কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা ডাকাতদল হাসেম বাহিনীর প্রধান নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও গুলি। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ জানান, শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোহাম্মদ হাসিমুল্লাহ (৩০) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আবুল বশরের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, হাসিমুল্লাহ একজন পেশাদার ডাকাত। সে নিজের নামে একটি ডাকাতদল গড়ে তোলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ডাকাতি, অপহরণ ও হত্যাসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া পাহাড়ী এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী অবস্থান করছে এ খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থল পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা অতর্কিত র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্য দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে পাওয়া যায় ১ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি দেশিয় তৈরী লম্বা বন্দুক, ৮ টি গুলি ও ১ টি পিস্তলের ম্যাগজিন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, হাসিমুল্লাহ’র নেতৃত্বে একটি ডাকাতদল জাদিমুরাসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতি, অপহরণ, মাদকপাচার ও হত্যাসহ নানা অপরাধ সংঘটন করে আসছিল। এসব অভিযোগে টেকনাফ থানায় তার বিরুদ্ধে ৫টির অধিক মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা ডাকাতদল হাসেম বাহিনীর প্রধান নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও গুলি। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ জানান, শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোহাম্মদ হাসিমুল্লাহ (৩০) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আবুল বশরের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, হাসিমুল্লাহ একজন পেশাদার ডাকাত। সে নিজের নামে একটি ডাকাতদল গড়ে তোলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ডাকাতি, অপহরণ ও হত্যাসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া পাহাড়ী এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী অবস্থান করছে এ খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থল পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা অতর্কিত র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্য দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে পাওয়া যায় ১ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি দেশিয় তৈরী লম্বা বন্দুক, ৮ টি গুলি ও ১ টি পিস্তলের ম্যাগজিন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, হাসিমুল্লাহ’র নেতৃত্বে একটি ডাকাতদল জাদিমুরাসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতি, অপহরণ, মাদকপাচার ও হত্যাসহ নানা অপরাধ সংঘটন করে আসছিল। এসব অভিযোগে টেকনাফ থানায় তার বিরুদ্ধে ৫টির অধিক মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।