বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বরই চাষে ফলন বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষীর মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার জুড়ে গত বছরের তুলনায় ৩ হেক্টর বেশি জমিতে বল সুন্দরী, কাশ্মীর, আপেল কুল সহ নানা জাতের বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছর চাষ হয়েছে ৭ হেক্টর জমিতে।
কাঁচা-পাকা ফলে ভরা মাটিতে নুইয়ে পড়া বরই বাগান চোখ জুড়ানো এক অপরূপ দৃশ্য। বাগানের কাঁচা-পাকা বরই দেখে মুগ্ধ হবেনা এমন মানুষ খুব কমই মেলে। বরই চাষ করে উপজেলার অনেক প্রান্তিক কৃষকেরা স্বাবলম্বি হয়েছেন। অনেকের সংসারের অর্থনৈতিক চাকা সচল হতে বড় ভুমিকা রাখছে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বরই বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ধুনট উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে কালেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত হেউটনগর কদলা পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের মৃত. মজিবর রহমান সাকিদারের ছেলে আব্দুল করিম সাকিদার ২০০২ সালে বগুড়া জেলার শেরপুর শহীদিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে। চাকুরি না পাওয়ায় তিনি সংসারের প্রয়োজনে কৃষি কাজে যুক্ত হন। দির্ঘ বেকার জীবনে প্রায় ৫ বছর আগে পরীক্ষামুলক তার নিজ জমিতে বানিজ্যিক ভাবে পেয়ারা চাষ করে। পরবর্তিতে তিনি পেয়ারা চাষের পাশাপাশি শুরু করেন বরই চাষ। আব্দুল করিম বর্তমানে ৩৩ শতাংশ জমিতে বরই চাষের পাশাপাশি কিছু পেয়ারা, আম ও লেবুর চাষও শুরু করেন। তার জমি হতে উৎপাদিত এসব বরই জেলা ছাড়িয়ে চলে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এলাকার দরিদ্র পরিবারের লোকজন বাগানে বরই সংগ্রহের খন্ডকালীন কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পরিবারের মৌসুমি ফলের চাহিদাও মিটিয়ে থাকেন।
বথুয়াবাড়ী গ্রামের বরই চাষী রায়হান, ইমরানসহ অনেক বরই চাষী জানান, আমাদের এখানে প্রায় ৪৪-৪৫ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করা হয়েছে। এতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বরই চাষে খরচ হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি মন বরই বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০০-১৩৫০ টাকা। দাম ভালো থাকলে অনেক টা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক জানান, গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। অনেক চাষীরা কৃষি অফিসে এসে নানা ধরনের পরামর্শ নিয়ে বরই চাষে নিয়োজিত হয়েছেন। তারা ফলনও ভালো পেয়েছে। ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা এখন বরই চাষে ঝুঁকছে।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বরই চাষে ফলন বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষীর মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার জুড়ে গত বছরের তুলনায় ৩ হেক্টর বেশি জমিতে বল সুন্দরী, কাশ্মীর, আপেল কুল সহ নানা জাতের বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছর চাষ হয়েছে ৭ হেক্টর জমিতে।
কাঁচা-পাকা ফলে ভরা মাটিতে নুইয়ে পড়া বরই বাগান চোখ জুড়ানো এক অপরূপ দৃশ্য। বাগানের কাঁচা-পাকা বরই দেখে মুগ্ধ হবেনা এমন মানুষ খুব কমই মেলে। বরই চাষ করে উপজেলার অনেক প্রান্তিক কৃষকেরা স্বাবলম্বি হয়েছেন। অনেকের সংসারের অর্থনৈতিক চাকা সচল হতে বড় ভুমিকা রাখছে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বরই বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ধুনট উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে কালেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত হেউটনগর কদলা পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের মৃত. মজিবর রহমান সাকিদারের ছেলে আব্দুল করিম সাকিদার ২০০২ সালে বগুড়া জেলার শেরপুর শহীদিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে। চাকুরি না পাওয়ায় তিনি সংসারের প্রয়োজনে কৃষি কাজে যুক্ত হন। দির্ঘ বেকার জীবনে প্রায় ৫ বছর আগে পরীক্ষামুলক তার নিজ জমিতে বানিজ্যিক ভাবে পেয়ারা চাষ করে। পরবর্তিতে তিনি পেয়ারা চাষের পাশাপাশি শুরু করেন বরই চাষ। আব্দুল করিম বর্তমানে ৩৩ শতাংশ জমিতে বরই চাষের পাশাপাশি কিছু পেয়ারা, আম ও লেবুর চাষও শুরু করেন। তার জমি হতে উৎপাদিত এসব বরই জেলা ছাড়িয়ে চলে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এলাকার দরিদ্র পরিবারের লোকজন বাগানে বরই সংগ্রহের খন্ডকালীন কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পরিবারের মৌসুমি ফলের চাহিদাও মিটিয়ে থাকেন।
বথুয়াবাড়ী গ্রামের বরই চাষী রায়হান, ইমরানসহ অনেক বরই চাষী জানান, আমাদের এখানে প্রায় ৪৪-৪৫ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করা হয়েছে। এতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বরই চাষে খরচ হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি মন বরই বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০০-১৩৫০ টাকা। দাম ভালো থাকলে অনেক টা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক জানান, গত বছরের চেয়ে ৩ হেক্টর জমি বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। অনেক চাষীরা কৃষি অফিসে এসে নানা ধরনের পরামর্শ নিয়ে বরই চাষে নিয়োজিত হয়েছেন। তারা ফলনও ভালো পেয়েছে। ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা এখন বরই চাষে ঝুঁকছে।