alt

আন্তর্জাতিক

‘স্বর্ণযুগের’ ঘোষণা, দাপটের প্রদর্শনী ট্রাম্পের

সংবাদ ডেস্ক : বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

শপথ নেয়ার পর ক্ষমতায় বসেই অনেক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন অ্যামেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেরকমই একটি আদেশ স্বাক্ষর করার পর ক্যামেরাবন্দী হলেন তিনি

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মসনদে বসলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ইতিহাস গড়েই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ক্ষমতায় বসেই শুরু করলেন আরেক ইতিহাস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই ঘোষণা দিয়েছেন আরেক ‘স্বর্ণযুগে‘ প্রবেশের। সেই পথে একদম প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কলমের এক খোঁচায় বাতিল করে দিলেন পূর্বসূরী জো বাইডেনের অধিকাংশ বিধিবিধান। তার বদলে জারি করলেন নতুন একগুচ্ছ ডিক্রি। শুরু করেন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের পাদপীঠ ক্যাপিটল হলের হামলাকারীদের নির্বিচার ক্ষমা ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এরপর পুনর্ব্যক্ত করেন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসমূহের অঙ্গীকার।

এরপর তিনি যা বললেন, তার ধাক্কা নিশ্চিতভাবেই অনুভূত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই প্রথম এবং একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কথিত আন্তর্জাতিকতা থেকে সরে আসার। কেননা একে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনাবশ্যক ও ক্ষতিকর নাক গলানো হিসেবেই দেখে আসছেন।

ভূরাজনৈতিক দাবার চাল পাল্টে দেয়ার সেই সামর্থ্য যে তা তার আছে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওভাল অফিসের বসার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসও ঠিকরে বেরুলো ট্রাম্পের দেহভঙ্গি, কথাবার্তায়।

আর শপথের পর তিনি যে বক্তৃতা দিলেন, সেখানে তিনি ছিলেন স্বভাবসুলভ। ধুয়ে দিলেন আগের আমলকে।

তবে রাজনৈতিক বক্তৃতায় প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করা যতটা সহজ, অন্তত তার কাছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের গৌরবকে প্রতিষ্ঠা করার ততটা সহজ কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই। কেননা ঘোষিত ফরমানগুলো উত্তীর্ণ হতে হবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে, সেখানে খুব যে জোরালো গরিষ্ঠতা তার দল রিপাবলিকান পার্টির আছে এমন নয়।

সে পরের কথা। ক্যাপিটল হিলের হামলায় দ-িতদের ক্ষমাকে সমর্থন করতে পারছেন অনেকেই। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটরা তো ননই। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এটা তো আর আইনের শাসন হলো না। তাছাড়া পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করার এই অগাধ ক্ষমতার প্রয়োগ করবে রাজনৈতিক স্বার্থে। কিন্তু এটাও ট্রাম্প করেছেন তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী। ট্রাম্প টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে তার কট্টর সমর্থকরা হামলা করেছিল। তারা বিশ্বাস করেছিল, ট্রাম্পকে সেই নির্বাচনে কারচুপি করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন কয়েকজন পুলিশও। কিন্তু দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যাবর্তনে এই ১৫০০ জনের ভূমিকা সম্পর্কে ট্রাম্পের মূল্যায়নেরই স্বীকৃতি মিললো এই ক্ষমা ঘোষণার মধ্য দিয়ে। তবে কেউই যে কম যায় না তা বোঝা যায় বাইডেনের কান্ডেও। প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ দিয়ে অনেকের সঙ্গে একভাবে জ্ঞাতিগোষ্ঠী সবার জন্যই আগাম ক্ষমা ঘোষণা করে গেছেন জো বাইডেনও।

তার ক্ষমা সুরক্ষা পাবেন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে প্রশাসনের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে ফাউচি। আরো আছেন তারা, যারা মামলা লড়েছিলেন ক্যাপিটল হিলের দ্রোহীদের বিরুদ্ধে। ক্ষমার ক্ষমতার ব্যাপক প্রয়োগের পেছনে বাইডেনের সরল যুক্তি, নইলে ট্রাম্পের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন এই বেচারারা।

মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিট বাকি। ওস্তাদের শেষ মার হিসেবে আগাম ক্ষমার ঘোষণায় সই করেন নিজের দুই ভাই জেমস ও ফ্রান্সিস বাইডেন, বোন ভ্যালেরির জন্যও।

তিনি বলেন, তার আত্মীয়স্বজনেরা কোনো দোষ করেননি। অযথা তদন্ত ও বিচারের হয়রানির কারণে তার পরিবারের সুনাম ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই এই সুরক্ষাটুকু দিয়ে যেতে হলো তাকে।

দুই প্রেসিডেন্ট যার যার জায়গা থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করেন এমন অনেকে বলছেন, এরা দুজন যে জায়গায় এই ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটালেন তা করার জন্য তাদের পূর্বসূরীরা এই ক্ষমতা তাদের দিয়ে যাননি।

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা চীনের

ছবি

মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ স্থগিত, চীনের সঙ্গেও আলোচনা চলবে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু

ছবি

ছয় মাসেই রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ইউরোপকে আরও দায়িত্ব নিতে বাধ্য করছে ট্রাম্প নীতি ও রাশিয়া: মাক্রোঁ

ছবি

চলতি বছর পশ্চিম তীরে ১০ শিশুসহ ৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

সৌদি কিংবা আমিরাতে হবে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক : রাশিয়া

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৮ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

ছবি

নেতানিয়াহুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইসরায়েলের পুলিশ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

সুদানে কাঁচাবাজারে গোলাবর্ষণ-বিমান হামলায় নিহত ৫৬

ছবি

উপকূলে ভেসে আসা ২০ মরদেহ লিবিয়াতেই সমাহিত

ছবি

মেক্সিকো-কানাডা-চীনের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ

ছবি

লিবিয়ার উপকূলে ২০ মরদেহ, বেশির ভাগ বাংলাদেশি হতে পারে

ছবি

ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করলে আমরাও ব্যবস্থা নেব: ট্রুডো

ছবি

ওয়াশিংটন ট্রাজেডির দু’দিন পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফের প্লেন দুর্ঘটনা

ছবি

ব্রিকসের মুদ্রা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের আক্রমণ

ছবি

ডেনমার্কে যুক্তরাষ্ট্রকে বৃহত্তর হুমকি মনে করে অধিকাংশ জনগণ, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির বিরোধিতা

ছবি

সি‌রিয়ায় সং‌বিধান বাতিল, সেনাবা‌হিনী ও আসা‌দের দল বিলুপ্ত ঘোষণা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্লেন-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে সব আরোহীর মৃত্যুর শঙ্কা

ছবি

আইসিডিডিআরবিতে এক হাজারের বেশি চাকরিচ্যুতির চিঠি

ছবি

মায়ানমারে জান্তার নির্বাচন পরিকল্পনা: গৃহযুদ্ধের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কা

ছবি

ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে বিমানের সংঘর্ষ: যা যা জানা গেল

ছবি

শুরুতে হম্বিতম্বি, এখন চীনের প্রতি নরম সুর ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টারের সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষ, ১৮ মরদেহ উদ্ধার

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

ছবি

ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ

ছবি

মহাকুম্ভ মেলায় পদদলনের শিকার হয়ে নিহত অন্তত ৭

ছবি

ক্ষমতায় এসেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানালেন ট্রাম্প

ছবি

ইউরোপ থেকে পণ্য সরিয়ে নিচ্ছে কোকা-কোলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন বিরোধী অভিযান, একদিনে গ্রেফতার ৯৫৬

ছবি

সহায়তা বন্ধের পর এবার নিশানায় ইউএসএইডের ৬০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

ছবি

কলম্বিয়া মেনে নিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে অভিবাসী প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ১৮

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ, নিহত ছাড়াল ৪৭ হাজার ৩০০

ছবি

কলম্বিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

tab

আন্তর্জাতিক

‘স্বর্ণযুগের’ ঘোষণা, দাপটের প্রদর্শনী ট্রাম্পের

সংবাদ ডেস্ক

শপথ নেয়ার পর ক্ষমতায় বসেই অনেক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন অ্যামেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেরকমই একটি আদেশ স্বাক্ষর করার পর ক্যামেরাবন্দী হলেন তিনি

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মসনদে বসলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ইতিহাস গড়েই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ক্ষমতায় বসেই শুরু করলেন আরেক ইতিহাস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই ঘোষণা দিয়েছেন আরেক ‘স্বর্ণযুগে‘ প্রবেশের। সেই পথে একদম প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কলমের এক খোঁচায় বাতিল করে দিলেন পূর্বসূরী জো বাইডেনের অধিকাংশ বিধিবিধান। তার বদলে জারি করলেন নতুন একগুচ্ছ ডিক্রি। শুরু করেন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের পাদপীঠ ক্যাপিটল হলের হামলাকারীদের নির্বিচার ক্ষমা ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এরপর পুনর্ব্যক্ত করেন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসমূহের অঙ্গীকার।

এরপর তিনি যা বললেন, তার ধাক্কা নিশ্চিতভাবেই অনুভূত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই প্রথম এবং একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কথিত আন্তর্জাতিকতা থেকে সরে আসার। কেননা একে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনাবশ্যক ও ক্ষতিকর নাক গলানো হিসেবেই দেখে আসছেন।

ভূরাজনৈতিক দাবার চাল পাল্টে দেয়ার সেই সামর্থ্য যে তা তার আছে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওভাল অফিসের বসার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসও ঠিকরে বেরুলো ট্রাম্পের দেহভঙ্গি, কথাবার্তায়।

আর শপথের পর তিনি যে বক্তৃতা দিলেন, সেখানে তিনি ছিলেন স্বভাবসুলভ। ধুয়ে দিলেন আগের আমলকে।

তবে রাজনৈতিক বক্তৃতায় প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করা যতটা সহজ, অন্তত তার কাছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের গৌরবকে প্রতিষ্ঠা করার ততটা সহজ কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই। কেননা ঘোষিত ফরমানগুলো উত্তীর্ণ হতে হবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে, সেখানে খুব যে জোরালো গরিষ্ঠতা তার দল রিপাবলিকান পার্টির আছে এমন নয়।

সে পরের কথা। ক্যাপিটল হিলের হামলায় দ-িতদের ক্ষমাকে সমর্থন করতে পারছেন অনেকেই। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটরা তো ননই। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এটা তো আর আইনের শাসন হলো না। তাছাড়া পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করার এই অগাধ ক্ষমতার প্রয়োগ করবে রাজনৈতিক স্বার্থে। কিন্তু এটাও ট্রাম্প করেছেন তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী। ট্রাম্প টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে তার কট্টর সমর্থকরা হামলা করেছিল। তারা বিশ্বাস করেছিল, ট্রাম্পকে সেই নির্বাচনে কারচুপি করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন কয়েকজন পুলিশও। কিন্তু দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যাবর্তনে এই ১৫০০ জনের ভূমিকা সম্পর্কে ট্রাম্পের মূল্যায়নেরই স্বীকৃতি মিললো এই ক্ষমা ঘোষণার মধ্য দিয়ে। তবে কেউই যে কম যায় না তা বোঝা যায় বাইডেনের কান্ডেও। প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ দিয়ে অনেকের সঙ্গে একভাবে জ্ঞাতিগোষ্ঠী সবার জন্যই আগাম ক্ষমা ঘোষণা করে গেছেন জো বাইডেনও।

তার ক্ষমা সুরক্ষা পাবেন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে প্রশাসনের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে ফাউচি। আরো আছেন তারা, যারা মামলা লড়েছিলেন ক্যাপিটল হিলের দ্রোহীদের বিরুদ্ধে। ক্ষমার ক্ষমতার ব্যাপক প্রয়োগের পেছনে বাইডেনের সরল যুক্তি, নইলে ট্রাম্পের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন এই বেচারারা।

মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিট বাকি। ওস্তাদের শেষ মার হিসেবে আগাম ক্ষমার ঘোষণায় সই করেন নিজের দুই ভাই জেমস ও ফ্রান্সিস বাইডেন, বোন ভ্যালেরির জন্যও।

তিনি বলেন, তার আত্মীয়স্বজনেরা কোনো দোষ করেননি। অযথা তদন্ত ও বিচারের হয়রানির কারণে তার পরিবারের সুনাম ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই এই সুরক্ষাটুকু দিয়ে যেতে হলো তাকে।

দুই প্রেসিডেন্ট যার যার জায়গা থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করেন এমন অনেকে বলছেন, এরা দুজন যে জায়গায় এই ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটালেন তা করার জন্য তাদের পূর্বসূরীরা এই ক্ষমতা তাদের দিয়ে যাননি।

back to top