ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পুরাতন ভবনের ২১১নং ওয়ার্ডটি নবজাতক মুমূর্ষ রোগীদের এনআইসিউ। ভূমিষ্ট হওয়ার পর যে সব নবজাতক শিশুদের শরীরে খিঁচুনি,জন্ডিস, ব্রেনে প্রয়োজনীয় রক্ত সঞ্চালন না হয় বা বিভিন্ন জটিল সমস্যা দেখা দেয় তাদের সুস্থ করে তুলতে এখানে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেয় ঢামেকে কর্তব্যরত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, নবজাতক মুমূর্ষ শিশু রোগীদের এনআইসিউতে ভর্তি করলেই প্রথমে এখানকার আয়াদের কমপক্ষে ৫০০টাকা দিতে হয়। এনআইসিউতে দুইজন আয়াকে ঘুষ না দিলে নানান ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অসুস্থ নবজাতকদের স্বজনরা। এই দুইজন আয়ার একজনের নাম ফাতেমা আরেকজনের নাম জানা যায়নি। এরকম হয়রানি যেন ঢামেকের ২১১নং ওয়ার্ড এনআইসিউতে নিয়মে পরিনত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা এক মহিলা জানান, আমার কাছ থেকে গত দুইদিন আগে ২১১নং ওয়ার্ডের এক আয়া ৫০০টাকা নিয়েছে। নাম জানতে পারিনি। তবে তার শরীরের গঠন সুন্দর ও পাতলা ধরনের। গতকাল আবার ১০০টাকা চেয়েছে ঐ আয়া ডায়াপার কেনার অজুহাতে। টাকা দিতে দেরি করলে আয়ারা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। আইসিউতে ভর্তি মুমূর্ষ নবজাতকের ভাল-মন্দ খোঁজ খবর দেন না। তাদের চাহিদামত মোটা অংকের টাকা না দিলে আইসিউর বারান্দায় পর্যন্ত ঢুকতে দেন না।
নারায়নগঞ্জ থেকে আসা আরেক ভূক্তভোগী জানান, আমার কাছ থেকে ফাতেমা (আয়া খালা) ৩০০টাকা নিয়েছে। বাচ্চার দেখাশুনার কথা বলে। এরপরও আবার টাকা দিতে হয়েছে। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ফাতেমা খারাপ আচরণ করে গতকাল আমাকে আইসিউর বারান্দা থেকে ধমক দিয়ে বের করে দিয়েছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে আরেক মুমূর্ষ নবজাতকের স্বজন জানান, বাচ্চাকে ভর্তি করার প্রথম দিন ফাতেমা খালাকে ৫০০টাকা দিয়েছি। আবার একদিন পরপর তাকে ১০০টাকা করে দিতে হয়। না দিলে তো বোঝেন কি যে হয়রানি হতে হয়! তা আর কইয়া কি করুম?
হাজারীবাগ থেকে একজন জানান, আয়া ফাতেমা খালাকে ৫০০টাকা দিয়েছি। বাহির থেকে শিশুর ডায়াপার এনে দিলে আয়া তা নেন না। ধমক দিয়ে বলে তার কাছ থেকে নিতে হবে।
জানা গেছে, এভাবে প্রতিদিন এনআইসিউতে ভর্তি নবজাতকদের অসুস্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়সহ নানানভাবে হয়রানি করছেন উক্ত কয়েকজন আয়া।
এব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সংবাদকে জানান, নবজাতক রোগীর স্বজনদের হয়রানির সাথে জড়িত ২১১নং ওয়ার্ড এনআইসিউর এসব আয়াদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এদের বিরুদ্ধে আমার কাছে আরও কয়েকজন অভিযোগ দিয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পুরাতন ভবনের ২১১নং ওয়ার্ডটি নবজাতক মুমূর্ষ রোগীদের এনআইসিউ। ভূমিষ্ট হওয়ার পর যে সব নবজাতক শিশুদের শরীরে খিঁচুনি,জন্ডিস, ব্রেনে প্রয়োজনীয় রক্ত সঞ্চালন না হয় বা বিভিন্ন জটিল সমস্যা দেখা দেয় তাদের সুস্থ করে তুলতে এখানে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেয় ঢামেকে কর্তব্যরত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, নবজাতক মুমূর্ষ শিশু রোগীদের এনআইসিউতে ভর্তি করলেই প্রথমে এখানকার আয়াদের কমপক্ষে ৫০০টাকা দিতে হয়। এনআইসিউতে দুইজন আয়াকে ঘুষ না দিলে নানান ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অসুস্থ নবজাতকদের স্বজনরা। এই দুইজন আয়ার একজনের নাম ফাতেমা আরেকজনের নাম জানা যায়নি। এরকম হয়রানি যেন ঢামেকের ২১১নং ওয়ার্ড এনআইসিউতে নিয়মে পরিনত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা এক মহিলা জানান, আমার কাছ থেকে গত দুইদিন আগে ২১১নং ওয়ার্ডের এক আয়া ৫০০টাকা নিয়েছে। নাম জানতে পারিনি। তবে তার শরীরের গঠন সুন্দর ও পাতলা ধরনের। গতকাল আবার ১০০টাকা চেয়েছে ঐ আয়া ডায়াপার কেনার অজুহাতে। টাকা দিতে দেরি করলে আয়ারা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। আইসিউতে ভর্তি মুমূর্ষ নবজাতকের ভাল-মন্দ খোঁজ খবর দেন না। তাদের চাহিদামত মোটা অংকের টাকা না দিলে আইসিউর বারান্দায় পর্যন্ত ঢুকতে দেন না।
নারায়নগঞ্জ থেকে আসা আরেক ভূক্তভোগী জানান, আমার কাছ থেকে ফাতেমা (আয়া খালা) ৩০০টাকা নিয়েছে। বাচ্চার দেখাশুনার কথা বলে। এরপরও আবার টাকা দিতে হয়েছে। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ফাতেমা খারাপ আচরণ করে গতকাল আমাকে আইসিউর বারান্দা থেকে ধমক দিয়ে বের করে দিয়েছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে আরেক মুমূর্ষ নবজাতকের স্বজন জানান, বাচ্চাকে ভর্তি করার প্রথম দিন ফাতেমা খালাকে ৫০০টাকা দিয়েছি। আবার একদিন পরপর তাকে ১০০টাকা করে দিতে হয়। না দিলে তো বোঝেন কি যে হয়রানি হতে হয়! তা আর কইয়া কি করুম?
হাজারীবাগ থেকে একজন জানান, আয়া ফাতেমা খালাকে ৫০০টাকা দিয়েছি। বাহির থেকে শিশুর ডায়াপার এনে দিলে আয়া তা নেন না। ধমক দিয়ে বলে তার কাছ থেকে নিতে হবে।
জানা গেছে, এভাবে প্রতিদিন এনআইসিউতে ভর্তি নবজাতকদের অসুস্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়সহ নানানভাবে হয়রানি করছেন উক্ত কয়েকজন আয়া।
এব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সংবাদকে জানান, নবজাতক রোগীর স্বজনদের হয়রানির সাথে জড়িত ২১১নং ওয়ার্ড এনআইসিউর এসব আয়াদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এদের বিরুদ্ধে আমার কাছে আরও কয়েকজন অভিযোগ দিয়েছে।