আফগানিস্তানে সোশাল মিডিয়ায় নতুন নিষেধাজ্ঞা
ছবি: রয়টর্স
আফগানিস্তানে কিছু সোশাল মিডিয়া কনটেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান সরকার। দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্সসহ (সাবেক টুইটার) কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট সীমিত করতে ফিল্টার প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে কোন ধরনের পোস্ট বা কনটেন্ট এ ফিল্টারের আওতায় পড়ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কাবুলের কিছু সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তারা এখন ফেইসবুকে ভিডিও দেখতে পারছেন না, ইনস্টাগ্রামেও প্রবেশে সমস্যা হচ্ছে।
এই কনটেন্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে দেশজুড়ে দুই দিনের ইন্টারনেট ও টেলিকম পরিষেবা বন্ধের এক সপ্তাহ পর।
ইন্টারনেট বন্ধের সময় ব্যবসা-বাণিজ্য ও ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়, জরুরি সেবাও সীমিত হয়ে পড়ে। নারীরা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে নারী ও শিশুদের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
‘সারা দেশে ফিল্টারিং প্রয়োগ করা হয়েছে’
তালেবান সরকারের এক সূত্র বিবিসিকে বলেছে, “ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট সীমিত করতে কিছু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, এবার সম্পূর্ণ ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হবে না। এই ফিল্টারিং প্রায় সারা দেশে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং বর্তমানে বেশিরভাগ প্রদেশই এর আওতাভুক্ত।”
তবে এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
ব্যবহারকারীদের অভিযোগ
পূর্বাঞ্চলের নঙ্গরহার প্রদেশের এক সরকারি কর্মচারী জানান, তিনি ফেইসবুকে প্রবেশ করতে পারলেও ছবি বা ভিডিও দেখতে পারছেন না। “গড়পরতা ইন্টারনেটের গতি খুবই কম,” বলেন তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহারের এক ব্যবসায়ী জানান, তার ফাইবার অপটিক সংযোগ মঙ্গলবার থেকে বন্ধ আছে। মোবাইল ডেটা ব্যবহার করলেও ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম চলছে ‘খুব ধীর গতিতে’।
‘অনৈতিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে’ ইন্টারনেট ব্লক
গত সপ্তাহে যে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট করা হয়েছিল, তারও কোনো সরকারি ব্যাখ্যা দেয়নি তালেবান। তবে উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশের তালেবান গভর্নরের একজন মুখপাত্র তখন বলেছিলেন, “অনৈতিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে ইন্টারনেট ব্লক করা হচ্ছে।”
বিবিসি লিখেছে, ক্ষমতায় ফেরার পর তালেবান তাদের নিজস্ব শরিয়া আইন অনুযায়ী সমাজে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। নারীদের চাকরির সুযোগ কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমনকি সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নারীদের লেখা বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আফগান নারীরা বিবিসিকে বলেন, “যখন আমাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখন ইন্টারনেটই ছিল বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে একমাত্র সংযোগ।”
আফগানিস্তানে সোশাল মিডিয়ায় নতুন নিষেধাজ্ঞা
ছবি: রয়টর্স
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তানে কিছু সোশাল মিডিয়া কনটেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান সরকার। দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্সসহ (সাবেক টুইটার) কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট সীমিত করতে ফিল্টার প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে কোন ধরনের পোস্ট বা কনটেন্ট এ ফিল্টারের আওতায় পড়ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কাবুলের কিছু সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তারা এখন ফেইসবুকে ভিডিও দেখতে পারছেন না, ইনস্টাগ্রামেও প্রবেশে সমস্যা হচ্ছে।
এই কনটেন্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে দেশজুড়ে দুই দিনের ইন্টারনেট ও টেলিকম পরিষেবা বন্ধের এক সপ্তাহ পর।
ইন্টারনেট বন্ধের সময় ব্যবসা-বাণিজ্য ও ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়, জরুরি সেবাও সীমিত হয়ে পড়ে। নারীরা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে নারী ও শিশুদের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
‘সারা দেশে ফিল্টারিং প্রয়োগ করা হয়েছে’
তালেবান সরকারের এক সূত্র বিবিসিকে বলেছে, “ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট সীমিত করতে কিছু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, এবার সম্পূর্ণ ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হবে না। এই ফিল্টারিং প্রায় সারা দেশে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং বর্তমানে বেশিরভাগ প্রদেশই এর আওতাভুক্ত।”
তবে এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
ব্যবহারকারীদের অভিযোগ
পূর্বাঞ্চলের নঙ্গরহার প্রদেশের এক সরকারি কর্মচারী জানান, তিনি ফেইসবুকে প্রবেশ করতে পারলেও ছবি বা ভিডিও দেখতে পারছেন না। “গড়পরতা ইন্টারনেটের গতি খুবই কম,” বলেন তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহারের এক ব্যবসায়ী জানান, তার ফাইবার অপটিক সংযোগ মঙ্গলবার থেকে বন্ধ আছে। মোবাইল ডেটা ব্যবহার করলেও ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম চলছে ‘খুব ধীর গতিতে’।
‘অনৈতিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে’ ইন্টারনেট ব্লক
গত সপ্তাহে যে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট করা হয়েছিল, তারও কোনো সরকারি ব্যাখ্যা দেয়নি তালেবান। তবে উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশের তালেবান গভর্নরের একজন মুখপাত্র তখন বলেছিলেন, “অনৈতিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে ইন্টারনেট ব্লক করা হচ্ছে।”
বিবিসি লিখেছে, ক্ষমতায় ফেরার পর তালেবান তাদের নিজস্ব শরিয়া আইন অনুযায়ী সমাজে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। নারীদের চাকরির সুযোগ কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমনকি সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নারীদের লেখা বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আফগান নারীরা বিবিসিকে বলেন, “যখন আমাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখন ইন্টারনেটই ছিল বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে একমাত্র সংযোগ।”