ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী আকিল মালিক জানিয়েছেন, তারা অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক আইনি পথে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
পাকিস্তান বলছে, ভারতের এমন পদক্ষেপ ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তির লঙ্ঘন, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বৈধ নয়। এই চুক্তি সই হয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এবং এটি অনুসারে সিন্ধু ও তার দুটি উপনদীর পানি পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ছিল। ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল অপর তিনটি উপনদী—বিয়াস, শতদ্রু ও রাভি।
মন্ত্রী আকিল মালিক রয়টার্সকে বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত, আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত এবং বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও তোলার চিন্তা আছে আমাদের।”
ভারতের এমন সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধু অঞ্চলে সেচব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির ৮০ শতাংশ কৃষি নির্ভর করে এই নদীগুলোর পানির ওপর।
সম্প্রতি ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বিভিন্ন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়। সেই প্রেক্ষিতে ভারত এই পানিচুক্তি সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী আকিল মালিক জানিয়েছেন, তারা অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক আইনি পথে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
পাকিস্তান বলছে, ভারতের এমন পদক্ষেপ ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তির লঙ্ঘন, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বৈধ নয়। এই চুক্তি সই হয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এবং এটি অনুসারে সিন্ধু ও তার দুটি উপনদীর পানি পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ছিল। ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল অপর তিনটি উপনদী—বিয়াস, শতদ্রু ও রাভি।
মন্ত্রী আকিল মালিক রয়টার্সকে বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত, আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত এবং বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও তোলার চিন্তা আছে আমাদের।”
ভারতের এমন সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধু অঞ্চলে সেচব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির ৮০ শতাংশ কৃষি নির্ভর করে এই নদীগুলোর পানির ওপর।
সম্প্রতি ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বিভিন্ন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়। সেই প্রেক্ষিতে ভারত এই পানিচুক্তি সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।