image

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষে সীমান্ত থেকে পালিয়েছে ৫ লাখের বেশি বাসিন্দা

বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) উভয় পক্ষই নাগরিকদের সীমান্ত ছাড়ার কথা জানিয়েছে।

থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুরসান্ত কংসিরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৭০০টিরও বেশি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কম্বোডিয়ার দৈনিক খেমার টাইমস জানিয়েছে, ভারী অস্ত্র ব্যবহারের ফলে দেশের সীমান্ত থেকে ১ লাখ ২৭ হাজারেও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এদিকে, সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচ জন থাই সৈন্য রয়েছে। গতকাল বুধবার দৈনিক নম পেন পোস্ট জানিয়েছে, থাই হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে এবং আরও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। সীমান্তের দুই পাশের কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং কিছু স্কুলকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে কুয়ালালামপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে দুই দেশের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত সোমবার এটি ভঙ্গ করে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে দুই প্রতিবেশী। সর্বশেষ সংঘর্ষের সূত্রপাতের জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে।ওয়াশিংটন এই সংঘর্ষের বিষয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিবাদ এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কম্বোডিয়া ফ্রান্সের অধীনে ছিল। সেই সময় ফ্রান্স প্রথম স্থলসীমান্তের মানচিত্র তৈরি করে।

‘আন্তর্জাতিক’ : আরও খবর

সম্প্রতি