দীর্ঘ ২২ বছর পর আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ তকমা প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ সিদ্ধান্ত দেয়। এর ফলে তালেবান এখন রাশিয়ায় বৈধভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
২০০৩ সালে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল রাশিয়া। সে সময় থেকে তালেবানের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাশিয়ার আইন অনুযায়ী ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ ফের তালেবানের হাতে চলে যায়। এরপর থেকেই রাশিয়া তালেবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ায়।
গত কয়েক বছরে তালেবানের একাধিক প্রতিনিধি রাশিয়া সফর করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ২০২৩ সালে বলেন, “আফগানিস্তানে তালেবানই বর্তমানে কার্যত ক্ষমতায় রয়েছে, তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন জরুরি।”
২০২৪ সালের মে মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিচার মন্ত্রণালয় যৌথভাবে তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়। চলতি মাসের শুরুতে সেই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার এর চূড়ান্ত অনুমোদন আসে।
আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ১৯৮০-এর দশকে তৎকালীন সোভিয়েত সেনারা আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় তালেবান-সমর্থিত মুজাহিদিনদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় রাশিয়া। দীর্ঘ ওই সংঘাতের পর এবার তালেবানের প্রতি মস্কোর এই ইতিবাচক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ আগেই তালেবানের ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা সরিয়ে নিয়েছে। ২০২৩ সালে কাজাখস্তান এবং ২০২৪ সালে কিরগিজস্তান এমন পদক্ষেপ নেয়। তবে এখনো বিশ্বের কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তালেবানের নারী-বিরোধী নীতির কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তারা তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছে। তবে কাবুলে চীন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরানের দূতাবাস চালু রয়েছে। চীন ২০২৩ সালে তালেবান সরকারের অধীনে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে।
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
দীর্ঘ ২২ বছর পর আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ তকমা প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ সিদ্ধান্ত দেয়। এর ফলে তালেবান এখন রাশিয়ায় বৈধভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
২০০৩ সালে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল রাশিয়া। সে সময় থেকে তালেবানের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাশিয়ার আইন অনুযায়ী ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ ফের তালেবানের হাতে চলে যায়। এরপর থেকেই রাশিয়া তালেবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ায়।
গত কয়েক বছরে তালেবানের একাধিক প্রতিনিধি রাশিয়া সফর করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ২০২৩ সালে বলেন, “আফগানিস্তানে তালেবানই বর্তমানে কার্যত ক্ষমতায় রয়েছে, তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন জরুরি।”
২০২৪ সালের মে মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিচার মন্ত্রণালয় যৌথভাবে তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়। চলতি মাসের শুরুতে সেই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার এর চূড়ান্ত অনুমোদন আসে।
আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ১৯৮০-এর দশকে তৎকালীন সোভিয়েত সেনারা আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় তালেবান-সমর্থিত মুজাহিদিনদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় রাশিয়া। দীর্ঘ ওই সংঘাতের পর এবার তালেবানের প্রতি মস্কোর এই ইতিবাচক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ আগেই তালেবানের ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা সরিয়ে নিয়েছে। ২০২৩ সালে কাজাখস্তান এবং ২০২৪ সালে কিরগিজস্তান এমন পদক্ষেপ নেয়। তবে এখনো বিশ্বের কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তালেবানের নারী-বিরোধী নীতির কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তারা তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছে। তবে কাবুলে চীন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরানের দূতাবাস চালু রয়েছে। চীন ২০২৩ সালে তালেবান সরকারের অধীনে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে।