alt

শেয়ারবাজারে ফিরলো আড়াই হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত সপ্তাহে সামান্য উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক সামান্য বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা আড়াই হাজার কোটি টাকা ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬ কোটি ৫৮ লাখ ২৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ৫৬১ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯ হাজার ৭০৯ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৮১১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১ হাজার ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৪১২ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৫ টাকা বা ১৩ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২.২৯ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৫০.৬০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৯৫ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৮১.০৫ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ০.৯৯ পয়েন্ট ০.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৭৩.৫৬ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির বা ৪২.৮৬ শতাংশের, কমেছে ১৯৮টির বা ৫২.৩৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৪.৭৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৮০ লাখ ৪০৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪০৬ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ২৪৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮০ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৬ টাকা বা ২০ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪.৭১ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৪৬.০৬ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৪.৬৩ পয়েন্ট বা ০.০৩ শতাংশ ও সিএসআই ৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬৮৭.২১ পয়েন্টে ও এক হাজার ৩৪৯.৫০ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ১২৯.৫০ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ৫.৯৬ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৩১.৯১ পয়েন্টে ও এক হাজার ৫৪৫.৯১ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৯টির বা ৪৩.৫৭ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৭৯টির বা ৫২.৩৪ শতাংশের কমেছে এবং ১৪টির বা ৪.০৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২০.৬০ পয়েন্টে যা সপ্তাহ শেষে ২০.৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১১ পয়েন্ট বা ০.৫৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮১ পয়েন্টে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩০.৫৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৮.৭৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.৬৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৫১ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.৫১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৬৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৭.১৪ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.১৫ শতাংশ, চামড়া খাতের ১৪৮.৫৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৮.৬৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১১৩.১৬ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩৬৫.৩৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৯.৫১ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৭৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩২.০১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৫.৮৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪২.৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬২টির বা ৪২.৮৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪.৬০ টাকায়। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৮.২০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ২৪.৬৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে প্যাসিফিক ডেনিমস ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ২০.৮০ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১৯.৪৪ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৭.৮৭ শতাংশ, কেডিএস এক্সেসরিজের ১৭.২৫ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১৬.৪৩ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১৬.৩৮ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৬.০৩ শতাংশ, আমরা টেকনোলজিসের ১৩.৭৬ শতাংশ এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ১৩.১৪ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৮টির বা ৫২.৩৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২২৯.৫০ টাকায়। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৮৭.৩০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪২.২০ টাকা বা ১৮.৩৯ শতাংশ কমেছে।

এর মাধ্যমে মনোস্পুল পেপার ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পেপার প্রসেসিংয়ের ১৮.১৫ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫.৪৬ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৩.১৩ শতাংশ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১.৪৩ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১.১১ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১০.৮১ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ৯.৩৮ শতাংশ এবং ইবনে সিনার শেয়ার দর ৮.৮১ শতাংশ কমেছে।

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ২৬ ঘণ্টা ভোগান্তি

ছবি

২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ

ছবি

অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

অক্টোবরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি জাতিসংঘকে জানাতে হবে

ছবি

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

tab

শেয়ারবাজারে ফিরলো আড়াই হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত সপ্তাহে সামান্য উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক সামান্য বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা আড়াই হাজার কোটি টাকা ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬ কোটি ৫৮ লাখ ২৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ৫৬১ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯ হাজার ৭০৯ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৮১১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১ হাজার ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৪১২ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৫ টাকা বা ১৩ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২.২৯ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৫০.৬০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৯৫ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৮১.০৫ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ০.৯৯ পয়েন্ট ০.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৭৩.৫৬ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির বা ৪২.৮৬ শতাংশের, কমেছে ১৯৮টির বা ৫২.৩৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৪.৭৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৮০ লাখ ৪০৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪০৬ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ২৪৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮০ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৬ টাকা বা ২০ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪.৭১ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৪৬.০৬ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৪.৬৩ পয়েন্ট বা ০.০৩ শতাংশ ও সিএসআই ৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬৮৭.২১ পয়েন্টে ও এক হাজার ৩৪৯.৫০ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ১২৯.৫০ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ৫.৯৬ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৩১.৯১ পয়েন্টে ও এক হাজার ৫৪৫.৯১ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৯টির বা ৪৩.৫৭ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৭৯টির বা ৫২.৩৪ শতাংশের কমেছে এবং ১৪টির বা ৪.০৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২০.৬০ পয়েন্টে যা সপ্তাহ শেষে ২০.৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১১ পয়েন্ট বা ০.৫৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮১ পয়েন্টে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩০.৫৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৮.৭৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.৬৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৫১ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.৫১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৬৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৭.১৪ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.১৫ শতাংশ, চামড়া খাতের ১৪৮.৫৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৮.৬৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১১৩.১৬ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩৬৫.৩৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৯.৫১ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৭৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩২.০১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৫.৮৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪২.৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬২টির বা ৪২.৮৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪.৬০ টাকায়। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৮.২০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ২৪.৬৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে প্যাসিফিক ডেনিমস ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ২০.৮০ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১৯.৪৪ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৭.৮৭ শতাংশ, কেডিএস এক্সেসরিজের ১৭.২৫ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১৬.৪৩ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১৬.৩৮ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৬.০৩ শতাংশ, আমরা টেকনোলজিসের ১৩.৭৬ শতাংশ এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ১৩.১৪ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৮টির বা ৫২.৩৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২২৯.৫০ টাকায়। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৮৭.৩০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪২.২০ টাকা বা ১৮.৩৯ শতাংশ কমেছে।

এর মাধ্যমে মনোস্পুল পেপার ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পেপার প্রসেসিংয়ের ১৮.১৫ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫.৪৬ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৩.১৩ শতাংশ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১.৪৩ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১.১১ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১০.৮১ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ৯.৩৮ শতাংশ এবং ইবনে সিনার শেয়ার দর ৮.৮১ শতাংশ কমেছে।

back to top