alt

তৃতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী পদে কাল শপথ নিচ্ছেন মমতা

এবারের নির্বাচনে অস্তিত্ব সংকটে বাম ও কংগ্রেস

দীপক মুখার্জী, কলকাতা : মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১

তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামীকাল শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে গতকাল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিলেন তিনি। তা গ্রহণ করে আগামীর জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। বুধবার রাজভবনে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশাল জয়ের পর এ দিন সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন রাজ ভবনে। প্রচলিত রীতি মেনে পদত্যাগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময় তাকেই দায়িত্বভার সামলানোর অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।

কাল দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতির জন্য শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জানিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৬ মে শপথগ্রহণ করবেন নতুন বিধায়করা। স্পিকার হিসেবে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবার অধ্যক্ষ হবেন বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, দলের নবনির্বাচিত বিধায়করা সর্বসম্মতিক্রমে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার তৃণমূলের পরিষদীয় দলের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নিয়েছেন। আমরা চাইছি, তিনি ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন।

উল্লেখ্য, এই নিয়ে পরপর তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ তে বামফ্রন্ট জমানার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। এরপর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল তৃণমূলের। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

গতকাল জয়ের পরই তিনি বলেছেন, খুব সংক্ষিপ্ত হবে এবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার প্রকোপ মোকাবিলাই এখন তার অগ্রাধিকারের বিষয়। তিনি দলীয় কর্মীদের করোনা পরিস্থিতিতে কোন ধরনের বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, করোনা অতিমারীর অবসান হলে ব্রিগেডে সমাবেশ করে দলের এই বিপুল সাফল্যের অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে। এবার আট দফায় নির্বাচন হয়েছিল। আট দফায় ভোটগ্রহণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল। ভোট পর্ব চলাকালেও শেষের কয়েকটি পর্ব করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একসঙ্গে করার অনুরোধ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কমিশন এই দাবি মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল। আট দফার নির্বাচন শেষে গতকাল ফল প্রকাশিত হয়েছে। ভোট গণনায় ব্যাপক আসন পেয়ে ফের রাজ্যের সিংহাসনে বসতে ছলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে অস্তিত্বের সংকটে বাম ও কংগ্রেস

১৯৭৭ সাল। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে সিপিএম তথা বামেরা। তার আগে ১৯৭২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যাপক র‌্যাগিং, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যে বামেরা ক্ষমতায় আসতেই মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে যায়। চতুর্দিকে দেয়ালে ছড়া লেখা শুরু হয়, বাহাত্তর নয় সাতাত্তর সাল, লাল বাংলা লালে লাল। তারপর যতদিন গড়িয়েছে, বামেদের অবস্থা রাজ্যে আরও মজবুত হয়েছে। বামেদের লাল পতাকা উড়েছে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে। বাম নেতাকর্মীরা বলতেন, রেড কখনও ফেড হয় না। সত্যিই, লাল রং ফিকে হওয়ার সামান্যটুকু সম্ভাবনা ছিল না কিন্তু এসব আজ অতীত ইতিহাস। একুশের নির্বাচনের ফলাফল বলছে বামেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে গেল।

একুশে মেরুকরণের নির্বাচন হবে, সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু বামেরা একটি আসনেও জিততে পারবে না, প্রায় প্রত্যেকটি কেন্দ্রে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, এতটা কেউ ভাবতে পারেননি। কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ। কংগ্রেস এবার খাতা খুলতে পারেনি। ফলাফলের পরেই উত্তর দমদমের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আলিমুদ্দিনের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই হারের দায় তাদের নিতে হবে, জোরের সঙ্গে বলেন তিনি। এমনকি নাম না করে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ সেলিমকে তিনি ব্যাপক নিশানা করেছেন। উল্লেখ্য, সেলিমের উদ্যোগে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর আইএসএফের সঙ্গে জোট হয় বামেদের। কেন বামেরা ‘সাম্প্রদায়িকী শক্তি’র সঙ্গে হাত মেলাল, এই অভিযোগ তখন থেকেই উঠতে শুরু করে। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট নিয়ে সবাই খুশি ছিলেন না অথচ করোনাকালে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচুর কাজ করেছেন, এখনও করে চলেছেন। পাহাড় থেকে সমুদ্র, নীরবে কাজ করে চলেছেন রেড ভলান্টিয়াররা কিন্তু বাংলার তৃণমূলবিরোধী মানুষ বামেদের ভোট দেননি একটাই কারণে, তাদের জেতার সম্ভাবনা নেই দেখে। তাই বাম ব্রিগেডের উজ্জ্বল মুখ সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ঐশী ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্য, আলি ইমরান ভিক্টর, দীপ্সিতা ধররা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছেন।

আলিমুদ্দিন মনে করেছিল আব্বাসের সঙ্গে জোটের ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট তারা আবার ফিরে পাবেন কিন্তু সেই ভোট ফেরা তো দূরের কথা, উল্টে হিন্দুদের যে অংশের ভোট তারা গত লোকসভাতেও পেয়েছেন, সেটারও বড় অংশ এবার হারাতে হয়েছে আব্বাসের সঙ্গে জোট করার ফলে। বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে প্রচুর ভিড় হয়েছিল কিন্তু বামেদের সিংহভাগ সমর্থক মনে করেছেন তৃণমূলকে হারাতে পারে বিজেপি। তাই ভোট তারা বিজেপিকেই দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল বলছে অদূর ভবিষ্যতে বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কারণ যতদিন যাবে ততই ধর্মীয় মেরুকরণ রাজ্যে আরও বেশি করে প্রকট আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যালোচকরা। যেটা বাংলার রাজনীতিতে অতীতে দেখা যায়নি। ঠিক এই কারণেই মালদা এবং মুর্শিদাবাদে একটি আসনও জিততে পারেনি কংগ্রেস এবং বামেরা। সেখানকার হিন্দু ভোটের প্রায় পুরোটাই চলে গিয়েছে বিজেপির দিকে অথচ এবারের নির্বাচনে বামেরা প্রচুর তরুণ মুখকে তুলে ধরেছিল। ‘টুম্পা সোনা’ গান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। বামেদের ব্যাখ্যা ছিল, এভাবে নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু কিছুতেই কাজ হলো না। গত ৪০ বছরে কেরলে কোন সরকার পরপর দু’বার ক্ষমতায় আসেনি। এবার কিন্তু সেখানে বামেদের প্রত্যাবর্তন হয়েছে আবার ক্ষমতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আর ঠিক সেদিনই বাংলায় বামেদের একপ্রকার বিসর্জন হয়ে গেল।

তৃণমূলের এই বিপুল জয়ের মাঝেও বহু জেলায় যেভাবে বিজেপি জমি পোক্ত করেছে তা রীতিমতো বাংলার রাজনীতিতে আগামীতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। ২০১৬ সালের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসনসংখ্যা ছিল ৩টি কিন্তু এবার ২৯২ আসনের মধ্যে ৭৭ আসন দখল করে বিধান সভায় শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে। বাংলায় মোট আসনসংখ্যা একনজরে দেখা যাক বাংলার কোন কোন জেলায় তথা কোন এলাকায় কোন পার্টি দখল কায়েম করে রাখল।

উত্তরবঙ্গের, দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাংসি দেওয়া, নাগরাকাটা, ময়না গুড়ি, ধুপগুড়িতে বিজেপি বিজয় নিশান ধরে রেখেছে। কালিম্পংয়ে জয়ী আইএডি। এদিকে, ফালাকাটা, কালচিনি, কুমারগ্রাম, মাদারিহাট, তুফানগঞ্জ, নাটাবাড়ি, দিনহাটায় জিতেছে বিজেপি। দিনহাটা থেকে নিশীথ প্রামাণিকের জয় রীতিমতো প্রাসঙ্গিক। এলাকায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে মন্ত্রী গৌতম দেবের হার বিজেপিকে জমি পোক্ত করতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও ঘটনাবহুল শীতলকুচিতে বিজেপির জয় হয়েছে। মাথাভাঙা, ফালাকাটা, কোচবিহারের উত্তর-দক্ষিণে বিজেপি জয়লাভ করেছে। তবে ম্যাল, রাজগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ, জলপাইগুড়ি দখলে রেখেছে তৃণমূল।

কোচবিহার জেলায় ৯-এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৮টি তৃণমূলের, ১টি বামেরা ছিনিয়ে নেয়। জলপাইগুড়িতে ৭টির মধ্যে ৬টি তৃণমূলের। ১টি ইউপিএ জোট পায়। আলিপুরদুয়ারে ৫টির মধ্যে ৪টি ঘাসফুলের ছিল, একটি এনডিএ পায়। দার্জিলিংয়ে ৬টিতে তৃণমূল হাত খালি করে ফেরে। ৩টি পায় এনডিএ, ১টি বামেরা, ২টিতে ইউপিএ জেতে।

চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া মমতা-ঝড়ের দাপটে তৃণমূলের দখলে। ২০২১ সালের ভোটে করণদিঘি, হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জে বিজেপি দখল পোক্ত করে। এদিকে, ইটাহার, কুমরাগঞ্জ, হরিরামপুর, কুশম-ি, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর, রতুয়া, মানিকচক, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর, ফারাক্কায় তৃণমূল জোরালো লড়াইতে গড় জিতে নিয়েছে। এদিকে, মুর্শিদাবাদ ও বরহমপুর কেন্দ্র বাদে গোটা মুর্শিদাবাদে দাপটে উড়ছে তৃণমূলের বিজয় পতাকা।

২০১৬ সালে উত্তর দিনাজপুরের ৯টির মধ্যে ৪টি আসন তৃণমূলের ছিল, ২টিতে বামেরা জয়ী, ৩টিতে ইউপিএ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬টির মধ্যে ২টি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ৩টি বামেরা, ১টি ইউপিএ, মালদায় ১২টিতে ১টি তৃণমূল, ১টি বামেরা, ৮টি ইউপিএ, ১টি এনডিএ। মুর্শিদাবাদে ২২ আসনে ২০১৬ সালের ভোটে ৪টি পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, বামেরা ৪টি, ১৪টি ইউপিএ জেতে।

দুবরাজপুরকে বাদ দিলে বীরভূমের গোটা মানচিত্রে রীতিমতো তৃণমূলের সাফল্য প্রমাণ হচ্ছে। মুরারই থেকে ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া, বোলপুর, রামপুরহাট, নানুর, লাভপুর, সাউড়িতে কেবলই তৃণমূল দাপট দেখিয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলকোট থেকে বর্ধমান উত্তর, খন্ডঘোষ, মন্তেশ্বরে জয় পেয়েছে তৃণমূল। এদিকে, আসানসোল দক্ষিণে অগ্নিমিত্রা পলের হাত ধরে বড় জয় পায় বিজেপি। এছাড়া, রঘুনাথপুর, পারা, পুরুলিয়া, বাঘমু-ি, জয়পুর, বলরামপুর, কাশীপুর, ছাতনা, শালতোড়, কুলটিতে বিজেপি দাপট ধরে রেখেছে। বাঁকুড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, ইন্দাস, কোতুলপুরে দাপট ধরে রেখেছে বিজেপি।

ছবি

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

ছবি

থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া ‘শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলো ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়বে’ চীন

ছবি

পাকিস্তান-আফগান লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি

ছবি

প্যালেস্টাইনি-ইসরায়েল বন্দিবিনিময়ের পর চুক্তি সই

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পসহ চার নেতার স্বাক্ষর

ছবি

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ট্রাম্পের ভাষণে বাধা, প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতির আহ্বান

ছবি

জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিক্রমেই ফের সশস্ত্র হয়েছে হামাস: ট্রাম্প

ছবি

গাজার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব হামাসের: ট্রাম্প

ছবি

জীবিত ২০ জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস

ছবি

পশ্চিমা শক্তিকে দুর্বল করতে একাট্টা চীন-রাশিয়া

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান লড়াই, কোন দিকে মোড় নেবে পরিস্থিতি

ছবি

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে ক্ষুব্ধ বেইজিং, ‘দ্বিমুখী নীতি’র অভিযোগ চীনের

ছবি

প্রথম ৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস

ছবি

ট্রাম্পের দাবি, গাজা যুদ্ধ ‘শেষ’

ছবি

গাজা: ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক, সোমবার মুক্তি পাচ্ছে জিম্মিরা

ছবি

সীমান্তে সংঘর্ষ: পাকিস্তানের ৫৮ সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের

ছবি

গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু, বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া সোমবার থেকে

ছবি

শান্তি প্রস্তাব মানলেও অস্ত্র জমা দেবে না হামাস

ছবি

ভারতে বিদেশিদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ

ছবি

পাকিস্তানে তালেবানের হামলা নিয়ে মুখ খুলল ‘বন্ধু’ সৌদি!

ছবি

আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি

ছবি

আল্টিমেটামের জবাবে ট্রাম্পকে সতর্কবার্তা দিলো বেইজিং

ছবি

গাজা থেকে জিম্মিমুক্তি শুরু কখন, কীভাবে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

ছবি

সীমান্তে রাতভর গোলাগুলিতে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহতের দাবি কাবুলের

ছবি

আফগানিস্তান আগুন ও রক্তের খেলা খেলছে,” বলছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ছবি

শান্তিতে নোবেল পাওয়া ভেনেজুয়েলার মাচাদোকে নিয়ে সমালোচনা

ছবি

বোমা-ড্রোনের শব্দ ছাড়া গাজাবাসীর প্রথম রাত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনে ব্যাপক ছাঁটাই শুরু, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করলেন

ছবি

‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করলো উত্তর কোরিয়া

ছবি

মাচাদোকে বললে আমাকে নোবেলটা দিয়ে দিত: ট্রাম্প

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

tab

তৃতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী পদে কাল শপথ নিচ্ছেন মমতা

এবারের নির্বাচনে অস্তিত্ব সংকটে বাম ও কংগ্রেস

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১

তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামীকাল শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে গতকাল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিলেন তিনি। তা গ্রহণ করে আগামীর জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। বুধবার রাজভবনে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশাল জয়ের পর এ দিন সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন রাজ ভবনে। প্রচলিত রীতি মেনে পদত্যাগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময় তাকেই দায়িত্বভার সামলানোর অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।

কাল দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতির জন্য শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জানিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৬ মে শপথগ্রহণ করবেন নতুন বিধায়করা। স্পিকার হিসেবে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবার অধ্যক্ষ হবেন বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, দলের নবনির্বাচিত বিধায়করা সর্বসম্মতিক্রমে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার তৃণমূলের পরিষদীয় দলের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নিয়েছেন। আমরা চাইছি, তিনি ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন।

উল্লেখ্য, এই নিয়ে পরপর তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ তে বামফ্রন্ট জমানার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। এরপর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল তৃণমূলের। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

গতকাল জয়ের পরই তিনি বলেছেন, খুব সংক্ষিপ্ত হবে এবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার প্রকোপ মোকাবিলাই এখন তার অগ্রাধিকারের বিষয়। তিনি দলীয় কর্মীদের করোনা পরিস্থিতিতে কোন ধরনের বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, করোনা অতিমারীর অবসান হলে ব্রিগেডে সমাবেশ করে দলের এই বিপুল সাফল্যের অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে। এবার আট দফায় নির্বাচন হয়েছিল। আট দফায় ভোটগ্রহণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল। ভোট পর্ব চলাকালেও শেষের কয়েকটি পর্ব করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একসঙ্গে করার অনুরোধ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কমিশন এই দাবি মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল। আট দফার নির্বাচন শেষে গতকাল ফল প্রকাশিত হয়েছে। ভোট গণনায় ব্যাপক আসন পেয়ে ফের রাজ্যের সিংহাসনে বসতে ছলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে অস্তিত্বের সংকটে বাম ও কংগ্রেস

১৯৭৭ সাল। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে সিপিএম তথা বামেরা। তার আগে ১৯৭২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যাপক র‌্যাগিং, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যে বামেরা ক্ষমতায় আসতেই মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে যায়। চতুর্দিকে দেয়ালে ছড়া লেখা শুরু হয়, বাহাত্তর নয় সাতাত্তর সাল, লাল বাংলা লালে লাল। তারপর যতদিন গড়িয়েছে, বামেদের অবস্থা রাজ্যে আরও মজবুত হয়েছে। বামেদের লাল পতাকা উড়েছে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে। বাম নেতাকর্মীরা বলতেন, রেড কখনও ফেড হয় না। সত্যিই, লাল রং ফিকে হওয়ার সামান্যটুকু সম্ভাবনা ছিল না কিন্তু এসব আজ অতীত ইতিহাস। একুশের নির্বাচনের ফলাফল বলছে বামেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে গেল।

একুশে মেরুকরণের নির্বাচন হবে, সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু বামেরা একটি আসনেও জিততে পারবে না, প্রায় প্রত্যেকটি কেন্দ্রে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, এতটা কেউ ভাবতে পারেননি। কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ। কংগ্রেস এবার খাতা খুলতে পারেনি। ফলাফলের পরেই উত্তর দমদমের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আলিমুদ্দিনের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই হারের দায় তাদের নিতে হবে, জোরের সঙ্গে বলেন তিনি। এমনকি নাম না করে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ সেলিমকে তিনি ব্যাপক নিশানা করেছেন। উল্লেখ্য, সেলিমের উদ্যোগে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর আইএসএফের সঙ্গে জোট হয় বামেদের। কেন বামেরা ‘সাম্প্রদায়িকী শক্তি’র সঙ্গে হাত মেলাল, এই অভিযোগ তখন থেকেই উঠতে শুরু করে। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট নিয়ে সবাই খুশি ছিলেন না অথচ করোনাকালে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচুর কাজ করেছেন, এখনও করে চলেছেন। পাহাড় থেকে সমুদ্র, নীরবে কাজ করে চলেছেন রেড ভলান্টিয়াররা কিন্তু বাংলার তৃণমূলবিরোধী মানুষ বামেদের ভোট দেননি একটাই কারণে, তাদের জেতার সম্ভাবনা নেই দেখে। তাই বাম ব্রিগেডের উজ্জ্বল মুখ সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ঐশী ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্য, আলি ইমরান ভিক্টর, দীপ্সিতা ধররা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছেন।

আলিমুদ্দিন মনে করেছিল আব্বাসের সঙ্গে জোটের ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট তারা আবার ফিরে পাবেন কিন্তু সেই ভোট ফেরা তো দূরের কথা, উল্টে হিন্দুদের যে অংশের ভোট তারা গত লোকসভাতেও পেয়েছেন, সেটারও বড় অংশ এবার হারাতে হয়েছে আব্বাসের সঙ্গে জোট করার ফলে। বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে প্রচুর ভিড় হয়েছিল কিন্তু বামেদের সিংহভাগ সমর্থক মনে করেছেন তৃণমূলকে হারাতে পারে বিজেপি। তাই ভোট তারা বিজেপিকেই দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল বলছে অদূর ভবিষ্যতে বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কারণ যতদিন যাবে ততই ধর্মীয় মেরুকরণ রাজ্যে আরও বেশি করে প্রকট আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যালোচকরা। যেটা বাংলার রাজনীতিতে অতীতে দেখা যায়নি। ঠিক এই কারণেই মালদা এবং মুর্শিদাবাদে একটি আসনও জিততে পারেনি কংগ্রেস এবং বামেরা। সেখানকার হিন্দু ভোটের প্রায় পুরোটাই চলে গিয়েছে বিজেপির দিকে অথচ এবারের নির্বাচনে বামেরা প্রচুর তরুণ মুখকে তুলে ধরেছিল। ‘টুম্পা সোনা’ গান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। বামেদের ব্যাখ্যা ছিল, এভাবে নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু কিছুতেই কাজ হলো না। গত ৪০ বছরে কেরলে কোন সরকার পরপর দু’বার ক্ষমতায় আসেনি। এবার কিন্তু সেখানে বামেদের প্রত্যাবর্তন হয়েছে আবার ক্ষমতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আর ঠিক সেদিনই বাংলায় বামেদের একপ্রকার বিসর্জন হয়ে গেল।

তৃণমূলের এই বিপুল জয়ের মাঝেও বহু জেলায় যেভাবে বিজেপি জমি পোক্ত করেছে তা রীতিমতো বাংলার রাজনীতিতে আগামীতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। ২০১৬ সালের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসনসংখ্যা ছিল ৩টি কিন্তু এবার ২৯২ আসনের মধ্যে ৭৭ আসন দখল করে বিধান সভায় শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে। বাংলায় মোট আসনসংখ্যা একনজরে দেখা যাক বাংলার কোন কোন জেলায় তথা কোন এলাকায় কোন পার্টি দখল কায়েম করে রাখল।

উত্তরবঙ্গের, দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাংসি দেওয়া, নাগরাকাটা, ময়না গুড়ি, ধুপগুড়িতে বিজেপি বিজয় নিশান ধরে রেখেছে। কালিম্পংয়ে জয়ী আইএডি। এদিকে, ফালাকাটা, কালচিনি, কুমারগ্রাম, মাদারিহাট, তুফানগঞ্জ, নাটাবাড়ি, দিনহাটায় জিতেছে বিজেপি। দিনহাটা থেকে নিশীথ প্রামাণিকের জয় রীতিমতো প্রাসঙ্গিক। এলাকায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে মন্ত্রী গৌতম দেবের হার বিজেপিকে জমি পোক্ত করতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও ঘটনাবহুল শীতলকুচিতে বিজেপির জয় হয়েছে। মাথাভাঙা, ফালাকাটা, কোচবিহারের উত্তর-দক্ষিণে বিজেপি জয়লাভ করেছে। তবে ম্যাল, রাজগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ, জলপাইগুড়ি দখলে রেখেছে তৃণমূল।

কোচবিহার জেলায় ৯-এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৮টি তৃণমূলের, ১টি বামেরা ছিনিয়ে নেয়। জলপাইগুড়িতে ৭টির মধ্যে ৬টি তৃণমূলের। ১টি ইউপিএ জোট পায়। আলিপুরদুয়ারে ৫টির মধ্যে ৪টি ঘাসফুলের ছিল, একটি এনডিএ পায়। দার্জিলিংয়ে ৬টিতে তৃণমূল হাত খালি করে ফেরে। ৩টি পায় এনডিএ, ১টি বামেরা, ২টিতে ইউপিএ জেতে।

চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া মমতা-ঝড়ের দাপটে তৃণমূলের দখলে। ২০২১ সালের ভোটে করণদিঘি, হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জে বিজেপি দখল পোক্ত করে। এদিকে, ইটাহার, কুমরাগঞ্জ, হরিরামপুর, কুশম-ি, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর, রতুয়া, মানিকচক, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর, ফারাক্কায় তৃণমূল জোরালো লড়াইতে গড় জিতে নিয়েছে। এদিকে, মুর্শিদাবাদ ও বরহমপুর কেন্দ্র বাদে গোটা মুর্শিদাবাদে দাপটে উড়ছে তৃণমূলের বিজয় পতাকা।

২০১৬ সালে উত্তর দিনাজপুরের ৯টির মধ্যে ৪টি আসন তৃণমূলের ছিল, ২টিতে বামেরা জয়ী, ৩টিতে ইউপিএ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬টির মধ্যে ২টি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ৩টি বামেরা, ১টি ইউপিএ, মালদায় ১২টিতে ১টি তৃণমূল, ১টি বামেরা, ৮টি ইউপিএ, ১টি এনডিএ। মুর্শিদাবাদে ২২ আসনে ২০১৬ সালের ভোটে ৪টি পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, বামেরা ৪টি, ১৪টি ইউপিএ জেতে।

দুবরাজপুরকে বাদ দিলে বীরভূমের গোটা মানচিত্রে রীতিমতো তৃণমূলের সাফল্য প্রমাণ হচ্ছে। মুরারই থেকে ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া, বোলপুর, রামপুরহাট, নানুর, লাভপুর, সাউড়িতে কেবলই তৃণমূল দাপট দেখিয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলকোট থেকে বর্ধমান উত্তর, খন্ডঘোষ, মন্তেশ্বরে জয় পেয়েছে তৃণমূল। এদিকে, আসানসোল দক্ষিণে অগ্নিমিত্রা পলের হাত ধরে বড় জয় পায় বিজেপি। এছাড়া, রঘুনাথপুর, পারা, পুরুলিয়া, বাঘমু-ি, জয়পুর, বলরামপুর, কাশীপুর, ছাতনা, শালতোড়, কুলটিতে বিজেপি দাপট ধরে রেখেছে। বাঁকুড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, ইন্দাস, কোতুলপুরে দাপট ধরে রেখেছে বিজেপি।

back to top