হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করার আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার আলোচনার পর তারা এ ঘোষণা দেন।
আলোচনায় অংশ নেন উপাচার্য অধ্যাপক একে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া (জুমে), ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হকসহ প্রশাসনের অন্য সদস্যরা। আলোচনার পর অধ্যাপক শহীদুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সিন্ডিকেট সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হবে। একইসঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের সমন্বিত ডিগ্রি বা কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তেই চূড়ান্ত হবে বলে জানানো হয়।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এএইচ এম হিমেল বলেন, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বুধবারের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আশ্বাস বাস্তবায়িত না হলে আবার কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর আগে বহিরাগতদের হামলার পর উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়া ও হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা দুই দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন এবং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ভবনে তালা দেন।
পটভূমিতে জানা যায়, রোববার একাডেমিক কাউন্সিলে সমন্বিত ডিগ্রি প্রসঙ্গে কোনো সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ ২০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে মিলনায়তনে অবরুদ্ধ করে। পরে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। ওইদিন রাতেই জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা সেই নির্দেশ মানেননি এবং আন্দোলন চালিয়ে যান।
অবশেষে আলোচনার মাধ্যমে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করার আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার আলোচনার পর তারা এ ঘোষণা দেন।
আলোচনায় অংশ নেন উপাচার্য অধ্যাপক একে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া (জুমে), ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হকসহ প্রশাসনের অন্য সদস্যরা। আলোচনার পর অধ্যাপক শহীদুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সিন্ডিকেট সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হবে। একইসঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের সমন্বিত ডিগ্রি বা কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তেই চূড়ান্ত হবে বলে জানানো হয়।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এএইচ এম হিমেল বলেন, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বুধবারের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আশ্বাস বাস্তবায়িত না হলে আবার কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর আগে বহিরাগতদের হামলার পর উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়া ও হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা দুই দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন এবং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ভবনে তালা দেন।
পটভূমিতে জানা যায়, রোববার একাডেমিক কাউন্সিলে সমন্বিত ডিগ্রি প্রসঙ্গে কোনো সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ ২০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে মিলনায়তনে অবরুদ্ধ করে। পরে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। ওইদিন রাতেই জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা সেই নির্দেশ মানেননি এবং আন্দোলন চালিয়ে যান।
অবশেষে আলোচনার মাধ্যমে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন শিক্ষার্থীরা।