alt

রবি’র সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ১৮ লাখ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

৪৭ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) নিয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ করল রবি। বছরের প্রথমার্ধে অপারেটরটির পিএটি পৌঁছেছে ৮১ কোটি টাকায়। ২৮ জুলাই এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফল ঘোষণার সময় এসব তথ্য জানিয়েছে অপারেটরটি।

এ সময় জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় রবির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৃদ্ধি পেয়েেছ ৭.৫ শতাংশ। তবে ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় রবির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। মোট ৫ কোটি ১৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২ কোটি গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছে। এছাড়া অপারেটরটির ৭২.৪ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন যা এ খাতে সর্বোচ্চ। প্রতি মাসে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত ডাটার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহক প্রতি মাসিক ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ এখন ৩.৯ জিবিতে দাঁড়িয়েছে।

২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবি’র মোট গ্রাহক দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯.৪ শতাংশ।

করোনা মহামারির কারণে লকডাউন পরিস্থিতি সত্ত্বেও চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি’র রাজস্ব আয় ২,০৩১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি প্রথম প্রান্তিক থেকে ২.৫ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৫.২ শতাংশ বেড়েছে। ভয়েস সেবা থেকে রবি’র রাজস্বের হার ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ভয়েস সেবায় রাজস্ব ১৩.৭ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে ডাটা সেবায় রাজস্ব আয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ আয় গত প্রান্তিকের তুলনায় ৩.৬ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২১.৯ শতাংশ বেড়েছে।

গত প্রান্তিকের তুলনায় ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষ নাগাদ রবি’র ইবিআইটিডিএ দাঁড়িয়েছে ৮৫৪ কোটি টাকায়। তবে ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় ইবিআইটিডিএ ৩.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি প্রান্তিক শেষে ইবিআইটিডিএ মার্জিন দাঁড়িয়েছে ৪২.১ শতাংশে।

ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি ৫৮৪ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে। ১৩,৫৪৫টি ফোরজি সাইট দিয়ে চলতি প্রান্তিক শেষ করেছে রবি। এটি ৯৮ শতাংশ জনসংখ্যার কাভারেজ নিশ্চিত করছে। রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১,১৩৮ কোটি টাকা যা ওই প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৫৬ শতাংশ।

কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের ডিজিটাল লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যে আমাদের আর্থিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে শুরু করেছে। আমরা দক্ষতার সাথে আমাদের ব্যয় পরিচালনা করার পাশাপাশি কোম্পানির উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কোম্পানির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-তে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত, যা কোভিড হেল্পলাইন হিসাবে নাগরিকদের সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এর মাধ্যমে নাগরিকদের দ্বারপ্রান্তে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। রবি-টেন মিনিট স্কুলের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন সকল বয়সের ৩০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে মানসম্পন্ন শিক্ষা কন্টেন্ট সরবরাহ করছি।

কিন্তু নিয়ন্ত্রক পরিস্থিতি নিয়ে মাহতাব উদ্বিগ্ন। এসএমপি নিয়ন্ত্রণে ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের অভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামগ্রিক প্রতিযোগিতামূলক ত্রুটিগুলো বাজারকে ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। প্রতিযোগিতার এমন ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে অপেক্ষাকৃত ছোট অপারেটরদের জন্য। তিনি উল্লেখ করেন, ত্রুটিপূর্ণ মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া এবং বিতরণ ব্যবস্থা গ্রাহকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করছে এবং একইসাথে টেলিকম শিল্পকে দূর্বল করে ফেলছে যা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সুষ্ঠুভাবে বাজার পরিচালনার জন্য এটি নিশ্চিত করা জরুরি যেন কোনো একক সংস্থা মূল্য নির্ধারণ ও উৎপাদন সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রভাব ফেলতে না পারে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের বাজারে উল্লেখযোগ্য একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে যার কারণে প্রতিযোগীরা উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। অথচ দেশের ভবিষ্যতের জন্য এ খাতে বিনিয়োগ জরুরি।

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীর ক্ষতিপূরণ বিবেচনা করতে পারে সরকার

ছবি

সমন্বিত ঋণ ব্যবস্থাপনা অফিস প্রতিষ্ঠার সুপারিশ আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের

ছবি

নভেম্বরের প্রথম পাঁচ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৮ কোটি ডলার

ছবি

কানাডায় তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়াতে এক সঙ্গে কাজ করবে বিবিসিসি ও বিজিএমইএ

ছবি

নগদ লভ্যাংশ পেল বীমা খাতের বিনিয়োগকারীরা

ছবি

বিএসইসির নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ

ছবি

মিরসরাইয়ে চার প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি ডলারের বিনিয়োগ

এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছাড়া মিলবে না মার্জিন ঋণ

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত, যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা

ছবি

অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

ই-কমার্স রপ্তানির সীমা দ্বিগুণ, ওয়ালেটে অর্থ আনার সুবিধা

ছবি

পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির প্রস্তাব

ছবি

তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসক পাঁচ ব্যাংক একীভূত করবে, আমানতকারীরা নিরাপদ

ছবি

মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে, ৩৯ মাসে সর্বনিম্ন

ছবি

ডিএসইএক্স সূচক ৪ মাস পর পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে

ছবি

আর্থিক সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড বাতিল

ছবি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন না হলে খাদ্য সংকট বাড়বে: কর্মশালায় বক্তারা

ছবি

জার্মান রাষ্ট্রদূত ও বিজিএমইএ সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

বন্ড ছেড়ে ২৫০০ কোটি টাকা তুলবে সরকার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারে সয়াবিন কিনবে তিন প্রতিষ্ঠান

ছবি

জাপানি উপকরণ ও প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ শুরু

ছবি

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে জটিলতার সমাধান চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা তিন মাস কমলো দেশের পণ্য রপ্তানি

ছবি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয় ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার টেকসই হবে না, আলোচনায় বক্তারা

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

tab

রবি’র সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ১৮ লাখ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

৪৭ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) নিয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ করল রবি। বছরের প্রথমার্ধে অপারেটরটির পিএটি পৌঁছেছে ৮১ কোটি টাকায়। ২৮ জুলাই এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফল ঘোষণার সময় এসব তথ্য জানিয়েছে অপারেটরটি।

এ সময় জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় রবির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৃদ্ধি পেয়েেছ ৭.৫ শতাংশ। তবে ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় রবির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। মোট ৫ কোটি ১৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২ কোটি গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছে। এছাড়া অপারেটরটির ৭২.৪ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন যা এ খাতে সর্বোচ্চ। প্রতি মাসে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত ডাটার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহক প্রতি মাসিক ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ এখন ৩.৯ জিবিতে দাঁড়িয়েছে।

২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবি’র মোট গ্রাহক দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯.৪ শতাংশ।

করোনা মহামারির কারণে লকডাউন পরিস্থিতি সত্ত্বেও চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি’র রাজস্ব আয় ২,০৩১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি প্রথম প্রান্তিক থেকে ২.৫ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৫.২ শতাংশ বেড়েছে। ভয়েস সেবা থেকে রবি’র রাজস্বের হার ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ভয়েস সেবায় রাজস্ব ১৩.৭ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে ডাটা সেবায় রাজস্ব আয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ আয় গত প্রান্তিকের তুলনায় ৩.৬ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২১.৯ শতাংশ বেড়েছে।

গত প্রান্তিকের তুলনায় ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষ নাগাদ রবি’র ইবিআইটিডিএ দাঁড়িয়েছে ৮৫৪ কোটি টাকায়। তবে ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় ইবিআইটিডিএ ৩.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি প্রান্তিক শেষে ইবিআইটিডিএ মার্জিন দাঁড়িয়েছে ৪২.১ শতাংশে।

ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি ৫৮৪ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে। ১৩,৫৪৫টি ফোরজি সাইট দিয়ে চলতি প্রান্তিক শেষ করেছে রবি। এটি ৯৮ শতাংশ জনসংখ্যার কাভারেজ নিশ্চিত করছে। রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১,১৩৮ কোটি টাকা যা ওই প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৫৬ শতাংশ।

কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের ডিজিটাল লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যে আমাদের আর্থিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে শুরু করেছে। আমরা দক্ষতার সাথে আমাদের ব্যয় পরিচালনা করার পাশাপাশি কোম্পানির উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কোম্পানির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-তে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত, যা কোভিড হেল্পলাইন হিসাবে নাগরিকদের সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এর মাধ্যমে নাগরিকদের দ্বারপ্রান্তে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। রবি-টেন মিনিট স্কুলের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন সকল বয়সের ৩০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে মানসম্পন্ন শিক্ষা কন্টেন্ট সরবরাহ করছি।

কিন্তু নিয়ন্ত্রক পরিস্থিতি নিয়ে মাহতাব উদ্বিগ্ন। এসএমপি নিয়ন্ত্রণে ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের অভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামগ্রিক প্রতিযোগিতামূলক ত্রুটিগুলো বাজারকে ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। প্রতিযোগিতার এমন ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে অপেক্ষাকৃত ছোট অপারেটরদের জন্য। তিনি উল্লেখ করেন, ত্রুটিপূর্ণ মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া এবং বিতরণ ব্যবস্থা গ্রাহকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করছে এবং একইসাথে টেলিকম শিল্পকে দূর্বল করে ফেলছে যা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সুষ্ঠুভাবে বাজার পরিচালনার জন্য এটি নিশ্চিত করা জরুরি যেন কোনো একক সংস্থা মূল্য নির্ধারণ ও উৎপাদন সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রভাব ফেলতে না পারে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের বাজারে উল্লেখযোগ্য একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে যার কারণে প্রতিযোগীরা উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। অথচ দেশের ভবিষ্যতের জন্য এ খাতে বিনিয়োগ জরুরি।

back to top