নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে পর্যটকবাহী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন একই স্প্যানিশ পরিবারের সদস্য এবং বাকি একজন হেলিকপ্টারের পাইলট বলে নিশ্চিত করেছে নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ।
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
এদিকে নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিস জানান, নিহতদের পরিচয় এখনই প্রকাশ করা হবে না; তাদের পরিবারকে জানানো শেষ হলে পরিচয় জানানো হবে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তাধীন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আকাশে উল্টো হয়ে হেলিকপ্টারটি হাডসন নদীতে পড়ে যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি নিউ জার্সির উপকূল ধরে উড়ছিল এবং জর্জ ওয়াশিংটন সেতুর কাছে বাঁক নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়।
‘নিউ ইয়র্ক হেলিকপ্টারস’ নামের কোম্পানির বেল-২০৬ মডেলের দুই পাখার হেলিকপ্টারটি স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ম্যানহাটনের ডাউনটাউন স্টকাইপোর্ট থেকে উড়াল দেয়। মাত্র ১৭ মিনিট পর, ৩টা ১৭ মিনিটে বিধ্বস্তের খবর পাওয়া যায়।
নিউ ইয়র্কের ফায়ার কমিশনার রবার্ট টাকার বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী নৌযান পাঠানো হয় এবং ডুবুরিরা দ্রুত পানিতে নামেন।”
তবে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়, বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।
নদীর যেই অংশে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা ম্যানহাটনের পশ্চিমে অবস্থিত। জায়গাটি স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, পাশেই রয়েছে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস, দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিসস্ট্রেশন (এফএএ) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) যৌথভাবে কাজ করছে। কোস্ট গার্ডও তদন্তে সহায়তা এবং জরুরি সহায়তা প্রদান করছে।
জার্সি সিটির বাসিন্দা জেন লিং জানান, “আমি জানালা দিয়ে দেখছিলাম, হঠাৎ কিছু মানুষ পানিতে পড়তে দেখলাম। তখন ভাবলাম হয়তো কিছু হয়নি। কিন্তু পরে সাইরেনের শব্দে বুঝলাম বড় কিছু ঘটেছে।”
আরেক বাসিন্দা ইপসিতা ব্যানিগ্রি বলেন, “দুর্ঘটনার শব্দ বজ্রপাতের মতো ছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল আবর্জনা উড়ছে, পরে বুঝলাম তা হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ।”
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে পর্যটকবাহী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন একই স্প্যানিশ পরিবারের সদস্য এবং বাকি একজন হেলিকপ্টারের পাইলট বলে নিশ্চিত করেছে নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ।
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
এদিকে নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিস জানান, নিহতদের পরিচয় এখনই প্রকাশ করা হবে না; তাদের পরিবারকে জানানো শেষ হলে পরিচয় জানানো হবে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তাধীন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আকাশে উল্টো হয়ে হেলিকপ্টারটি হাডসন নদীতে পড়ে যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি নিউ জার্সির উপকূল ধরে উড়ছিল এবং জর্জ ওয়াশিংটন সেতুর কাছে বাঁক নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়।
‘নিউ ইয়র্ক হেলিকপ্টারস’ নামের কোম্পানির বেল-২০৬ মডেলের দুই পাখার হেলিকপ্টারটি স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ম্যানহাটনের ডাউনটাউন স্টকাইপোর্ট থেকে উড়াল দেয়। মাত্র ১৭ মিনিট পর, ৩টা ১৭ মিনিটে বিধ্বস্তের খবর পাওয়া যায়।
নিউ ইয়র্কের ফায়ার কমিশনার রবার্ট টাকার বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী নৌযান পাঠানো হয় এবং ডুবুরিরা দ্রুত পানিতে নামেন।”
তবে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়, বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।
নদীর যেই অংশে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা ম্যানহাটনের পশ্চিমে অবস্থিত। জায়গাটি স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, পাশেই রয়েছে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস, দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিসস্ট্রেশন (এফএএ) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) যৌথভাবে কাজ করছে। কোস্ট গার্ডও তদন্তে সহায়তা এবং জরুরি সহায়তা প্রদান করছে।
জার্সি সিটির বাসিন্দা জেন লিং জানান, “আমি জানালা দিয়ে দেখছিলাম, হঠাৎ কিছু মানুষ পানিতে পড়তে দেখলাম। তখন ভাবলাম হয়তো কিছু হয়নি। কিন্তু পরে সাইরেনের শব্দে বুঝলাম বড় কিছু ঘটেছে।”
আরেক বাসিন্দা ইপসিতা ব্যানিগ্রি বলেন, “দুর্ঘটনার শব্দ বজ্রপাতের মতো ছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল আবর্জনা উড়ছে, পরে বুঝলাম তা হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ।”