alt

রমনা বটমূলে বোমা হামলা

২০ বছরেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলা

এখন সাক্ষ্য পর্যায়ে আছে : পিপি

আদালত বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২০ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ। ২০০১ সালে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এ ভয়াবহ বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলা নিষ্পত্তি হলেও বিষ্ফোরক আইনের মামলাটি ২০ বছরেও শেষ হয়নি। বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এই মামলায় ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। নানা কারণে মামলাটি সাক্ষ্য এখনো শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে তা এখনো অনিশ্চিত।

অন্যদিকে হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল আবেদন হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ মামলার আসামিদের একজন মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তিনজন কারাগারে রয়েছেন। ৪ জন পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া জানান, মামলাটি এখন সাক্ষ্য পর্যায়ে আছে। ৫৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু হেনা মো. ইউসুফের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি গত এক বছর ধরে অসুস্থ। এ কারণে তারিখ পেছানো হয়েছে। সাক্ষ্য শেষে আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ মামলার অনেক আসামি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, রমনা বটমূলে হত্যা মামলা, কোটালীপাড়া বোমা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। অনেকের অন্য মামলায় ইতোমধ্যে সাজা হয়ে গেছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, মামলাটি সাক্ষী পর্যায়ে আছে। কিন্তু সাক্ষী তো আদালতে হাজির হচ্ছে না। এ কারণে মামলাটি নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।

এদিকে রমনা বটমূলে বোমা হামলায় দায়ের করা দুটি পৃথক মামলার মধ্যে হত্যা মামলার রায় হয় প্রায় ১৩ বছর পর ২০১৪ সালের ২৩ জুন। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। মামলায় সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর হত্যা মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে আসামিদের পক্ষ থেকেও জেল আপিল হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করে মামলাটি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনারি অপেক্ষায় ছিল। ওই বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমান অন্য একটি বেঞ্চে কার্যতালিকায় আসে।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটিতে ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে পর্যন্ত মোট ৫৫ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে ২০১৪ সালের ২৩ জুন হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আবদুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা মো. তাজউদ্দিন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আবদুর রউফ ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল। তবে এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার পর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা চলমান থাকায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হলেও এখনো আনেকেই ফাঁসির রায় কার্যকর হয়নি। এছাড়া হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) এবং আপিলের শুনানি হাইকোর্টে থমকে থাকায় জন্য বিচার প্রার্থীদের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। হত্যা মামলায় রায়ের পর ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টে উঠে। এছাড়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০০৯ সালে অভিযোগ গঠনের পর প্রথম ৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হলেও এরপর বিচার কার্যক্রম গতি হারায় সাক্ষী না আসায়। ২০১৫ সালের ২২ মার্চ থেকে সাক্ষীদের প্রতি সমনের পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করা হচ্ছে। গত দুই বছরে মাত্র ২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এ মামলায়। এ মামলার ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারধীন রয়েছে।

ছবি

পণ্য পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ, বেনাপোলের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি

মালিবাগে বোরকা পরে জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

ছবি

‘দুর্নীতি’: বেনাপোল কাস্টমসের সেই কর্মকর্তা বরখাস্ত

‘অবৈধ’ সম্পদ: সাবের চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার মামলা

ছবি

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

স্ত্রীকে হত্যা: লাশ ডিপ ফ্রিজে, স্বামী গ্রেপ্তার

ছবি

বাগেরহাটে একদিনের ব্যবধানে যুবদল নেতাসহ দুই খুন, রাজমিস্ত্রির মৃতদেহ উদ্ধার

সখীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা পলাতক

ছবি

মেঘনা ও পদ্মায় বিশেষ অভিযানে ৪৫ জেলে আটক

ছবি

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা,পুলিশ বলছে কিছু জানেনা

ছবি

দুর্নীতির মামলায় আসাদুজ্জামান নূরের জামিন নাকচ

ছবি

গোমতী সেতুর টোলের কার্যাদেশে ‘অনিয়ম’: হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

ছবি

হিরো আলম হত্যাচেষ্টা মামলা: ম্যাক্স অভির জামিন আবেদন নাকচ

ছবি

ছাত্রীনিবাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে আটকে মারধরের ঘটনায় পরিচালক রাজিয়া বেগমের জামিন

ছবি

মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় মদসহ ১১ বাংলাদেশি আটক

ছবি

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে মাছের ঘের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট, প্রতিকার দাবী

সিলেটে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ছবি

পীরগাছায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি,বেড়েছে চুরি

ছবি

যশোরে মাদক সিন্ডিকেটের হামলায় যুবক খুন, আহত ৬

ছবি

সাবেক অতিরিক্ত সচিব হারুনের ফ্ল্যাট ও জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

চাঁদাবাজির মামলায় ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার আট বছরের কারাদণ্ড

ছবি

পলাশে প্রবাসীর বাড়িতে চুরি মালামালসহ ২ চোর গ্রেপ্তার

ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, শ্যালিকা গ্রেপ্তার

ছবি

মালিবাগে বোরকা পরে জুয়েলারি দোকান থেকে ‘৫০০ ভরি’ স্বর্ণালংকার চুরি

ছবি

ফরিদপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

ঝিনাইদহে ভাড়া নিয়ে তর্ক, পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখম

ছবি

ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

রূপগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক গ্রেপ্তার

ছবি

ঢাবি ছাত্রীকে ‘আটকে রেখে মারধর’

ছবি

পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার ১৪ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

রামপুরা হত্যাকাণ্ডে বি‌জি‌বি ও পুলি‌শের চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

নড়াইলে ভ্যানচালক হত্যায় গ্রেপ্তার ২

ছবি

পাথরঘাটায় স্ত্রী হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

গৌরনদীতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

ছবি

গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

tab

রমনা বটমূলে বোমা হামলা

২০ বছরেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলা

এখন সাক্ষ্য পর্যায়ে আছে : পিপি

আদালত বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২০ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ। ২০০১ সালে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এ ভয়াবহ বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলা নিষ্পত্তি হলেও বিষ্ফোরক আইনের মামলাটি ২০ বছরেও শেষ হয়নি। বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এই মামলায় ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। নানা কারণে মামলাটি সাক্ষ্য এখনো শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে তা এখনো অনিশ্চিত।

অন্যদিকে হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল আবেদন হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ মামলার আসামিদের একজন মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তিনজন কারাগারে রয়েছেন। ৪ জন পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া জানান, মামলাটি এখন সাক্ষ্য পর্যায়ে আছে। ৫৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু হেনা মো. ইউসুফের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি গত এক বছর ধরে অসুস্থ। এ কারণে তারিখ পেছানো হয়েছে। সাক্ষ্য শেষে আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ মামলার অনেক আসামি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, রমনা বটমূলে হত্যা মামলা, কোটালীপাড়া বোমা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। অনেকের অন্য মামলায় ইতোমধ্যে সাজা হয়ে গেছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, মামলাটি সাক্ষী পর্যায়ে আছে। কিন্তু সাক্ষী তো আদালতে হাজির হচ্ছে না। এ কারণে মামলাটি নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।

এদিকে রমনা বটমূলে বোমা হামলায় দায়ের করা দুটি পৃথক মামলার মধ্যে হত্যা মামলার রায় হয় প্রায় ১৩ বছর পর ২০১৪ সালের ২৩ জুন। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। মামলায় সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর হত্যা মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে আসামিদের পক্ষ থেকেও জেল আপিল হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করে মামলাটি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনারি অপেক্ষায় ছিল। ওই বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমান অন্য একটি বেঞ্চে কার্যতালিকায় আসে।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটিতে ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে পর্যন্ত মোট ৫৫ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে ২০১৪ সালের ২৩ জুন হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আবদুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা মো. তাজউদ্দিন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আবদুর রউফ ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল। তবে এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার পর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা চলমান থাকায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হলেও এখনো আনেকেই ফাঁসির রায় কার্যকর হয়নি। এছাড়া হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) এবং আপিলের শুনানি হাইকোর্টে থমকে থাকায় জন্য বিচার প্রার্থীদের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। হত্যা মামলায় রায়ের পর ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টে উঠে। এছাড়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০০৯ সালে অভিযোগ গঠনের পর প্রথম ৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হলেও এরপর বিচার কার্যক্রম গতি হারায় সাক্ষী না আসায়। ২০১৫ সালের ২২ মার্চ থেকে সাক্ষীদের প্রতি সমনের পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করা হচ্ছে। গত দুই বছরে মাত্র ২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এ মামলায়। এ মামলার ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারধীন রয়েছে।

back to top