alt

শুধু টিউশন ফি নিতে পারবে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিতে পারবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। তবে পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন বা উন্নয়ন ফিয়ের মতো অনুষঙ্গিক ফি আদায় করতে পারবে না। মাউশি ফি নিয়ে নানা অভিযোগের মধ্যে বুধবার (১৮ নভেম্বর) এ আদেশ জারি করেছে।

এদিকে করোনাকালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফ করাসহ চার দফা দাবি তুলেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন থাকা অভিভাবকদের ছাড় দিয়ে স্কুল-কলেজগুলোকে তাদের শিক্ষার্থীদের শুধুই টিউশন ফি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মাউশির আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোন ফি নেয়া যাবে না। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রতিষ্ঠান এসব ফি আদায় করে থাকলে তা ফেরত দেবে বা টিউশন ফিয়ের সঙ্গে তা সমন্বয় করবে।

অন্যদিকে কোন অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে থাকলে তার সন্তানের টিউশন ফিয়ের বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবে। কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে যত্নশীল হতে বলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

মাউশি’র নির্দেশনা আরও বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর থেকে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ক্লাসের পাশাপাশি বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা ভালোভাবে করতে পারেনি। একইভাবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এসব অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পেরেছে, কিছু শিক্ষার্থী পারেনি। সার্বিক বিবেচনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ করে উদ্ভূত এ পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার।

যদিও শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবকদের মতদ্বৈততা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অভিভাবকরা বলছেন, একদিকে স্কুল বন্ধ ছিল আর অন্যদিকে এ করোনার সময়ে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ কারণে তাদের পক্ষে টিউশন ফি দেয়া সম্ভব নয়। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও স্কুল রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রতি মাসে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতেই হয়।

মাউশি বলেছে, ‘আমাদের যেমন অভিভাবকদের অসুবিধার কথা ভাবতে হবে, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে না যায় কিংবা বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন যেন সংকটে পতিত না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। পূর্বাপর বিষয়গুলো বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিওভুক্ত ও এমপিও বিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নেবে। এছাড়া অন্য কোন ফি যদি অব্যাহিত থাকে তা একইভাবে ফেরত দেবে বা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে। তবে যদি কোন অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে থাকেন, তাহলে ওই শিক্ষার্থীর টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবেন।’

বেতন মওকুফ করাসহ চার দফা দাবি :

করোনাকালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফ করাসহ চার দফা দাবি তুলেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। চার দফা দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনটির নেতারা। সংগঠনটির আহ্বায়ক এপিএম সুহেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইসমাইল স¤্রাটের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, মুজাম্মেল মিয়াজীসহ অন্যরা ছিলেন। এছাড়া পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সমন্বয়ক একেএম রাজন হোসাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম খান নিলয়, সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়াতুল্লাহ বেহেশতি, ভুক্তভোগী অভিভাবক মাসুম বিল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষার্থী পৃথু হামিদ ও রিয়াদ হোসেন বক্তব্য রাখেন। চার দফা দাবির মধ্যে আছে-করোনাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বা বেতন অর্ধেক মওকুফ করা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট একটিভিটি ফি (ল্যাব ফি, লাইব্রেরি ফি, ট্রান্সপোর্ট ফি, ক্লাব ফি ইত্যাদি) মওকুফ করা।

সভাপতির বক্তব্যে এপিএম সুহেল সম্প্রতি ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন ভাতা মওকুফের দাবিতে আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কারের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানান। তিনি বলেন, করোনাকালে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অপারগদের জন্য বিকল্প যৌক্তিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এই সময়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ইন্টারনেট (ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ডেটা) ব্যবহারে মূল্যহ্রাস বা বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করতে হবে।

আজ থেকে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ‘হাতাহাতি’: সরকারি কলেজগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

ছবি

এমআইএসটির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

ছবি

এইচএসসির ফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে

দুর্গাপূজার ছুটি শেষে খুলেছে স্কুল, রোববার থেকে কলেজ

ছবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২-৩ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

১২ ডিসেম্বর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

ছবি

শিক্ষক দিবসে নারায়ণগঞ্জে ৫ শিক্ষককে সন্মাননা দেয়া হয়েছে

ছবি

এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়লো ৫০০ টাকা, প্রত্যাখান

ছবি

ইউজিসি সদস্য হলেন চাবিপ্রবি উপাচার্য

ছবি

শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের হার্টে অস্ত্রোপচার

ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান-সহকারী প্রধান নিয়োগেও নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সরকার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যেই

ছবি

স্বাতন্ত্র্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ‘অক্সফোর্ড মডেলে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাত কলেজের শিক্ষকদের

ছবি

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর

ছবি

জরিপ: পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের, ভোট দিতে চান ৯৪ শতাংশ

ছবি

এসএসসি পরীক্ষায় ১৪০টি ভেন্যু কেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল করছে যশোর বোর্ড

ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়!

ছবি

ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি: কাউন্সিল নিয়ে কর্তৃত্বের ‘দ্বন্দ্ব’

ছবি

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রক্সি দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

৪৭তম বিসিএস: পৌনে চার লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রিলিমিনারি সম্পন্ন

ছবি

ঢাকার ৭ সরকারি কলেজ: উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষা সংকোচন, কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বিলুপ্তির চেষ্টার অভিযোগ

ছবি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ দিনের লম্বা ছুটিতে স্কুল-কলেজ

ছবি

তৃতীয় আবেদনেও কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ২৯৫ জনসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই: প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

ছবি

ঢাকা কলেজ অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত

ছবি

এসএসসি ২০২৬: নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত, অনিয়মিতদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস

ছবি

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু

ছবি

এসএসসি খাতা মূল্যায়নে অবহেলা, কালো তালিকায় ৭১ শিক্ষক

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেল সাত কলেজ

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী তৈরি করছে: উপাচার্য

ছবি

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: ১৫ দিন পর মাইলস্টোন কলেজে লেখাপড়া শুরু

ছবি

পরীক্ষার্থীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ

tab

শুধু টিউশন ফি নিতে পারবে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিতে পারবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। তবে পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন বা উন্নয়ন ফিয়ের মতো অনুষঙ্গিক ফি আদায় করতে পারবে না। মাউশি ফি নিয়ে নানা অভিযোগের মধ্যে বুধবার (১৮ নভেম্বর) এ আদেশ জারি করেছে।

এদিকে করোনাকালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফ করাসহ চার দফা দাবি তুলেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন থাকা অভিভাবকদের ছাড় দিয়ে স্কুল-কলেজগুলোকে তাদের শিক্ষার্থীদের শুধুই টিউশন ফি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মাউশির আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোন ফি নেয়া যাবে না। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রতিষ্ঠান এসব ফি আদায় করে থাকলে তা ফেরত দেবে বা টিউশন ফিয়ের সঙ্গে তা সমন্বয় করবে।

অন্যদিকে কোন অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে থাকলে তার সন্তানের টিউশন ফিয়ের বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবে। কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে যত্নশীল হতে বলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

মাউশি’র নির্দেশনা আরও বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর থেকে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ক্লাসের পাশাপাশি বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা ভালোভাবে করতে পারেনি। একইভাবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এসব অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পেরেছে, কিছু শিক্ষার্থী পারেনি। সার্বিক বিবেচনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ করে উদ্ভূত এ পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার।

যদিও শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবকদের মতদ্বৈততা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অভিভাবকরা বলছেন, একদিকে স্কুল বন্ধ ছিল আর অন্যদিকে এ করোনার সময়ে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ কারণে তাদের পক্ষে টিউশন ফি দেয়া সম্ভব নয়। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও স্কুল রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রতি মাসে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতেই হয়।

মাউশি বলেছে, ‘আমাদের যেমন অভিভাবকদের অসুবিধার কথা ভাবতে হবে, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে না যায় কিংবা বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন যেন সংকটে পতিত না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। পূর্বাপর বিষয়গুলো বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিওভুক্ত ও এমপিও বিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নেবে। এছাড়া অন্য কোন ফি যদি অব্যাহিত থাকে তা একইভাবে ফেরত দেবে বা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে। তবে যদি কোন অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে থাকেন, তাহলে ওই শিক্ষার্থীর টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবেন।’

বেতন মওকুফ করাসহ চার দফা দাবি :

করোনাকালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফ করাসহ চার দফা দাবি তুলেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। চার দফা দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনটির নেতারা। সংগঠনটির আহ্বায়ক এপিএম সুহেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইসমাইল স¤্রাটের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, মুজাম্মেল মিয়াজীসহ অন্যরা ছিলেন। এছাড়া পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সমন্বয়ক একেএম রাজন হোসাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম খান নিলয়, সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়াতুল্লাহ বেহেশতি, ভুক্তভোগী অভিভাবক মাসুম বিল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষার্থী পৃথু হামিদ ও রিয়াদ হোসেন বক্তব্য রাখেন। চার দফা দাবির মধ্যে আছে-করোনাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বা বেতন অর্ধেক মওকুফ করা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট একটিভিটি ফি (ল্যাব ফি, লাইব্রেরি ফি, ট্রান্সপোর্ট ফি, ক্লাব ফি ইত্যাদি) মওকুফ করা।

সভাপতির বক্তব্যে এপিএম সুহেল সম্প্রতি ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন ভাতা মওকুফের দাবিতে আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কারের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানান। তিনি বলেন, করোনাকালে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অপারগদের জন্য বিকল্প যৌক্তিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এই সময়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ইন্টারনেট (ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ডেটা) ব্যবহারে মূল্যহ্রাস বা বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top