গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঠালতলী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে হনুমান। প্রথমবারের মতো সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কাঠালতলী সাপ্তাহিক বাজারে দুই থেকে তিনটি মুখপোড়া হনুমান দেখা গেছে। হনুমান দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ও শিশুরা ভিড় করছে। তবে হনুমানটি কারও কোন ধরনের ক্ষতি করছে না।
জানা যায়, মুখপোড়া হনুমানটি খুবই শান্ত প্রকৃতির। পেটের ক্ষুধায় ভয়ভীতি ছেড়ে সে লোকালয়ে এসেছে বলে ধারণা করছেন। তাকে অনেকেই হাত বাড়িয়ে কলা, বিস্কুট, পাউরুটি দিচ্ছেন। লোকজনের আনাগোনা বেশি হলে বিরক্ত হয়ে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যায়। হনুমান কোথা থেকে কীভাবে এসেছে তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। মাধবখালী ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. কামরুল হুদা বলেন, কাঠাতলী বাজারে গত বছরও এই সময়ে হনুমান এসেছিলো। হনুমান শ্রী রামের ভক্ত। দলছুট হয়ে এ এলাকায় চলে এসেছে। সচারাচার হনুমান এ এলাকায় দেখা যায় না।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এভাবে অরক্ষিত অবস্থায় ঠিকমতো খেতে না পেয়ে হনুমানটি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এছাড়া মানুষের উৎপাতে প্রাণিটির প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।
কাঠালতলী হাই স্কুলের বিএসসি শিক্ষক মো. আবদুল গাফ্ফার বলেন, এ এলাকায় কোন সময়ে হনুমান দেখা যায় না। তবে কাঠালতলী বাজারসহ এর আশে পাশে এলাকায় গত দুই-তিন দিন ধরে দেখা যায় মুখপোড়া হনুমান। স্কুলের উপরে টাওয়ারের ও স্কুলের ছাদে ঘোরা ফেরা করে। লাফিয়ে লাফিলে এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীরা খাবার দিচ্ছে। তবে হনুমানগুলো কারও কোন ধরনের ক্ষতি করছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বলেন, এরা প্রকৃতির বন্ধু। হনুমানকে বিরক্ত না করলে সে কারও কোন ক্ষতি করবে না। খাবারের সন্ধানে হয়ত সুন্দরবন বা দক্ষিণাঞ্চলের কোন এলাকা থেকে বা ট্রাকের ছাঁদে চড়ে হনুমানটি এখানে এসেছে।
জেলা বন কর্মকর্তা মো. আবদুল আল মামুন বলেন, মুখপোড়া হনুমানের এ এলাকায় কোন আবাসস্থল নেই। বিভিন্ন সময়ে এ হনুমানগুলো অবৈধভাবে পাচারকালে ছুটে গেছে। ফলে এ বাজারে হয়ত চলে এসেছে। আমরা বনবিভাগ থেকে চেষ্টা করব যাতে হনুমানকে উদ্ধার করতে পারি তাহলে বনের মধ্যে অবমুক্ত করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঠালতলী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে হনুমান। প্রথমবারের মতো সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কাঠালতলী সাপ্তাহিক বাজারে দুই থেকে তিনটি মুখপোড়া হনুমান দেখা গেছে। হনুমান দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ও শিশুরা ভিড় করছে। তবে হনুমানটি কারও কোন ধরনের ক্ষতি করছে না।
জানা যায়, মুখপোড়া হনুমানটি খুবই শান্ত প্রকৃতির। পেটের ক্ষুধায় ভয়ভীতি ছেড়ে সে লোকালয়ে এসেছে বলে ধারণা করছেন। তাকে অনেকেই হাত বাড়িয়ে কলা, বিস্কুট, পাউরুটি দিচ্ছেন। লোকজনের আনাগোনা বেশি হলে বিরক্ত হয়ে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যায়। হনুমান কোথা থেকে কীভাবে এসেছে তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। মাধবখালী ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. কামরুল হুদা বলেন, কাঠাতলী বাজারে গত বছরও এই সময়ে হনুমান এসেছিলো। হনুমান শ্রী রামের ভক্ত। দলছুট হয়ে এ এলাকায় চলে এসেছে। সচারাচার হনুমান এ এলাকায় দেখা যায় না।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এভাবে অরক্ষিত অবস্থায় ঠিকমতো খেতে না পেয়ে হনুমানটি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এছাড়া মানুষের উৎপাতে প্রাণিটির প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।
কাঠালতলী হাই স্কুলের বিএসসি শিক্ষক মো. আবদুল গাফ্ফার বলেন, এ এলাকায় কোন সময়ে হনুমান দেখা যায় না। তবে কাঠালতলী বাজারসহ এর আশে পাশে এলাকায় গত দুই-তিন দিন ধরে দেখা যায় মুখপোড়া হনুমান। স্কুলের উপরে টাওয়ারের ও স্কুলের ছাদে ঘোরা ফেরা করে। লাফিয়ে লাফিলে এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীরা খাবার দিচ্ছে। তবে হনুমানগুলো কারও কোন ধরনের ক্ষতি করছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বলেন, এরা প্রকৃতির বন্ধু। হনুমানকে বিরক্ত না করলে সে কারও কোন ক্ষতি করবে না। খাবারের সন্ধানে হয়ত সুন্দরবন বা দক্ষিণাঞ্চলের কোন এলাকা থেকে বা ট্রাকের ছাঁদে চড়ে হনুমানটি এখানে এসেছে।
জেলা বন কর্মকর্তা মো. আবদুল আল মামুন বলেন, মুখপোড়া হনুমানের এ এলাকায় কোন আবাসস্থল নেই। বিভিন্ন সময়ে এ হনুমানগুলো অবৈধভাবে পাচারকালে ছুটে গেছে। ফলে এ বাজারে হয়ত চলে এসেছে। আমরা বনবিভাগ থেকে চেষ্টা করব যাতে হনুমানকে উদ্ধার করতে পারি তাহলে বনের মধ্যে অবমুক্ত করা হবে।