মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্রতর হচ্ছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার নতুন ধাপে ফের একে অপরকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে দুই দেশ। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ইরানের গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসক্ষেত্র ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালালে এর জবাবে শনিবার মধ্যরাতে ইরান ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফা নগরীতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়।
বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ নগরীগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েল হামলার লক্ষ্যবস্তু করে ইরানের দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্র, ফজর জাম গ্যাসক্ষেত্র এবং একটি তেল ডিপো। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর বন্দর আব্বাসেও হামলার খবর মিলেছে। এসব হামলায় ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের জোরালো বিমান আক্রমণ শুরু হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)–এর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন বলেন, “এই মুহূর্তে বিমানবাহিনীর পাইলটরা ইরানের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছেন। গত ৪০ ঘণ্টায় ১৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি।”
ডেফ্রিন দাবি করেন, ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস এবং সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে সফররত জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মতে, “এই ঘাঁটিতে সংরক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি নাগরিক ও পশ্চিমা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের ঝুঁকি ছিল।”
অন্যদিকে, ইরানের তেল মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলের এই আক্রমণে দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্র ও ফজর জাম গ্যাসক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিবিসি ভেরিফাই বর্তমানে সেসব এলাকার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে।
এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, “ভয়াবহ জবাবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইসরায়েলে যে কোনো সময় বিধ্বংসী হামলা চালানো হবে।”
ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়, যা মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য আঞ্চলিক যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলমান উত্তেজনার সূচনা হয় শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের চালানো হামলার মাধ্যমে, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট স্থাপনা এবং শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। এই হামলায় ইরানের বহু কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন বলে দাবি করেছে তেহরান।
রোববার, ১৫ জুন ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্রতর হচ্ছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার নতুন ধাপে ফের একে অপরকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে দুই দেশ। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ইরানের গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসক্ষেত্র ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালালে এর জবাবে শনিবার মধ্যরাতে ইরান ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফা নগরীতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়।
বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ নগরীগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েল হামলার লক্ষ্যবস্তু করে ইরানের দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্র, ফজর জাম গ্যাসক্ষেত্র এবং একটি তেল ডিপো। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর বন্দর আব্বাসেও হামলার খবর মিলেছে। এসব হামলায় ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের জোরালো বিমান আক্রমণ শুরু হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)–এর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন বলেন, “এই মুহূর্তে বিমানবাহিনীর পাইলটরা ইরানের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছেন। গত ৪০ ঘণ্টায় ১৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি।”
ডেফ্রিন দাবি করেন, ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস এবং সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে সফররত জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মতে, “এই ঘাঁটিতে সংরক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি নাগরিক ও পশ্চিমা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের ঝুঁকি ছিল।”
অন্যদিকে, ইরানের তেল মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলের এই আক্রমণে দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্র ও ফজর জাম গ্যাসক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিবিসি ভেরিফাই বর্তমানে সেসব এলাকার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে।
এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, “ভয়াবহ জবাবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইসরায়েলে যে কোনো সময় বিধ্বংসী হামলা চালানো হবে।”
ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়, যা মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য আঞ্চলিক যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলমান উত্তেজনার সূচনা হয় শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের চালানো হামলার মাধ্যমে, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট স্থাপনা এবং শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। এই হামলায় ইরানের বহু কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন বলে দাবি করেছে তেহরান।