ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মাওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া।
তিনি বলেন, “মনিরুল মাওলার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এরপর থেকে ব্যাংকে একের পর এক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ে ব্যাংকে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন মনিরুল মাওলা। তাকে দ্রুত পদোন্নতি দিয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এমডি পদে বসানো হয়।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ইসলামী ব্যাংকে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই ঘটনায় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত।
এরপর দুদক একাধিক মামলায় মনিরুল মাওলাকে আসামি করে। প্রথম মামলায় ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৯২ কোটি টাকার ঋণ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। জানুয়ারিতে করা আরেক মামলায় ৯৯৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মনিরুল মাওলা ও অন্য ৫৩ জনকে আসামি করা হয়।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে। এরপর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর এমডির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন মনিরুল মাওলা। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মাওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া।
তিনি বলেন, “মনিরুল মাওলার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এরপর থেকে ব্যাংকে একের পর এক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ে ব্যাংকে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন মনিরুল মাওলা। তাকে দ্রুত পদোন্নতি দিয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এমডি পদে বসানো হয়।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ইসলামী ব্যাংকে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই ঘটনায় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত।
এরপর দুদক একাধিক মামলায় মনিরুল মাওলাকে আসামি করে। প্রথম মামলায় ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৯২ কোটি টাকার ঋণ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। জানুয়ারিতে করা আরেক মামলায় ৯৯৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মনিরুল মাওলা ও অন্য ৫৩ জনকে আসামি করা হয়।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে। এরপর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর এমডির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন মনিরুল মাওলা। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।