alt

করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন উদ্যোক্তারা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

বৈশ্বিক করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা ও সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব (ইসিফোরজে) প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সহায়তা দেয়া হবে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ান টিমবন ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, ‘কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হবেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন।’ এ কর্মসূচির নিরবচ্ছিন্ন বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রপ্তানির বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান তৈরি করা, যা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্ড ফান্ডের (সিইআরএফ) মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় ও বিশ্বাবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উপকৃত হবে।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ন টিমবন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এতে বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে এসেছে। করোনা প্রতিরোধসামগ্রীর উৎপাদনে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে ৫টির মতো আবেদন এই কর্মসূচির সুবিধা পাবে।’

ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আমাদের ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি। ক্ষতি হতে পারে। তবে এতে আমরা ভীত নই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো। আমাদের মূল কাজ পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ করা। ইসিফোরজে প্রকল্পের মাধ্যমে তা সহজ হবে। নতুন এ কর্মসূচিতে যোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে সহযোগিতা দেয়া হবে।’

এ সময় নতুন কর্মসূচির (উইন্ডো ফোর) বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) কর্মসূচির টিম লিডার ডেভ রাঙ্গানাইকালু। এতে বলা হয়, এ কর্মসূচির জন্য বিনিয়োগ সহায়তা পরিমাণ হবে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিটি উদ্যোগে বিনিয়োগ সহায়তা পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার। প্রস্তাবিত এ কার্যক্রম ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে রোববার থেকেই এ কর্মসূচির যোগ্য আবেদনকারীরা বিনিয়োগ সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারছেন। যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিপিই পণ্য উৎপাদন করে স্থানীয় বাজার ও রপ্তানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এ অনুদান। দেশীয় ও বৈদেশিক প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে কোন উদ্যোক্তা যদি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা সক্ষম হয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এমপিপিই সামগ্রী উৎপাদন করতে সক্ষম হন, তারা এ বিনিয়োগ সহায়তা জন্য বিবেচিত হবেন।

যেসব উদ্ভাবনী ও মেধাসম্পন্ন উদ্যোক্তা নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মেডিকেল ও পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছেন, তারা এ বিনিয়োগ সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইসিফোরজে প্রকল্পের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইসিফোরজে নামক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মূলত চারটি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগী সক্ষম করে গড়ে তুলতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী তৈরির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, যা সিইআরএফ নামে পরিচিত। অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সহায়তা হবে ৫০ শতাংশ।

যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে এ বিনিয়োগ সহায়তা প্রযোজ্য হবে তা হলো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনোস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকান্ড যেমন, গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন।

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

ছবি

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

বাজারে রেসি ব্র্যান্ডের হাই ক্যাপাসিটি পাওয়ার ব্যাংক

ছবি

মৌসুমের দ্বিতীয় দিনেও সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের উপস্থিতি নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ছবি

চালু হলো এমএফএস ও ব্যাংক আন্তলেনদেন

ছবি

ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন, লেনদেন ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ-শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ ৩ মাস স্থগিত

ছবি

‘বিডাকে দ্রুত পরিবর্তিত বিনিয়োগ পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে’

ছবি

জুলাই-সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া

ছবি

বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া

ছবি

নিষেধাজ্ঞা উঠলেও নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ

ছবি

শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন হারালো প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এসএমই খাতকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ

ছবি

৩০ নভেম্বরের মধ্যে করদাতাদের ই-রিটার্ন জমা দিতে হবে: এনবিআর

ছবি

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭ শতাংশ কমতে পারে

ছবি

সরকারি মালিকানার ব্যাংকের পরিচালকদের কাজের বছরভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে

ছবি

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করি না: লুৎফে সিদ্দিকী

ছবি

চলতি কর বছরে ই-রিটার্ন ১০ লাখ ছাড়িয়েছে

ছবি

খেলাপির প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ আইএমএফের

ছবি

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপাল গেল ১ হাজার ৪০৭ টন আলু

ছবি

বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে পরিশোধই বেশি

ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করছে আইএমএফ

ছবি

প্রাইম ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ

ছবি

সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি তদন্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন

ছবি

সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময় বাড়লো ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

নৌপথে পণ্য পরিবহন করেও ভাড়ার টাকা পাচ্ছে না মালিকরা

ছবি

আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, রুপার মূল্য অপরিবর্তিত

ছবি

শীর্ষ ব্রোকারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএসইসি

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ৬৩ শতাংশ

tab

করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন উদ্যোক্তারা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

বৈশ্বিক করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা ও সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব (ইসিফোরজে) প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সহায়তা দেয়া হবে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ান টিমবন ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, ‘কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হবেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন।’ এ কর্মসূচির নিরবচ্ছিন্ন বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রপ্তানির বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান তৈরি করা, যা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্ড ফান্ডের (সিইআরএফ) মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় ও বিশ্বাবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উপকৃত হবে।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ন টিমবন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এতে বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে এসেছে। করোনা প্রতিরোধসামগ্রীর উৎপাদনে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে ৫টির মতো আবেদন এই কর্মসূচির সুবিধা পাবে।’

ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আমাদের ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি। ক্ষতি হতে পারে। তবে এতে আমরা ভীত নই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো। আমাদের মূল কাজ পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ করা। ইসিফোরজে প্রকল্পের মাধ্যমে তা সহজ হবে। নতুন এ কর্মসূচিতে যোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে সহযোগিতা দেয়া হবে।’

এ সময় নতুন কর্মসূচির (উইন্ডো ফোর) বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) কর্মসূচির টিম লিডার ডেভ রাঙ্গানাইকালু। এতে বলা হয়, এ কর্মসূচির জন্য বিনিয়োগ সহায়তা পরিমাণ হবে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিটি উদ্যোগে বিনিয়োগ সহায়তা পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ডলার। প্রস্তাবিত এ কার্যক্রম ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে রোববার থেকেই এ কর্মসূচির যোগ্য আবেদনকারীরা বিনিয়োগ সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারছেন। যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিপিই পণ্য উৎপাদন করে স্থানীয় বাজার ও রপ্তানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এ অনুদান। দেশীয় ও বৈদেশিক প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে কোন উদ্যোক্তা যদি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা সক্ষম হয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এমপিপিই সামগ্রী উৎপাদন করতে সক্ষম হন, তারা এ বিনিয়োগ সহায়তা জন্য বিবেচিত হবেন।

যেসব উদ্ভাবনী ও মেধাসম্পন্ন উদ্যোক্তা নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মেডিকেল ও পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছেন, তারা এ বিনিয়োগ সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইসিফোরজে প্রকল্পের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইসিফোরজে নামক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মূলত চারটি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগী সক্ষম করে গড়ে তুলতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী তৈরির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, যা সিইআরএফ নামে পরিচিত। অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ বিনিয়োগ সহায়তা পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সহায়তা হবে ৫০ শতাংশ।

যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে এ বিনিয়োগ সহায়তা প্রযোজ্য হবে তা হলো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনোস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকান্ড যেমন, গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন।

back to top