ছবি : সংগৃহীত
ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টে এক রিটকে কেন্দ্র করে এক নারী প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি যে সিক্ষার্থী দিয়েছে তার নাম আলী হুসেন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। সিলেটে জেলায় জন্ম তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে যখন ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে সমালোচনা চলছিলো তখন একে একে সামনে আসতে শুরু করে তার বিভিন্ন কর্মকান্ড।
তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। অন্তত দুটি শিক্ষার্থী সংগঠন তাকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বলে অভিযোগ করেছে। আর তার বিভাগের সহপাঠীরা বলছেন সে আগেও এরকম আচরণ করেছেন।
কী বলেছিলো আলী হুসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থীর এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন এক নারী প্রার্থী। তারপরই ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।
নিজের ফেইসবুকে আলী হুসেন নামের ওই শিক্ষার্থী ওই রিটকারীর ছবি সংযুক্ত করে লিখেন, ‘হাইকোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে (রিটকারী) গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত!’ তিনি আরো লিখেন, ‘কেউ এইসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে উপরের কথাটা তার জন্য প্রযোজ্য!’
ওই শিক্ষার্থীর এমন শব্দচয়ন করে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ওই রাতে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী। প্রতিবাদ হয় তার হলেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ জানায় তার বিভাগের শিক্ষক, সহপাঠিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা।
আগেও আলী হুসেনের ‘একই আচরণ’!
আলী হুসেনের বিষয়ে জানতে সংবাদের প্রতিবেদক তার বিভাগের অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছে। তাদের মধ্যে একজন আবিদ শাহরিয়ার। তিনি ওই বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধি। তিনি বলেন, ‘তার এই মেন্টালিটি অনেক আগ থেকেই। বিভাগের কয়েকজন মেয়ের বিষয়েও সে ফেইসবুকে খারাপ মন্তব্য করেছিলো। সিম্পেথির জায়গা থেকে বা ক্ষমা চাওয়ার পরে আমরা আসলে তার বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন ব্যবস্থা নেইনি।’
‘কিন্তু গতকাল ঘটনা ঘটার পরে তাকে বিভাগ থেকে বয়কট এবং বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জমা দেই,’ বলেন শাহরিয়ার।
শাকিল আহমেদ নামের তার আরেক সহপাঠি বলেন, ‘সে সবসময় ফেসবুকে শিটপোস্টিং করে। আমরা সাধারণত তাকে ইগনোর করি। তার মজার কন্টেন্টগুলো একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে মাননসই নয়।’
রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে তার ফেইসবুকে বিভিন্ন সময় শিবির নিয়ে ইতিবাচক কথা লিখেছে। এর বাইরে তেমন কিছু জানা নেই।’
আলী হুসেন কি শিবিরের?
অন্তত দুটি ছাত্রসংগঠন আলী হুসেনের সাথে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছেন। এবারের ডাকসুতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ‘গণধর্ষণের হুমকিদাতা আলী হুসেনের আইডি দেখলাম, সেখানে তার ছাত্রশিবিরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেখানে তাকে শিবির না বলে অস্বীকার করলেও তো বোঝা যায়, সে শিবিরের কিনা।’ মঙ্গলবার মধুর ক্যান্টিনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওই শিক্ষার্থীকে শিবিরের নেতা অভিযোগ করে গতকাল সারাদেশে প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রদল। ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘পাঁচ আগস্ট পরবর্তি সময়ে আমাদের নারীদের চলাফেরার স্বাধীনতা, পোশাকের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা চরমভাবে হরণ করেছে একটি গুপ্ত সংগঠন। এই ক্যাম্পাসে নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা আজকে প্রথম নয়। গতকালকে আলী হুসেন নামের এক ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমাদের একজন সহপাঠিকে নিয়ে গণধর্ষণের পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে। আপনারা কি কল্পনা করতে পারেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী তার মেয়ে সহপাঠিকে গণধর্ষণের ঘোষণা দিচ্ছে প্রকাশ্যে এবং এখনও সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
‘আমি ঢাবি প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই আলী হোসেন নামের এই কুলাঙ্গারকে আপনারা গ্রেপ্তার করবেন এবং একাডেমিকভাবে তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন,’ বলেন আবিদ।
তবে আলী হুসেনের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রশিবির। সোমবার রাতে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এসে ঢাবি শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আজ ওই শিক্ষার্থীর (হুমকিাদাতা) ফিডব্যাক আসছে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তার মানে সে ছাত্রশিবিরের কেউ হওয়ার কথা না। যদি শিবিরের হতো, তাহলে কালকেই (রোববার) হুমকি দিত। এটুকু আইকিউ যদি অ্যাক্টিভিস্টদের না থাকে, তাহলে খুবই দুঃখজনক।’
বিচার দাবী, তদন্ত কমিটি
প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে দুটি তদন্ত কমিটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় তিন সদস্যের এবং ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন দুই সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে। গত সোমবার রাতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আর এই ঘটনায় দিনভরই বিক্ষোভ হয়েছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছে।
ছবি : সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টে এক রিটকে কেন্দ্র করে এক নারী প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি যে সিক্ষার্থী দিয়েছে তার নাম আলী হুসেন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। সিলেটে জেলায় জন্ম তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে যখন ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে সমালোচনা চলছিলো তখন একে একে সামনে আসতে শুরু করে তার বিভিন্ন কর্মকান্ড।
তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। অন্তত দুটি শিক্ষার্থী সংগঠন তাকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বলে অভিযোগ করেছে। আর তার বিভাগের সহপাঠীরা বলছেন সে আগেও এরকম আচরণ করেছেন।
কী বলেছিলো আলী হুসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থীর এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন এক নারী প্রার্থী। তারপরই ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।
নিজের ফেইসবুকে আলী হুসেন নামের ওই শিক্ষার্থী ওই রিটকারীর ছবি সংযুক্ত করে লিখেন, ‘হাইকোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে (রিটকারী) গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত!’ তিনি আরো লিখেন, ‘কেউ এইসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে উপরের কথাটা তার জন্য প্রযোজ্য!’
ওই শিক্ষার্থীর এমন শব্দচয়ন করে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ওই রাতে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী। প্রতিবাদ হয় তার হলেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ জানায় তার বিভাগের শিক্ষক, সহপাঠিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা।
আগেও আলী হুসেনের ‘একই আচরণ’!
আলী হুসেনের বিষয়ে জানতে সংবাদের প্রতিবেদক তার বিভাগের অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছে। তাদের মধ্যে একজন আবিদ শাহরিয়ার। তিনি ওই বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধি। তিনি বলেন, ‘তার এই মেন্টালিটি অনেক আগ থেকেই। বিভাগের কয়েকজন মেয়ের বিষয়েও সে ফেইসবুকে খারাপ মন্তব্য করেছিলো। সিম্পেথির জায়গা থেকে বা ক্ষমা চাওয়ার পরে আমরা আসলে তার বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন ব্যবস্থা নেইনি।’
‘কিন্তু গতকাল ঘটনা ঘটার পরে তাকে বিভাগ থেকে বয়কট এবং বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জমা দেই,’ বলেন শাহরিয়ার।
শাকিল আহমেদ নামের তার আরেক সহপাঠি বলেন, ‘সে সবসময় ফেসবুকে শিটপোস্টিং করে। আমরা সাধারণত তাকে ইগনোর করি। তার মজার কন্টেন্টগুলো একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে মাননসই নয়।’
রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে তার ফেইসবুকে বিভিন্ন সময় শিবির নিয়ে ইতিবাচক কথা লিখেছে। এর বাইরে তেমন কিছু জানা নেই।’
আলী হুসেন কি শিবিরের?
অন্তত দুটি ছাত্রসংগঠন আলী হুসেনের সাথে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছেন। এবারের ডাকসুতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ‘গণধর্ষণের হুমকিদাতা আলী হুসেনের আইডি দেখলাম, সেখানে তার ছাত্রশিবিরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেখানে তাকে শিবির না বলে অস্বীকার করলেও তো বোঝা যায়, সে শিবিরের কিনা।’ মঙ্গলবার মধুর ক্যান্টিনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওই শিক্ষার্থীকে শিবিরের নেতা অভিযোগ করে গতকাল সারাদেশে প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রদল। ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘পাঁচ আগস্ট পরবর্তি সময়ে আমাদের নারীদের চলাফেরার স্বাধীনতা, পোশাকের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা চরমভাবে হরণ করেছে একটি গুপ্ত সংগঠন। এই ক্যাম্পাসে নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা আজকে প্রথম নয়। গতকালকে আলী হুসেন নামের এক ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমাদের একজন সহপাঠিকে নিয়ে গণধর্ষণের পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে। আপনারা কি কল্পনা করতে পারেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী তার মেয়ে সহপাঠিকে গণধর্ষণের ঘোষণা দিচ্ছে প্রকাশ্যে এবং এখনও সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
‘আমি ঢাবি প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই আলী হোসেন নামের এই কুলাঙ্গারকে আপনারা গ্রেপ্তার করবেন এবং একাডেমিকভাবে তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন,’ বলেন আবিদ।
তবে আলী হুসেনের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রশিবির। সোমবার রাতে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এসে ঢাবি শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আজ ওই শিক্ষার্থীর (হুমকিাদাতা) ফিডব্যাক আসছে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তার মানে সে ছাত্রশিবিরের কেউ হওয়ার কথা না। যদি শিবিরের হতো, তাহলে কালকেই (রোববার) হুমকি দিত। এটুকু আইকিউ যদি অ্যাক্টিভিস্টদের না থাকে, তাহলে খুবই দুঃখজনক।’
বিচার দাবী, তদন্ত কমিটি
প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে দুটি তদন্ত কমিটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় তিন সদস্যের এবং ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন দুই সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে। গত সোমবার রাতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আর এই ঘটনায় দিনভরই বিক্ষোভ হয়েছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছে।