জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সাথে অ্যাসোসয়িশেন অব চার্টার্ড সার্টিফায়ডে অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ)-এর সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব এবং এসিসিএ-এর পক্ষে এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড প্রমা তাপসী খান এফসিসিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সভাপতি মো. সোহেল রানা, সহকারী অধ্যাপক তানজিলা সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু, প্রভাষক শুভ হাওলাদার, এসিসিএ বাংলাদেশ এর বিজনেস রিলেশনশিপ এক্সিকিউটিভ মাইশা নানজিবা মূসাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পেশাজীবনে জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এসিসিএ-এর বিভিন্ন লার্নিং রিসোর্স ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সিলেবাস সাবজেক্ট ম্যাপিং এর মাধ্যমে পাঠ্যসূচির কয়েকটি বিষয়ে অব্যাহতি পাবেন। এই চুক্তির আওতায় মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ও কৌশল তৈরী, এসিসিএ-এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টেসি ও ফাইন্যান্স পেশায় সফল করতে প্রশিক্ষণ পরিচালনা, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চাকরির জন্য যোগ্য করে তোলা, প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীদের সাথে পারস্পরিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে, শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরিতে এসিসিএ এবং একাউন্টিং বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে।
সমঝোতা স্মারক চুক্তি অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুর রব বলেন, এসিসিএকে প্রতি আহ্বান তারা যেন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায়সই বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে। এর মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে চাকরি বাজারে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। যার ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে।
এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড প্রমা তাপসী খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এসিসিএর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের সঙ্গে এসিসিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর বাংলাদেশের প্রফেশনাল একাউন্টিং ডিগ্রির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এসিসিএ ডিগ্রি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, এসিসিএ এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য হলো একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেন এই প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ে এক্সেম্পশন পায়। আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, পরবর্তীতে একাউন্টিং বিভাগের পাঠ্যসূচি প্রণয়নে এসিসিএসহ অন্যান্য একাউন্টিং প্রফেশনাল কর্তৃপক্ষের অন্তর্ভুক্তিকরণ।বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় খাতেও এসিসিএ আমাদের সহায়তা করবে বলে আমি আশাবাদী। ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরি বাজারে শিক্ষার্থীরা এসিসিএ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
একাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দক্ষ একাউন্টিং কর্তৃপক্ষ থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, একাউন্টিং পেশা, আর্থিক বিষয় সম্বন্ধে বিস্তর জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবে, যা ক্যারিয়ার গঠনে দিকদর্শনের মতো কাজ করবে। একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যে এতো বড় একটি সুযোগ তৈরি করায় এসিসিএকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । আশা করি, শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সাথে অ্যাসোসয়িশেন অব চার্টার্ড সার্টিফায়ডে অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ)-এর সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব এবং এসিসিএ-এর পক্ষে এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড প্রমা তাপসী খান এফসিসিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সভাপতি মো. সোহেল রানা, সহকারী অধ্যাপক তানজিলা সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু, প্রভাষক শুভ হাওলাদার, এসিসিএ বাংলাদেশ এর বিজনেস রিলেশনশিপ এক্সিকিউটিভ মাইশা নানজিবা মূসাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পেশাজীবনে জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এসিসিএ-এর বিভিন্ন লার্নিং রিসোর্স ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সিলেবাস সাবজেক্ট ম্যাপিং এর মাধ্যমে পাঠ্যসূচির কয়েকটি বিষয়ে অব্যাহতি পাবেন। এই চুক্তির আওতায় মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ও কৌশল তৈরী, এসিসিএ-এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টেসি ও ফাইন্যান্স পেশায় সফল করতে প্রশিক্ষণ পরিচালনা, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চাকরির জন্য যোগ্য করে তোলা, প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীদের সাথে পারস্পরিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে, শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরিতে এসিসিএ এবং একাউন্টিং বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে।
সমঝোতা স্মারক চুক্তি অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুর রব বলেন, এসিসিএকে প্রতি আহ্বান তারা যেন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায়সই বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে। এর মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে চাকরি বাজারে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। যার ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে।
এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড প্রমা তাপসী খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এসিসিএর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের সঙ্গে এসিসিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর বাংলাদেশের প্রফেশনাল একাউন্টিং ডিগ্রির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এসিসিএ ডিগ্রি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, এসিসিএ এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য হলো একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেন এই প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ে এক্সেম্পশন পায়। আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, পরবর্তীতে একাউন্টিং বিভাগের পাঠ্যসূচি প্রণয়নে এসিসিএসহ অন্যান্য একাউন্টিং প্রফেশনাল কর্তৃপক্ষের অন্তর্ভুক্তিকরণ।বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় খাতেও এসিসিএ আমাদের সহায়তা করবে বলে আমি আশাবাদী। ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরি বাজারে শিক্ষার্থীরা এসিসিএ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
একাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান দিপু বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দক্ষ একাউন্টিং কর্তৃপক্ষ থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, একাউন্টিং পেশা, আর্থিক বিষয় সম্বন্ধে বিস্তর জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবে, যা ক্যারিয়ার গঠনে দিকদর্শনের মতো কাজ করবে। একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যে এতো বড় একটি সুযোগ তৈরি করায় এসিসিএকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । আশা করি, শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।