alt

২২ বছর সাজা খেটে বেরিয়েই ফের হত্যাচেষ্টা

সাইফ বাবলু : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

একটি হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন ২২ বছর। সাজা খেটে বেরিয়ে ফের অস্ত্র মামলায় ১ বছর। দুবার জেলে গেলেও তার অপরাধী মনোভাব বদলায়নি একটুও। কারাগার থেকে বের হয়ে ফের সন্ত্রাসী ও চুক্তিতে মানুষ হত্যায় সক্রিয় হয়ে উঠে। এ জন্য গড়ে তোলে নিজস্ব অস্ত্রধারী বাহিনীও। গোটা হাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দারা তার ভয়ে আতঙ্কিত। এ ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন। ভাড়ায় মানুষ হত্যা, জমি দখলসহ এমন কোন অপরাধ নেই যেখানে সে সম্পৃক্ত না।

সম্প্রতি হত্যাচেষ্টা মামলায় ফের রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তারের পর নানা অপরাধের তথ্য খুঁজে পায় ঢাকা মহানগর অপরাধ তথ্য ও গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি। বর্তমানে হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র মামলায় রফিকুল এবং আরমানসহ তার ৫ সহযোগী জেলে। তবে তার অন্য সাঙ্গপাঙ্গ এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এলাকাবাসী বলছে, রফিকুলের সহযোগিরা এখন এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ সংবাদকে জানান, হাজারীবাগের শিকারীটোলার ৮৯ গজমহলের বাসিন্দা মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে মামুনকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। গত ৪ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুলিতে আহত হয় মামুন মিয়া। এ ঘটনায় ৫ জুন হাজারীবাগ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে মামুনের বড় ভাই সুমন মিয়া। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবির মিরপুর জোনাল টিম।

ডিবির তদন্তে বেরিয়ে আসে মামুনকে হত্যাচেষ্টায় গুলি করে রফিক। সে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি জানতে পারে সন্ত্রাসী রফিককে ভাড়া করা হয়েছিল মামুন ও তার ভাইদের গুলি করার জন্য। ভাড়া করা ব্যক্তির নাম মো. আবুল হাসেম। যিনি মামুনের এক চাচার কাছ থেকে কিছু জমি কিনেছিলেন। ওই জমির রাস্তার জন্য ২ ফুট জায়গা নিয়ে আবুল হাসেমের বিরোধ হয় মামুন ও তার ভাইদের সঙ্গে। রাস্তার জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন আবুল হাসেম। বাধা দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। তখন মামুন ও সুমনের পরিবারকে শায়েস্তা করার জন্য সন্ত্রাসী রফিককে ভাড়া করেন আবুল হাসেম ১০ হাজার টাকায়।

ডিবি জানিয়েছে, গত ২৩ জুন ডিবি রফিকুল ইসলাম এবং তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে। এ অভিযানে রফিকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে। মামুনকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত হিসেবে মহসিন, রাশেল, নাছির, জসিম, শরীফসহ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক ও আরমান ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

ঘটনার নেপথ্যে বিশ্লেষণ করে ডিবি জানতে পারে, ১৯৯৬ সালে এক রাজনৈতিক মিছিলে সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন রফিক। ওই হামলায় সনু নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তখন রফিককে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে ওই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে রফিকের সাজা হয়। টানা ২২ বছর জেলে কাটে রফিকের। ২০১৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। জেল থেকে বের হয়ে ফের এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালে ফের গ্রেপ্তার হন রফিক। ১ বছর জেলে থাকার পর জামিনে বের হন সম্প্রতি। জামিনে বের হওয়ার ৩ মাস পরই সে সুমনকে হত্যার উদ্দ্যেশে গুলি চালান।

ডিবি জানিয়েছে, রফিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্ত্র কিনেছিলেন। অস্ত্র কিনে রাশেল নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তার দলে রয়েছে বাবুল, কুট্টু, শরীফ, আরমান, বাছির, জসিম, আবদুস ছালামসহ ১০ থেকে ১৫ জনের অস্ত্রধারী বাহিনী। কোন জায়গায় গুলি চালাতে হবে, কাউকে হত্যা করতে হবে বা কাউকে গুলি করে আহত করতে হবে, জমি দখল করতে হবে, কাউকে শায়েস্তা করতে হবে সব কাজেই ছিল রফিকের ডাক। কাজের ধরন বুঝে টাকা নিতেন রফিক।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২২ বছর জেলে থাকার পর ২০১৭ সালে জেল থেকে বের হয়েই বিয়ে করে রফিক। ২ সন্তানও আছে। দুজনই মেয়ে। এলাকার একটি ভাড়া বাসায় রফিকের পরিবার থাকতো। ২ সন্তান ও স্ত্রী ছাড়া আর কোন স্বজন নেই রফিকের। সন্ত্রাসী কার্যক্রমই তার আয়ের একমাত্র উৎস। এলাকাবাসী তার বিষয়ে জানলেও ভয়ে কথা বলতো না।

হাজারীবাগ থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, হত্যা চেষ্টা মামলাটি হাজারীবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

রফিকসহ ৪ জন গ্রেপ্তার হওয়ার পর অন্যরা গাঢাকা দিয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ছবি

পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী অভিযানে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি

পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলা: আনিসুলকে দেখানো হলো গ্রেপ্তার, পাভেল রিমান্ডে

ছবি

দুর্নীতির মামলায় মোরশেদ আলমের জামিন নাকচ

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট’ প্রমাণ পাওয়া গেছে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস, ফরিদপুরের ভাঙ্গা রণক্ষেত্র

ছবি

চকরিয়ায় থানা হাজতে দুজর্য়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

ছবি

বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতচক্রের তিনসদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

সাদা পাথর লুট: সাহাব উদ্দিন গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত বললো ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে

ছবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ৫ গুণ বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ, ১৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ভোলায় মুভি দেখে বাবা খুন করল ছেলে

ছবি

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইয়ার্ডে বাংলাদেশী দুই টাকার নতুন নোট জব্দ

ছবি

বনানীতে চুরি হওয়া ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ছবি

প্রতারণার নতুন ফাঁদ: ফেইসবুকে ‘টু-লেট’ বিজ্ঞাপন, বাসা নিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রকে হেনস্থা

ছবি

স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ১

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘ব্লগারকে’ কুপিয়ে বাইক ও ফোন ছিনতাই

ছবি

টঙ্গীতে দুপুরে ‘চোর সন্দেহে’ যুবক আটক, রাতে মৃত্যু

ছবি

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি’, তিনজন কারাগারে

ছবি

একদিনে সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮০৯

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, তিনজন কারাগারে

ছবি

‘সন্দেহজনক’ লেনদেন, সাবেক এমপি দিদার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ: ২ যুবকের যাবজ্জীবন, শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: ২ জনের সাক্ষ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা

ছবি

ফ্ল্যাট বরাদ্দে ‘অনিয়ম’: সচিব পদমর্যাদার সাবেক ১২ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ছবি

‘অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতি’ বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: ভারতে থাকা হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ, স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত সেই ঠিকাদার মিঠু গ্রেপ্তার

ছবি

ইমুতে প্রেম ভৈরবে এনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ছবি

স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত ঠিকাদার মিঠু গ্রেপ্তার

ছবি

রাজধানীতে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত

ছবি

টাকা না থাকা তো কোনো অপরাধ নয়: সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল

ছবি

অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রকে উদ্ধার

ছবি

বিআইএর সহ-সভাপতি সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আসামির পালানোর চেষ্টা

ছবি

সাবেক সচিব ভুঁইয়া শফিকুল ইসলাম কারাগারে

tab

news » crime-corruption

২২ বছর সাজা খেটে বেরিয়েই ফের হত্যাচেষ্টা

সাইফ বাবলু

মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

একটি হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন ২২ বছর। সাজা খেটে বেরিয়ে ফের অস্ত্র মামলায় ১ বছর। দুবার জেলে গেলেও তার অপরাধী মনোভাব বদলায়নি একটুও। কারাগার থেকে বের হয়ে ফের সন্ত্রাসী ও চুক্তিতে মানুষ হত্যায় সক্রিয় হয়ে উঠে। এ জন্য গড়ে তোলে নিজস্ব অস্ত্রধারী বাহিনীও। গোটা হাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দারা তার ভয়ে আতঙ্কিত। এ ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন। ভাড়ায় মানুষ হত্যা, জমি দখলসহ এমন কোন অপরাধ নেই যেখানে সে সম্পৃক্ত না।

সম্প্রতি হত্যাচেষ্টা মামলায় ফের রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তারের পর নানা অপরাধের তথ্য খুঁজে পায় ঢাকা মহানগর অপরাধ তথ্য ও গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি। বর্তমানে হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র মামলায় রফিকুল এবং আরমানসহ তার ৫ সহযোগী জেলে। তবে তার অন্য সাঙ্গপাঙ্গ এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এলাকাবাসী বলছে, রফিকুলের সহযোগিরা এখন এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ সংবাদকে জানান, হাজারীবাগের শিকারীটোলার ৮৯ গজমহলের বাসিন্দা মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে মামুনকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। গত ৪ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুলিতে আহত হয় মামুন মিয়া। এ ঘটনায় ৫ জুন হাজারীবাগ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে মামুনের বড় ভাই সুমন মিয়া। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবির মিরপুর জোনাল টিম।

ডিবির তদন্তে বেরিয়ে আসে মামুনকে হত্যাচেষ্টায় গুলি করে রফিক। সে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি জানতে পারে সন্ত্রাসী রফিককে ভাড়া করা হয়েছিল মামুন ও তার ভাইদের গুলি করার জন্য। ভাড়া করা ব্যক্তির নাম মো. আবুল হাসেম। যিনি মামুনের এক চাচার কাছ থেকে কিছু জমি কিনেছিলেন। ওই জমির রাস্তার জন্য ২ ফুট জায়গা নিয়ে আবুল হাসেমের বিরোধ হয় মামুন ও তার ভাইদের সঙ্গে। রাস্তার জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন আবুল হাসেম। বাধা দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। তখন মামুন ও সুমনের পরিবারকে শায়েস্তা করার জন্য সন্ত্রাসী রফিককে ভাড়া করেন আবুল হাসেম ১০ হাজার টাকায়।

ডিবি জানিয়েছে, গত ২৩ জুন ডিবি রফিকুল ইসলাম এবং তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে। এ অভিযানে রফিকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে। মামুনকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত হিসেবে মহসিন, রাশেল, নাছির, জসিম, শরীফসহ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক ও আরমান ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

ঘটনার নেপথ্যে বিশ্লেষণ করে ডিবি জানতে পারে, ১৯৯৬ সালে এক রাজনৈতিক মিছিলে সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন রফিক। ওই হামলায় সনু নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তখন রফিককে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে ওই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে রফিকের সাজা হয়। টানা ২২ বছর জেলে কাটে রফিকের। ২০১৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। জেল থেকে বের হয়ে ফের এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালে ফের গ্রেপ্তার হন রফিক। ১ বছর জেলে থাকার পর জামিনে বের হন সম্প্রতি। জামিনে বের হওয়ার ৩ মাস পরই সে সুমনকে হত্যার উদ্দ্যেশে গুলি চালান।

ডিবি জানিয়েছে, রফিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্ত্র কিনেছিলেন। অস্ত্র কিনে রাশেল নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তার দলে রয়েছে বাবুল, কুট্টু, শরীফ, আরমান, বাছির, জসিম, আবদুস ছালামসহ ১০ থেকে ১৫ জনের অস্ত্রধারী বাহিনী। কোন জায়গায় গুলি চালাতে হবে, কাউকে হত্যা করতে হবে বা কাউকে গুলি করে আহত করতে হবে, জমি দখল করতে হবে, কাউকে শায়েস্তা করতে হবে সব কাজেই ছিল রফিকের ডাক। কাজের ধরন বুঝে টাকা নিতেন রফিক।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২২ বছর জেলে থাকার পর ২০১৭ সালে জেল থেকে বের হয়েই বিয়ে করে রফিক। ২ সন্তানও আছে। দুজনই মেয়ে। এলাকার একটি ভাড়া বাসায় রফিকের পরিবার থাকতো। ২ সন্তান ও স্ত্রী ছাড়া আর কোন স্বজন নেই রফিকের। সন্ত্রাসী কার্যক্রমই তার আয়ের একমাত্র উৎস। এলাকাবাসী তার বিষয়ে জানলেও ভয়ে কথা বলতো না।

হাজারীবাগ থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, হত্যা চেষ্টা মামলাটি হাজারীবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

রফিকসহ ৪ জন গ্রেপ্তার হওয়ার পর অন্যরা গাঢাকা দিয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

back to top