ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটি জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। তবে সেই পরিকল্পনায় শেষ মুহূর্তে ভেটো দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী খামেনিকে হত্যা করার উপযুক্ত সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলকে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার পরামর্শ দেন।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা সেটা করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় নেতার ওপর আক্রমণ চালানোর কথা ভাবছি না।” এভাবেই ট্রাম্প ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা দেন বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিস্ফোরক হামলা চালায়। এতে ইরানের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ইসরায়েলকে ‘তীব্র ও বেদনাদায়ক’ পরিণতির হুঁশিয়ারি দেন।
পাল্টা জবাবে ইরান একাধিক ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তেল আবিব, হাইফা ও জেরুজালেমের বিভিন্ন এলাকায়। এতে উভয়পক্ষেই প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দেয়।
মার্কিন প্রশাসনের সূত্র জানায়, হামলা-পাল্টা হামলার এই সংকটময় সময়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি নেতানিয়াহুকে খামেনিকে হত্যা না করার নির্দেশ দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মার্কিন টেলিভিশন ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “চারিদিকে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমরা যা প্রয়োজন তা করি, আর যুক্তরাষ্ট্র কী ভালো বোঝে, সেটাও তারা জানে।”
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটি জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। তবে সেই পরিকল্পনায় শেষ মুহূর্তে ভেটো দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী খামেনিকে হত্যা করার উপযুক্ত সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলকে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার পরামর্শ দেন।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা সেটা করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় নেতার ওপর আক্রমণ চালানোর কথা ভাবছি না।” এভাবেই ট্রাম্প ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা দেন বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিস্ফোরক হামলা চালায়। এতে ইরানের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ইসরায়েলকে ‘তীব্র ও বেদনাদায়ক’ পরিণতির হুঁশিয়ারি দেন।
পাল্টা জবাবে ইরান একাধিক ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তেল আবিব, হাইফা ও জেরুজালেমের বিভিন্ন এলাকায়। এতে উভয়পক্ষেই প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দেয়।
মার্কিন প্রশাসনের সূত্র জানায়, হামলা-পাল্টা হামলার এই সংকটময় সময়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি নেতানিয়াহুকে খামেনিকে হত্যা না করার নির্দেশ দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মার্কিন টেলিভিশন ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “চারিদিকে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমরা যা প্রয়োজন তা করি, আর যুক্তরাষ্ট্র কী ভালো বোঝে, সেটাও তারা জানে।”