রাজধানীতে ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শেষ হয়েছে। আট দিনব্যাপী এ মেলায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তারা। এর পাশাপাশি তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকার পণ্যের ক্রয়াদেশ পেয়েছেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ৭ ডিসেম্বর এ মেলা শুরু হয়। আর গত রোববার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার সমাপনী টানা হয়। অনুষ্ঠানে মেলায় অংশ নেওয়া ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
সেরা স্টলের স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো চামড়া খাতের এজিস, পাটজাত পণ্য খাতের সৈয়দপুর এন্টারপ্রাইজ, হস্তশিল্প খাতের ক্রাফটিমেশন, হারবাল খাতের দীঘল, জুয়েলারি খাতের আটকুঠুরি নয় দরজা, কৃষি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্য খাতের খাসফুড লিমিটেড ও ফ্যাশন ডিজাইন খাতের প্রতিষ্ঠান খুঁত। এ ছাড়া প্লাস্টিক রিসাইক্লিং খাতের লিভিজা প্রিকাস্ট কংক্রিট, হালকা প্রকৌশল খাতের বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান খাতে পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের স্টল এই স্বীকৃতি পেয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে ঢাকায় ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা’র আয়োজন করে আসছে। এখন পর্যন্ত ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় তিন হাজার উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করেছেন। এসব মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা প্রায় ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার পণ্যের ক্রয়াদেশ পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এবার মেলায় অংশ নেয় প্রায় সাড়ে তিন শ’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী-উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় মেলায়। এছাড়া হস্ত ও কারু শিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি, পাটজাত পণ্যের ৩৫টি, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি, শতরঞ্জি, বাঁশ বেত, হোগলা, সুপারিখোল, কাঠের ১৫টি, খাদপণ্যের ১৪টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি, জুয়েলারি শিল্পের ৯টি, প্রসাধন খাতের ৭টি, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবাখাতের ৫টি, হারবাল বা ভেষজ শিল্পের ৫টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৫টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৩টি, ফার্নিচার খাতের ৩টি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল অংশ নেয়।
উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৮টি দপ্তর সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় এবারের মেলায়।