ছবি: রয়টর্স
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার (গতকাল) একাধিক হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর প্রথমে পাওয়া গেলেও, পরে হাসপাতাল ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।
গাজায় ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর এটিই সবচেয়ে বড় সহিংস ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ রাফাহ এলাকায় এক সেনা আহত হওয়ার ঘটনার পর সেনাবাহিনীকে ‘জোরালো হামলা চালানোর’ নির্দেশ দেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় হামলা চালিয়েছে। সংগঠনটি জানায়, এর ফলে নিখোঁজ এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা সতর্ক করেছে, নতুন হামলা আরও ১৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধারে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল–হিন্দি আল–জাজিরাকে বলেন, “আমরা চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসরায়েল আমাদের অসত্যভাবে অভিযুক্ত করা বন্ধ করুক।” তিনি আরও জানান, জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে তাঁদের প্রচেষ্টা ইসরায়েলি হামলার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আতঙ্ক আর বিশৃঙ্খলা
গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলো জানায়, নিহতদের মধ্যে উত্তর গাজার সাবরা এলাকার চারজন এবং দক্ষিণের খান ইউনিসের পাঁচজন রয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আল–জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, “আল–শিফা হাসপাতালের পেছনে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ আমরা ২০ মিনিট দূর থেকেও শুনতে পেয়েছি। এতে হাসপাতালের রোগী ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।”
হামলার পর সারা রাত ধরে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া ফিলিস্তিনিদের উদ্ধারে তল্লাশি ও খনন কাজ চলে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ইব্রাহিম আবু রিশ বলেন, “এটি যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। যতজনকে সম্ভব উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।”
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া ও মার্কিন অবস্থান
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “রাফাহয় সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় হামাস দায়ী, এবং তাদের এর চড়া মাশুল দিতে হবে।”
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েল হামলার আগে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল।
ওয়াশিংটনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট **জেডি ভ্যান্স** বলেন, “ছোটখাটো সংঘর্ষ হতেই পারে। হামাস বা গাজার ভেতরে কেউ একজন ইসরায়েলি সেনাকে আক্রমণ করেছে। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। তবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি টিকে থাকবে বলে আমি মনে করি।”
‘চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন’
হামাস জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা হলো ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শারম আল–শেখে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রকাশ্য লঙ্ঘন।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে মানবিক সহায়তাও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।
কাসাম ব্রিগেড জানায়, তারা দুই ইসরায়েলি জিম্মি—আমিরাম কুপার ও সাহার বারুচের মরদেহ উদ্ধার করেছে, তবে হামলার পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে।
---
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            ছবি: রয়টর্স
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার (গতকাল) একাধিক হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর প্রথমে পাওয়া গেলেও, পরে হাসপাতাল ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।
গাজায় ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর এটিই সবচেয়ে বড় সহিংস ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ রাফাহ এলাকায় এক সেনা আহত হওয়ার ঘটনার পর সেনাবাহিনীকে ‘জোরালো হামলা চালানোর’ নির্দেশ দেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় হামলা চালিয়েছে। সংগঠনটি জানায়, এর ফলে নিখোঁজ এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা সতর্ক করেছে, নতুন হামলা আরও ১৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধারে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল–হিন্দি আল–জাজিরাকে বলেন, “আমরা চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসরায়েল আমাদের অসত্যভাবে অভিযুক্ত করা বন্ধ করুক।” তিনি আরও জানান, জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে তাঁদের প্রচেষ্টা ইসরায়েলি হামলার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আতঙ্ক আর বিশৃঙ্খলা
গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলো জানায়, নিহতদের মধ্যে উত্তর গাজার সাবরা এলাকার চারজন এবং দক্ষিণের খান ইউনিসের পাঁচজন রয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আল–জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, “আল–শিফা হাসপাতালের পেছনে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ আমরা ২০ মিনিট দূর থেকেও শুনতে পেয়েছি। এতে হাসপাতালের রোগী ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।”
হামলার পর সারা রাত ধরে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া ফিলিস্তিনিদের উদ্ধারে তল্লাশি ও খনন কাজ চলে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ইব্রাহিম আবু রিশ বলেন, “এটি যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। যতজনকে সম্ভব উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।”
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া ও মার্কিন অবস্থান
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “রাফাহয় সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় হামাস দায়ী, এবং তাদের এর চড়া মাশুল দিতে হবে।”
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েল হামলার আগে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল।
ওয়াশিংটনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট **জেডি ভ্যান্স** বলেন, “ছোটখাটো সংঘর্ষ হতেই পারে। হামাস বা গাজার ভেতরে কেউ একজন ইসরায়েলি সেনাকে আক্রমণ করেছে। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। তবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি টিকে থাকবে বলে আমি মনে করি।”
‘চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন’
হামাস জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা হলো ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শারম আল–শেখে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রকাশ্য লঙ্ঘন।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে মানবিক সহায়তাও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।
কাসাম ব্রিগেড জানায়, তারা দুই ইসরায়েলি জিম্মি—আমিরাম কুপার ও সাহার বারুচের মরদেহ উদ্ধার করেছে, তবে হামলার পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে।
---
