alt

মিয়ানমারের নির্বাচনে ভোট বাতিলে ক্ষুব্দ সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠী

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

মিয়ানমারে আগামী ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে ১৫ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। সহিংসতাপূর্ণ এলাকাগুলোতে ভোট বাতিল করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তে ভোটের সুষ্ঠুতা নিয়েও সংশয় বেড়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। বাতিল হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রায় সবই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে। সেখানে ২০১৮ সাল থেকে স্বায়ত্তশাসনকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত বাড়ছে। এখানে ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভোট দিতে না পারায় এখানকার মানুষের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের আরো বিচ্ছিন্নতা তৈরি হবে, যার ফলে এখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আরো সমর্থন পাবে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধ্বস বিজয় লাভ করে।

মিয়ানমারের ইনস্টিটিউট অব পীস এন্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালন মিন জ ও বলেন, “কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভোট বাতিলের এই সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা যেমন নেই, তা সঙ্গতিপূর্ণও না।” তিনি বলেন এই সিদ্ধান্তের ফলে ৭৩ শতাংশ রাখাইন ভোটাধিকার বঞ্চিত হবে। এর ফলে জাতীয় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

গত ১৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে এসব এলাকায় নির্বাচন বাতিল করে। নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য, সহিংস পরিস্থিতির কারণে এসব এলাকায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা তারা দিতে পারবে না। ২০১৫ নির্বাচনেও এসব জায়গায় নির্বাচন বাতিল করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে তখন থেকেই প্রশ্ন আছে।

আসন্ন নির্বাচনে ৯২টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি এবং সেনা-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির মধ্যে। অং সান সুচির দলের জনপ্রিয়তা মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠ নৃগোষ্ঠীর মধ্যে। তাদের সমর্থনেই তার বৈতরণী পেরোনোর কথা। আগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকেও সমর্থন পেতেন তিনি। ২০১৫ নির্বাচনের আগেও তার প্রতিশ্রুতি ছিল - শান্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর মানুষের ওপর নিপীড়ন, তাদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও প্রান্তিকীকরণ সুচির ব্যাপারে তাদের মোহভঙ্গের কারণ হয়েছে।

তবে ২০১৫ সালের নির্বাচনেও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনেই সুচি বড় ধরাটা খেয়েছিল রাখাইনভিত্তিক আরাকান ন্যাশনাল পার্টি বা এএনপির কাছে। এবার সেসব জায়গাতেই নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে যেখানে সুচির সমর্থন তুলনামূলক ভাবে কম। পাঁচটি আঞ্চলিক দল তাই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও সততা প্রশ্ন তুলেছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় রাখাইনের এমন সব জায়গাতেও নির্বাচন বাতিল হয়েছে যেখানে কোনো ধরনের সহিংসতাই নেই। যেমন রাখাইনের পকতাও শহরে নির্বাচন বাতিল হয়েছে, যেখানে কোনো ধরনের সহিংসতা নেই। গত নির্বাচনে সেখানে এএনপি জিতেছিল। এদিকে পলেতোয়া শহরে যেখানে সহিংসতা লেগেই থাকে সেখানে নির্বাচন হবে। আগের নির্বাচনে এখানে সুচির এনএলডি জিতেছিল।

নির্বাচন কমিশন গত সপ্তাহে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারা সরকার, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পকতাউয়ের এএনপির মনোনীত প্রার্থী অং কিয়াউ হতোয়ি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিধিত্ব না থাকা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বিষয় যদি সমাধান না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

তিনি আরো বলেন, রাখাইন অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গায় নির্বাচন বাতিলের ফল হবে আরো তীব্র সংঘাত। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে নির্বাচন বাদেও আমি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য অবনতির কথা ভাবছি, বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ অক্টোবর নির্বাচন বাতিলের ঘোষণা আসার পর তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার মধ্যে তিনজনই ছাত্র।

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

ছবি

নিউইয়র্কে আজ মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি

ছবি

বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনকে আপাতত টমাহক দেওয়া হবে না : ট্রাম্প

ছবি

আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ২০

ছবি

দুই সপ্তাহের মধ্যে তীব্র খাবার পানির সংকটে পড়তে যাচ্ছে তেহরান

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি অবরোধে বিপর্যয়ের মুখে ফিলিস্তিনিরা

ছবি

জেন জি’ ও পরবর্তী সব প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

ছবি

আরএসএফের নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

ছবি

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪

ছবি

চীনের সর্বকনিষ্ঠ নভোচারীর সঙ্গে মহাকাশে পাঠানো হলো ৪টি কালো ইঁদুর

ছবি

‘সুদানে বিদ্রোহীদের চীনা ড্রোন-কামান দিচ্ছে আরব আমিরাত’

ছবি

‘গ্রে জোনে’ হাজার হাজার রুশ সেনা, কোণঠাসা ইউক্রেনের বাহিনী

ছবি

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করবে না ইরান : আরাগচি

ছবি

ওনেই পানি-খাবার, বাঁচার আশায় মাইলের পর মাইল হাঁটছে মানুষ

ছবি

চুক্তি ভেঙে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল, চালাচ্ছে হামলা

ছবি

৩০ প্যালেস্টাইনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল, গাজায় ফের হামলা

ছবি

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

tab

মিয়ানমারের নির্বাচনে ভোট বাতিলে ক্ষুব্দ সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠী

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

মিয়ানমারে আগামী ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে ১৫ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। সহিংসতাপূর্ণ এলাকাগুলোতে ভোট বাতিল করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তে ভোটের সুষ্ঠুতা নিয়েও সংশয় বেড়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। বাতিল হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রায় সবই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে। সেখানে ২০১৮ সাল থেকে স্বায়ত্তশাসনকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত বাড়ছে। এখানে ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভোট দিতে না পারায় এখানকার মানুষের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের আরো বিচ্ছিন্নতা তৈরি হবে, যার ফলে এখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আরো সমর্থন পাবে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধ্বস বিজয় লাভ করে।

মিয়ানমারের ইনস্টিটিউট অব পীস এন্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালন মিন জ ও বলেন, “কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভোট বাতিলের এই সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা যেমন নেই, তা সঙ্গতিপূর্ণও না।” তিনি বলেন এই সিদ্ধান্তের ফলে ৭৩ শতাংশ রাখাইন ভোটাধিকার বঞ্চিত হবে। এর ফলে জাতীয় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

গত ১৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে এসব এলাকায় নির্বাচন বাতিল করে। নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য, সহিংস পরিস্থিতির কারণে এসব এলাকায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা তারা দিতে পারবে না। ২০১৫ নির্বাচনেও এসব জায়গায় নির্বাচন বাতিল করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে তখন থেকেই প্রশ্ন আছে।

আসন্ন নির্বাচনে ৯২টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি এবং সেনা-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির মধ্যে। অং সান সুচির দলের জনপ্রিয়তা মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠ নৃগোষ্ঠীর মধ্যে। তাদের সমর্থনেই তার বৈতরণী পেরোনোর কথা। আগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকেও সমর্থন পেতেন তিনি। ২০১৫ নির্বাচনের আগেও তার প্রতিশ্রুতি ছিল - শান্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর মানুষের ওপর নিপীড়ন, তাদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও প্রান্তিকীকরণ সুচির ব্যাপারে তাদের মোহভঙ্গের কারণ হয়েছে।

তবে ২০১৫ সালের নির্বাচনেও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনেই সুচি বড় ধরাটা খেয়েছিল রাখাইনভিত্তিক আরাকান ন্যাশনাল পার্টি বা এএনপির কাছে। এবার সেসব জায়গাতেই নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে যেখানে সুচির সমর্থন তুলনামূলক ভাবে কম। পাঁচটি আঞ্চলিক দল তাই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও সততা প্রশ্ন তুলেছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় রাখাইনের এমন সব জায়গাতেও নির্বাচন বাতিল হয়েছে যেখানে কোনো ধরনের সহিংসতাই নেই। যেমন রাখাইনের পকতাও শহরে নির্বাচন বাতিল হয়েছে, যেখানে কোনো ধরনের সহিংসতা নেই। গত নির্বাচনে সেখানে এএনপি জিতেছিল। এদিকে পলেতোয়া শহরে যেখানে সহিংসতা লেগেই থাকে সেখানে নির্বাচন হবে। আগের নির্বাচনে এখানে সুচির এনএলডি জিতেছিল।

নির্বাচন কমিশন গত সপ্তাহে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারা সরকার, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পকতাউয়ের এএনপির মনোনীত প্রার্থী অং কিয়াউ হতোয়ি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিধিত্ব না থাকা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বিষয় যদি সমাধান না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

তিনি আরো বলেন, রাখাইন অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গায় নির্বাচন বাতিলের ফল হবে আরো তীব্র সংঘাত। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে নির্বাচন বাদেও আমি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য অবনতির কথা ভাবছি, বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ অক্টোবর নির্বাচন বাতিলের ঘোষণা আসার পর তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার মধ্যে তিনজনই ছাত্র।

back to top