আজ বিজয়া দশমীতে হচ্ছে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে সুমদ্র সৈকতে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সমাপনী দিন আজ ১৫ অক্টোবর শুক্রবার। গত ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ বিকালে বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্ত হচ্ছে। এজন্য কক্সবাজারে নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ।
স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মেয়র এবং জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বিসর্জন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বসছে সম্প্রীতির মিলন মেলা। বির্সজন অনুষ্ঠান শুক্রবার হওয়ার সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারী ছাড়াও স্থানীয় পর্যটক, দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা এসেছেন। সব মিলিয়ে এই বছর দুর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে সমাগম ঘটতে পারে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন মাঠে থাকবে। এজন্য ৮ উপজেলায় ৬ জন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত কার্যক্রম তদারকি করছেন। তারা কঠোর অবস্থানের মধ্যেদিয়ে মাঠে থাকবেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে আরও ২১ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দায়িত্বে থাকবেন।
এদিকে বির্সজন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। সাজানো হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চ। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনা হচ্ছে প্রতিমা। এছাড়াও জেলার বাইরের নাইক্ষ্যছড়ি, বান্দরবান থেকেও আনা হবে প্রতিমা। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক প্রতিমা বিসর্জনের মিলন মেলা বসছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এজন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
জেলা পূজা পরিষদের এক মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট পুলিশ) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পূজার বির্সজন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিগত সময়ের জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। আমরা আশা করছি এই বৎসর দুর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠান শুক্রবারে হওয়ায় আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তাছাড়াও প্রতিমাগুলো কিভাবে, কোন দিকে, কয়টার সময় বিসর্জন হবে এবং তাদেরকে পর্যাপ্ত সহায়তা ছাড়াও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রনজিত দাশ জানিয়েছেন, আজ বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হবে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান। দেশে কক্সবাজারেই অনুষ্ঠিত হবে সর্ববৃহৎ এই বিসর্জন অনুষ্ঠান। আমরা ইতিমধ্যে বিসর্জন অনুষ্ঠান সুন্দর ও স্বার্থক করে তুলতে এবং কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সমাপ্ত করতে প্রশাসন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা উপস্থিত থাকবেন এবং জেলার সাংসদগণ, মেয়র মহোদয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। পূজা এবং বির্সজন অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সু-শৃংখলভাবে উদযাপন করতে আমরা প্রশাসন ছাড়াও কক্সবাজারবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন রনজিত দাশ।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
আজ বিজয়া দশমীতে হচ্ছে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে সুমদ্র সৈকতে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সমাপনী দিন আজ ১৫ অক্টোবর শুক্রবার। গত ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ বিকালে বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্ত হচ্ছে। এজন্য কক্সবাজারে নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ।
স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মেয়র এবং জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বিসর্জন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বসছে সম্প্রীতির মিলন মেলা। বির্সজন অনুষ্ঠান শুক্রবার হওয়ার সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারী ছাড়াও স্থানীয় পর্যটক, দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা এসেছেন। সব মিলিয়ে এই বছর দুর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে সমাগম ঘটতে পারে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন মাঠে থাকবে। এজন্য ৮ উপজেলায় ৬ জন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত কার্যক্রম তদারকি করছেন। তারা কঠোর অবস্থানের মধ্যেদিয়ে মাঠে থাকবেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে আরও ২১ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দায়িত্বে থাকবেন।
এদিকে বির্সজন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। সাজানো হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চ। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনা হচ্ছে প্রতিমা। এছাড়াও জেলার বাইরের নাইক্ষ্যছড়ি, বান্দরবান থেকেও আনা হবে প্রতিমা। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক প্রতিমা বিসর্জনের মিলন মেলা বসছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এজন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
জেলা পূজা পরিষদের এক মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট পুলিশ) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পূজার বির্সজন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিগত সময়ের জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। আমরা আশা করছি এই বৎসর দুর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠান শুক্রবারে হওয়ায় আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তাছাড়াও প্রতিমাগুলো কিভাবে, কোন দিকে, কয়টার সময় বিসর্জন হবে এবং তাদেরকে পর্যাপ্ত সহায়তা ছাড়াও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রনজিত দাশ জানিয়েছেন, আজ বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হবে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান। দেশে কক্সবাজারেই অনুষ্ঠিত হবে সর্ববৃহৎ এই বিসর্জন অনুষ্ঠান। আমরা ইতিমধ্যে বিসর্জন অনুষ্ঠান সুন্দর ও স্বার্থক করে তুলতে এবং কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সমাপ্ত করতে প্রশাসন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা উপস্থিত থাকবেন এবং জেলার সাংসদগণ, মেয়র মহোদয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। পূজা এবং বির্সজন অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সু-শৃংখলভাবে উদযাপন করতে আমরা প্রশাসন ছাড়াও কক্সবাজারবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন রনজিত দাশ।