সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না- এমন অভিযোগকে হাস্যকর। আওয়ামী লীগ তো সারাজীবন আন্দোলন করেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। কারা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে? জনবিচ্ছিন্নদের আন্দোলন নিয়ে আমরা ভয় পাব, তা হাস্যকর।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বুধবার জাতীয় সংসদে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিলের বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের প্রায়ই প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু আমাদের এখান থেকে পাস করে দেশে ও বিদেশে যে সাফল্য আমরা দেখি, তাতে শিক্ষার মান তলিয়ে গেছে- কথাটি বলার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানসম্পন্ন নন এ কথাগুলোও আসে না।
তিনি বলেন, ভিসি নিয়োগ দেওয়ার সময় অনেকগুলো বিষয় সামনে আনা হয়। তার একাডেমিক এক্সিলেন্স, প্রশাসনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী দেখা হয়। সবকিছু দেখে আমরা প্যানেল নির্ধারণ করি। তারপর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায়, সেখানেও যাচাই-বাছাই করা হয়। তারপর রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। দীর্ঘ ভোটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো হাতেগোনা।
দিপু মনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ভিসির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। তখন অনেকই নতুন ভিসি হতে চান। সে কারণে যিনি দায়িত্বে থাকেন, তার সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য নানা কথা তুলে ধরা হয়। কিন্তু কোনো জায়গা থেকে কোনো অভিযোগ এলে আমরা ইউজিসির মাধ্যমে তদন্ত করি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ ভাগ শিক্ষার্থী বেকার, এমন পরিসংখ্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেখানে অনার্স-মাস্টার্স চালু করার অবকাঠামো নেই সেখানে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে তা চালু করতে। যেখানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই সেখানেও অনার্স-মাস্টার্স খুলে যত্রতত্র সনদ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য আমরা জনপ্রতিনিধিরাই অধিকাংশ দায়ী।
শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতার একটি নীতিমালা করে দেওয়া হয়েছে ইউজিসির মাধ্যমে। ইউজিসির সক্ষমতার বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছি। আশা করি, শিগগিরিই এটি সংসদে উঠবে।
এনটিআরসি নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন এখন খুবই প্রয়োজনীয় বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানান রকমের সমস্যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে জাল বিস্তার করছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সজাগ ও সতর্ক থাকা উচিত বলেও জানান তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না- এমন অভিযোগকে হাস্যকর। আওয়ামী লীগ তো সারাজীবন আন্দোলন করেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। কারা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে? জনবিচ্ছিন্নদের আন্দোলন নিয়ে আমরা ভয় পাব, তা হাস্যকর।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বুধবার জাতীয় সংসদে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিলের বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের প্রায়ই প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু আমাদের এখান থেকে পাস করে দেশে ও বিদেশে যে সাফল্য আমরা দেখি, তাতে শিক্ষার মান তলিয়ে গেছে- কথাটি বলার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানসম্পন্ন নন এ কথাগুলোও আসে না।
তিনি বলেন, ভিসি নিয়োগ দেওয়ার সময় অনেকগুলো বিষয় সামনে আনা হয়। তার একাডেমিক এক্সিলেন্স, প্রশাসনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী দেখা হয়। সবকিছু দেখে আমরা প্যানেল নির্ধারণ করি। তারপর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায়, সেখানেও যাচাই-বাছাই করা হয়। তারপর রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। দীর্ঘ ভোটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো হাতেগোনা।
দিপু মনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ভিসির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। তখন অনেকই নতুন ভিসি হতে চান। সে কারণে যিনি দায়িত্বে থাকেন, তার সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য নানা কথা তুলে ধরা হয়। কিন্তু কোনো জায়গা থেকে কোনো অভিযোগ এলে আমরা ইউজিসির মাধ্যমে তদন্ত করি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ ভাগ শিক্ষার্থী বেকার, এমন পরিসংখ্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেখানে অনার্স-মাস্টার্স চালু করার অবকাঠামো নেই সেখানে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে তা চালু করতে। যেখানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই সেখানেও অনার্স-মাস্টার্স খুলে যত্রতত্র সনদ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য আমরা জনপ্রতিনিধিরাই অধিকাংশ দায়ী।
শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতার একটি নীতিমালা করে দেওয়া হয়েছে ইউজিসির মাধ্যমে। ইউজিসির সক্ষমতার বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছি। আশা করি, শিগগিরিই এটি সংসদে উঠবে।
এনটিআরসি নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন এখন খুবই প্রয়োজনীয় বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানান রকমের সমস্যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে জাল বিস্তার করছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সজাগ ও সতর্ক থাকা উচিত বলেও জানান তিনি।