালুকায় সোনালী ধানে ভরে উঠছে কৃষকের আঙ্গিনা

ছবি

ধনবাড়ীতে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা প্রতিপক্ষরা

ছবি

চিলমারীতে ঠান্ডা জনিত রোগে বিপাকে শিশু ও বয়স্করা

ছবি

সিরাজদিখানে জাটকায় সয়লাব মাছ বাজার

ছবি

সভাপতি হাবিব, সম্পাদক মোস্তফা

ছবি

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে কাছারি ঘর

ছবি

অটো ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ছবি

নড়াইলে গ্রাম আদালত শক্তিশালীকরণে গুরুত্বারোপ

ছবি

রাজিবপুরে বিএনপির প্রার্থীর মতবিনিময় সভা

ছবি

পূর্বধলায় আ.লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

খোকসায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

একমাত্র সম্ভল পাওয়ার টিলার হারিয়ে পথে বসেছে আনিসুর

ছবি

সদরপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৬ ফার্মেসিকে জরিমানা

ছবি

শীতের আগমনে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর চাপ

ছবি

ঝালকাঠিতে প্রায় শতভাগ শিশু পেয়েছে টাইফয়েড টিকা

ছবি

কুমিল্লায় নৃ-সিংহ দেব মন্দিরে নীলাকীর্তন

ছবি

জনদুর্ভোগ চরমে, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

ছবি

কলারোয়ায় মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা

tab

বগুড়ার ধুনটে বরই চাষে চাষীর মুখে হাসি

প্রতিনিধি, বগুড়া

মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বরই চাষে ফলন বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষীর মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার জুড়ে গত বছরের তুলনায় ৩ হেক্টর বেশি জমিতে বল সুন্দরী, কাশ্মীর, আপেল কুল সহ নানা জাতের বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছর চাষ হয়েছে ৭ হেক্টর জমিতে।

কাঁচা-পাকা ফলে ভরা মাটিতে নুইয়ে পড়া বরই বাগান চোখ জুড়ানো এক অপরূপ দৃশ্য। বাগানের কাঁচা-পাকা বরই দেখে মুগ্ধ হবেনা এমন মানুষ খুব কমই মেলে। বরই চাষ করে উপজেলার অনেক প্রান্তিক কৃষকেরা স্বাবলম্বি হয়েছেন। অনেকের সংসারের অর্থনৈতিক চাকা সচল হতে বড় ভুমিকা রাখছে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বরই বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ধুনট উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে কালেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত হেউটনগর কদলা পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের মৃত. মজিবর রহমান সাকিদারের ছেলে আব্দুল করিম সাকিদার ২০০২ সালে বগুড়া জেলার শেরপুর শহীদিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে। চাকুরি না পাওয়ায় তিনি সংসারের প্রয়োজনে কৃষি কাজে যুক্ত হন। দির্ঘ বেকার জীবনে প্রায় ৫ বছর আগে পরীক্ষামুলক তার নিজ জমিতে বানিজ্যিক ভাবে পেয়ারা চাষ করে। পরবর্তিতে তিনি পেয়ারা চাষের পাশাপাশি শুরু করেন বরই চাষ। আব্দুল করিম বর্তমানে ৩৩ শতাংশ জমিতে বরই চাষের পাশাপাশি কিছু পেয়ারা, আম ও লেবুর চাষও শুরু করেন। তার জমি হতে উৎপাদিত এসব বরই জেলা ছাড়িয়ে চলে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এলাকার দরিদ্র পরিবারের লোকজন বাগানে বরই সংগ্রহের খন্ডকালীন কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পরিবারের মৌসুমি ফলের চাহিদাও মিটিয়ে থাকেন।

বথুয়াবাড়ী গ্রামের বরই চাষী রায়হান, ইমরানসহ অনেক বরই চাষী জানান, আমাদের এখানে প্রায় ৪৪-৪৫ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করা হয়েছে। এতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বরই চাষে খরচ হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি মন বরই বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০০-১৩৫০ টাকা। দাম ভালো থাকলে অনেক টা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক জানান, গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। অনেক চাষীরা কৃষি অফিসে এসে নানা ধরনের পরামর্শ নিয়ে বরই চাষে নিয়োজিত হয়েছেন। তারা ফলনও ভালো পেয়েছে। ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা এখন বরই চাষে ঝুঁকছে।

back to top