alt

ভারতের লোকসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাস

সংবাদ ডেস্ক : সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ - ছবি: ইন্টারনেট

অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতে বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিবিএ) ৯ ডিসেম্বর সোমবার সংসদে পাস হয়েছে। এদিন সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিতর্কিত এ বিলটি উত্থাপনের পর পাস হয়। বিলটি পাস হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছর বসবাসকারী অমুসলিমরা দেশটির নাগরিকত্ব লাভ করবেন। আল-জাজিরা।

লোকসভায় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এটি সহজেই এদিন পাস হয়। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিলটি ভারতীয় সংসদে তোলার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। লোকসভার পর বিলটি আইন হিসেবে পাস করাতে উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় যাবার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত চললেও এ বিলের পক্ষেই ভোট দেয় দেশটির উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবদী বাদী দল শিবসেনা। পাশাপাশি বিজেডি, টিআরএস, এআইএডিএমকে-এর মতো দলগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে বিজেপি। এ বিলের আওতায় ভারতে ৫ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পাবে অমুসলিমরা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ‘আশা করি বিলটি পেশ করা হলে এ নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর আর কোন আপত্তি থাকবে না।’ তবে ইতোমধ্যেই এ বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। বিলটি ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তির বিরোধী বলে দাবি করেছে তারা। ওই চুক্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে যারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে গেছেন (মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদেও বাদ দিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ এবং পার্সিয়ানরা) তারা নাগরিকত্ব পাবেন।

এ ছাড়াও এ বিলের বিরোধিতায় রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আসামের আরও কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিএম-ও এ বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৭২ বছর পর হঠাৎ নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যায় না। এ এনআরসি আমি মানি না। নাগরিক তালিকায় যদি জানা যায়, নাগরিকরা ভুয়া, তাহলে তো তাদের ভোটে জেতা সরকারও ভুয়া। তাহলে মোদিও ভুয়া, তার সরকারও ভুয়া।’ মমতা আরও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আরেকটি স্বাধীনতা আন্দোলন করবে। আপনারা তৈরি থাকুন।’ এনআরসি আতঙ্কে ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আসামে কতজন মারা গেছেন? আমদের তো রেকর্ড থাকে, ওখানে তো রেকর্ডও নেই। এদিকে ভারতের অন্যতম বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দেয়া হলে তা মেনে নেব। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেয়া হলে তার বিরোধিতা করব। এ বিল একেবারেই অসাংবিধানিক।’ লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এ বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করব। কেননা, এ বিলের মাধ্যমে আমাদের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি লঙ্ঘিত হবে।’ কংগ্রেস দলীয় এমপি গৌরব গগৈ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গণতান্ত্রিক জোটের দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিজেপির সঙ্গে না গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তবে আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, ধর্মের কারণে বিভিন্ন দেশে যারা নিপীড়ণের শিকার হয়েছে, তাদের রক্ষার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। ফলে এটি ধর্মনিরপেক্ষ হবে- এমনটা আশা করা হচ্ছে কীভাবে!

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

ছবি

পাকিস্তানে জঙ্গিদের হামলায় ১২ সেনা নিহত

ছবি

নেপালে নির্বাচন ৫ মার্চ

ছবি

জাতিসংঘে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ঘোষণায় বিপুল সমর্থন

ছবি

কঙ্গোতে পৃথক দুই নৌকা দুর্ঘটনায় ১৯৩ জনের মৃত্যু

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

বিদেশি সিনেমা দেখায় উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বেড়েছে: জাতিসংঘ

ছবি

চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিলে ১ লাখ ডলার পুরস্কার

ছবি

পশ্চিমবঙ্গের তরুণদের নেপাল থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান বিজেপি নেতার, পাল্টা একাধিক এফআইআর

ছবি

প্যালেস্টাইন বলে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না, এ ভূমি আমাদের: নেতানিয়াহু

ছবি

ব্রাজিলে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের দায়ে বলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণান

ছবি

গাজায় ত্রাণ শিবিরের পাহারায় ঘৃণাবাহী মার্কিন বাইকার গ্যাং

tab

ভারতের লোকসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাস

সংবাদ ডেস্ক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ - ছবি: ইন্টারনেট

সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯

অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতে বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিবিএ) ৯ ডিসেম্বর সোমবার সংসদে পাস হয়েছে। এদিন সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিতর্কিত এ বিলটি উত্থাপনের পর পাস হয়। বিলটি পাস হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছর বসবাসকারী অমুসলিমরা দেশটির নাগরিকত্ব লাভ করবেন। আল-জাজিরা।

লোকসভায় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এটি সহজেই এদিন পাস হয়। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিলটি ভারতীয় সংসদে তোলার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। লোকসভার পর বিলটি আইন হিসেবে পাস করাতে উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় যাবার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত চললেও এ বিলের পক্ষেই ভোট দেয় দেশটির উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবদী বাদী দল শিবসেনা। পাশাপাশি বিজেডি, টিআরএস, এআইএডিএমকে-এর মতো দলগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে বিজেপি। এ বিলের আওতায় ভারতে ৫ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পাবে অমুসলিমরা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ‘আশা করি বিলটি পেশ করা হলে এ নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর আর কোন আপত্তি থাকবে না।’ তবে ইতোমধ্যেই এ বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। বিলটি ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তির বিরোধী বলে দাবি করেছে তারা। ওই চুক্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে যারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে গেছেন (মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদেও বাদ দিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ এবং পার্সিয়ানরা) তারা নাগরিকত্ব পাবেন।

এ ছাড়াও এ বিলের বিরোধিতায় রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আসামের আরও কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিএম-ও এ বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৭২ বছর পর হঠাৎ নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যায় না। এ এনআরসি আমি মানি না। নাগরিক তালিকায় যদি জানা যায়, নাগরিকরা ভুয়া, তাহলে তো তাদের ভোটে জেতা সরকারও ভুয়া। তাহলে মোদিও ভুয়া, তার সরকারও ভুয়া।’ মমতা আরও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আরেকটি স্বাধীনতা আন্দোলন করবে। আপনারা তৈরি থাকুন।’ এনআরসি আতঙ্কে ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আসামে কতজন মারা গেছেন? আমদের তো রেকর্ড থাকে, ওখানে তো রেকর্ডও নেই। এদিকে ভারতের অন্যতম বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দেয়া হলে তা মেনে নেব। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেয়া হলে তার বিরোধিতা করব। এ বিল একেবারেই অসাংবিধানিক।’ লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এ বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করব। কেননা, এ বিলের মাধ্যমে আমাদের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি লঙ্ঘিত হবে।’ কংগ্রেস দলীয় এমপি গৌরব গগৈ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গণতান্ত্রিক জোটের দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিজেপির সঙ্গে না গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তবে আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, ধর্মের কারণে বিভিন্ন দেশে যারা নিপীড়ণের শিকার হয়েছে, তাদের রক্ষার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। ফলে এটি ধর্মনিরপেক্ষ হবে- এমনটা আশা করা হচ্ছে কীভাবে!

back to top