সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারমান এসএম আমজাদ হোসেনের দেশ-বিদেশে শত কোটি টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে একাধিক বাড়ি। সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
দুদক বলছে, ঋণ জালিয়াতি, দেশের বাইরে অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। এর আগেও তাকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ঋণ জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার এবং সম্পদ গড়ার বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, অনুসন্ধান করে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ওই ব্যাংক থেকে ৪০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত করার প্রমাণ পেলেও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমাণ জোগাড় করতে কাজ করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে সাবেক এ চেয়ারম্যানের দেশের বাইরে একাধিক বাড়ি ও সম্পদ রয়েছে।
এদিকে এই জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৯ জনকে রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন টিম।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, এসএম আমজাদ হোসেনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনার অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এমডিসহ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা শাখার (বিএফআইইউ) কাছ থেকে তথ্য পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রয়োজন হলে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকেও ডাকা হবে।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- ব্যাংকটির সাবেক এমডি মো. রফিকুল ইসলাম, এমটিও তপু কুমার সাহা, সিনিয়র অফিসার বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল, এফএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মোহা. মঞ্জুরুল আলম, ভিপি ও শাখা প্রধান এসএম ইকবাল মেহেদী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার খালেদ মোশাররফ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউল লতিফ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেডিডেন্ট মো. মামুনুর রশীদ মোল্লা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট টিমের সদস্যরা জানিয়েছেন, রবিবার জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক এমডি বলেছেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই তারা ঋণ মঞ্জুর করেছেন। যেহেতু ঋণটি চেয়ারম্যানের নির্দেশে হয়েছে তাই ঋণের ক্ষেতে তারা সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী করেননি। এটি তাদের ভুল ছিল। অন্যরা বলেছেন, তারা এমডির নির্দেশে কাজ করেছেন। তাদের কিছুই করার ছিল না।
সূত্র জানিয়েছে, এমডিকে এর আগে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে পুনরায় ডাকা হবে। তবে চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনই তাকে ডাকা হচ্ছে না। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ দেশের বাইরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। আমেরিকায় তার ৫টি বাড়ি রয়েছে। এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দুদক।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এ চেয়ারম্যানের নিজের কোন সন্তান নেই। ভাইয়ের মেয়েকে নিজের মেয়ে হিসেবে লালন পালন করেছেন। স্ত্রীকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের পরিচালক বানিয়েছেন। ব্যাংকটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে সাবেক এ চেয়ারম্যান।
সূত্র জানিয়েছে খুলনা অঞ্চলের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান লকপুর গ্রুপের মালিক এসএম আমজাদ হোসেন। তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে লকপুর ফিশ প্রসেস কোম্পানি লিমিটেড, বাগেরহাট সিফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, শম্পা আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড, রুপসা ফিশ অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, মুন স্টার ফিশ লিমিটেড, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, খুলনা এগ্রো এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড, ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেড, মেট্রো অটো ব্রিকস লিমিটেড, খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেডসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ শিল্প গ্রুপটির।
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারমান এসএম আমজাদ হোসেনের দেশ-বিদেশে শত কোটি টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে একাধিক বাড়ি। সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
দুদক বলছে, ঋণ জালিয়াতি, দেশের বাইরে অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। এর আগেও তাকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ঋণ জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার এবং সম্পদ গড়ার বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, অনুসন্ধান করে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ওই ব্যাংক থেকে ৪০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত করার প্রমাণ পেলেও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমাণ জোগাড় করতে কাজ করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে সাবেক এ চেয়ারম্যানের দেশের বাইরে একাধিক বাড়ি ও সম্পদ রয়েছে।
এদিকে এই জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৯ জনকে রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন টিম।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, এসএম আমজাদ হোসেনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনার অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এমডিসহ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা শাখার (বিএফআইইউ) কাছ থেকে তথ্য পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রয়োজন হলে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকেও ডাকা হবে।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- ব্যাংকটির সাবেক এমডি মো. রফিকুল ইসলাম, এমটিও তপু কুমার সাহা, সিনিয়র অফিসার বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল, এফএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মোহা. মঞ্জুরুল আলম, ভিপি ও শাখা প্রধান এসএম ইকবাল মেহেদী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার খালেদ মোশাররফ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউল লতিফ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেডিডেন্ট মো. মামুনুর রশীদ মোল্লা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট টিমের সদস্যরা জানিয়েছেন, রবিবার জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক এমডি বলেছেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই তারা ঋণ মঞ্জুর করেছেন। যেহেতু ঋণটি চেয়ারম্যানের নির্দেশে হয়েছে তাই ঋণের ক্ষেতে তারা সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী করেননি। এটি তাদের ভুল ছিল। অন্যরা বলেছেন, তারা এমডির নির্দেশে কাজ করেছেন। তাদের কিছুই করার ছিল না।
সূত্র জানিয়েছে, এমডিকে এর আগে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে পুনরায় ডাকা হবে। তবে চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনই তাকে ডাকা হচ্ছে না। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ দেশের বাইরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। আমেরিকায় তার ৫টি বাড়ি রয়েছে। এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দুদক।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এ চেয়ারম্যানের নিজের কোন সন্তান নেই। ভাইয়ের মেয়েকে নিজের মেয়ে হিসেবে লালন পালন করেছেন। স্ত্রীকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের পরিচালক বানিয়েছেন। ব্যাংকটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে সাবেক এ চেয়ারম্যান।
সূত্র জানিয়েছে খুলনা অঞ্চলের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান লকপুর গ্রুপের মালিক এসএম আমজাদ হোসেন। তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে লকপুর ফিশ প্রসেস কোম্পানি লিমিটেড, বাগেরহাট সিফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, শম্পা আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড, রুপসা ফিশ অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, মুন স্টার ফিশ লিমিটেড, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, খুলনা এগ্রো এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড, ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেড, মেট্রো অটো ব্রিকস লিমিটেড, খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেডসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ শিল্প গ্রুপটির।