alt

দণ্ডিতের অপরাধের সাজা নির্ধারণে নীতিমালা নিয়ে হাই কোর্টের রুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

দণ্ডিত ব্যক্তির অপরাধের সাজা নির্ধারণে দেশে ‘অভিন্ন ও সামঞ্জসপূর্ণ’ নীতিমালা প্রণয়ন প্রশ্নে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মেস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ ‘সেনটেনসিং গাইডলাইন’ প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়ার রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর এ রুল দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী দেশে ‘অভিন্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ’ একটি ‘সেনটেনসিং গাইডলাইন’ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গত বৃহস্পতিবার রিট আবেদনটি করেন। আদ্লাতে শুনানি তিনিই করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, “যাবজ্জীবন মানে ‘আমৃত্যু কারাবাস নয়’, ৩০ বছরের কারাদ- নির্ধারণ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত বছর ১ ডিসেম্বর রায় দিয়েছিল।

‘আতাউর রহমান মৃধা বনাম বাংলাদেশ’ মামলায় এই রায়ের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আসামির পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়া এ রায়ের পর্যবেক্ষণে সেনটেনসিং গাইডলাইনের প্রয়েজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত রুল দিয়েছেন।”

এ আইনজীবী বলেন, দ-বিধি বা আইনে বেশিরভাগ অপরাধেরই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সাজার কথা বলা আছে। এখন কোনো কোনো একটি অপরাধের ক্ষেত্রে যদি বলা থাকে সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদ-, সর্বনিম্ন ৫ বছরের কারাদ-, তাহলে বিচারক বিবেচনা করে হয় সর্বোচ্চ সাজা দেন, নয় সর্বনিম্ন বা মাঝামাঝি কিছু একটা দেন।

“এখন ঘটনাক্রমে কোনো একটা অপরাধ করেছেন এমন ব্যক্তির সাজা নিশ্চয়ই অভ্যাসগতভাবে অপরাধী, এমন একজন ব্যক্তির সাজার সমান হওয়া উচিত না। এ কারণেই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।”

যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার উদাহরণ তুলে ধরে রিট আবেদনে শিশির মনির বলেন, “আমি দেখিয়েছি, আদালত শুধু দণ্ডিত ঘোষণা করেন। কিন্তু সাজা ঘোষণা করা হয় ওই নীতিমালা বা নির্দেশিকা মেনে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সেনটেনসিং গাইডলাইন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।”

রিট আবেদনে বলা হয়, ‘সেনটেনসিং গাইডলাইন’র অনুপস্থিতি বা না থাকার কারণে বিচারকের বিবেচনার ভিত্তিতে ঘোষিত সাজার ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়; যা সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ছবি

কেউ কথা শোনেনি: গ্রামবাসীর উদ্যোগেই গাজীখালি নদীর উপর হচ্ছে সেতু

ছবি

মানিকগঞ্জে হামলায় যুবদল নেতা আহত, বিএনপি নেতার অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি

আদালতের খাস কামরা থেকে বিচারকের আইফোন চুরি

কক্সবাজারে তিন কিশোরী সার্ফারকে ধর্ষণের অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ

ছবি

বেনাপোল দিয়ে ভারতে মাছের রপ্তানি বেড়েছে, পাবদা যাচ্ছে বেশি

ছবি

সোনারগাঁয়ে তরুণীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

ছবি

লালপুরে পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে ভাঙন আতঙ্ক

ছবি

আলীকদম সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মায়ানমার নাগরিক নিহত, আহত ১

ছবি

তিন দাবিতে এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের সচিবালয় অভিমুখী পদযাত্রায় পুলিশি বাধা

ছবি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বেরোবিতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: ৫ জন আহত, ৮ জন বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

সিলেটে চাকরি না ছেড়েই বিদেশে প্রাথমিকের হাজারও শিক্ষক, ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সোনারগাঁয়ে যুবতির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

ছবি

পলাশে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রশাসনের বিশেষ অভিযান

ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত

ছবি

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

ছবি

শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষক

ছবি

নেত্রকোনায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চক্রের সন্ধান

ছবি

সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

ছবি

পূর্বধলায় শহীদ মিয়ার পাশে জেলা প্রশাসন

ছবি

নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ

ছবি

মোহাম্মদপুরে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

ছবি

মাদারগঞ্জে সেলাই মেশিন ও হুইল চেয়ার বিতরণ

ছবি

যশোরে বাস থেকে ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ১

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের মানববন্ধন

ছবি

মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে ওরসে লাখো ভক্তের ঢল

ছবি

বেগমগঞ্জে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চারজন আহত

ছবি

বাঞ্ছারামপুরে ডাকাত দলের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

যাদুকাটা নদীর বালু লুট ও পাড় কাটা ঠেকাতে বাঁশের বেড়া

ছবি

পলাশে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ছবি

মাদারগঞ্জ একটি সেতুর অভাবে ৩০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

ছবি

মাঠের অভাবে খেলার আনন্দ বঞ্চিত শিশুরা

ছবি

রাজিবপুরে ভ্যান ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি

নবাবগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের আটক ১১

ছবি

রাজবাড়ীতে সকল মৎস্যজীবীদের প্রণোদনা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

মনপুরায় যুক্ত হচ্ছে সাবমেরিন ক্যাবল, স্বস্তি ফিরবে গ্রাহকদের

ছবি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বেরোবিতো সংঘর্ষে আহত ৫, তদন্ত কমিটি গঠন

tab

দণ্ডিতের অপরাধের সাজা নির্ধারণে নীতিমালা নিয়ে হাই কোর্টের রুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

দণ্ডিত ব্যক্তির অপরাধের সাজা নির্ধারণে দেশে ‘অভিন্ন ও সামঞ্জসপূর্ণ’ নীতিমালা প্রণয়ন প্রশ্নে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মেস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ ‘সেনটেনসিং গাইডলাইন’ প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়ার রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর এ রুল দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী দেশে ‘অভিন্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ’ একটি ‘সেনটেনসিং গাইডলাইন’ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গত বৃহস্পতিবার রিট আবেদনটি করেন। আদ্লাতে শুনানি তিনিই করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, “যাবজ্জীবন মানে ‘আমৃত্যু কারাবাস নয়’, ৩০ বছরের কারাদ- নির্ধারণ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত বছর ১ ডিসেম্বর রায় দিয়েছিল।

‘আতাউর রহমান মৃধা বনাম বাংলাদেশ’ মামলায় এই রায়ের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আসামির পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়া এ রায়ের পর্যবেক্ষণে সেনটেনসিং গাইডলাইনের প্রয়েজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত রুল দিয়েছেন।”

এ আইনজীবী বলেন, দ-বিধি বা আইনে বেশিরভাগ অপরাধেরই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সাজার কথা বলা আছে। এখন কোনো কোনো একটি অপরাধের ক্ষেত্রে যদি বলা থাকে সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদ-, সর্বনিম্ন ৫ বছরের কারাদ-, তাহলে বিচারক বিবেচনা করে হয় সর্বোচ্চ সাজা দেন, নয় সর্বনিম্ন বা মাঝামাঝি কিছু একটা দেন।

“এখন ঘটনাক্রমে কোনো একটা অপরাধ করেছেন এমন ব্যক্তির সাজা নিশ্চয়ই অভ্যাসগতভাবে অপরাধী, এমন একজন ব্যক্তির সাজার সমান হওয়া উচিত না। এ কারণেই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।”

যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার উদাহরণ তুলে ধরে রিট আবেদনে শিশির মনির বলেন, “আমি দেখিয়েছি, আদালত শুধু দণ্ডিত ঘোষণা করেন। কিন্তু সাজা ঘোষণা করা হয় ওই নীতিমালা বা নির্দেশিকা মেনে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সেনটেনসিং গাইডলাইন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।”

রিট আবেদনে বলা হয়, ‘সেনটেনসিং গাইডলাইন’র অনুপস্থিতি বা না থাকার কারণে বিচারকের বিবেচনার ভিত্তিতে ঘোষিত সাজার ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়; যা সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

back to top